আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in পবিত্রতা (Purity) by (52 points)
edited by
#মোবাইলে আগে নাপাকি লেগে শুকিয়ে গেলে কি করব? কিভাবে তা পাক করব? নাপাকির কোন চিহ্ন/গন্ধ নেই।মোবাইল ব্যবহার করার সময় হাত ও মোবাইল ঘামে।মোবাইল ধরার পর আমার মা আর ভেজা কাপড় ধরেছে।ওই কাপড়ে কি সালাত হবে?

#টিউবয়েলের জায়গায় সাদা পায়খানার দাগ আছে।আমি জানিনা  এটি হারাম/হালাল পাখির কিনা।আমি মাকে বলি হয়তো কাকের পায়খানা। সে আমার কথা না শুনে সেখানে বিছানার চাদর ধোয়।গরমে বিছানার চাদর এ গায়ের ঘাম লাগে।সে রান্নাবান্না করার কারণে কি থালাবাসন নাপাক? কি করব এখন?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

https://ifatwa.info/16917/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নাপাক বস্তু পবিত্র করার পদ্ধতিঃ পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত আবার দুই প্রকারঃ যথা-

(ক) দৃশ্যমান নাজাসত

(খ)অদৃশ্যমান নাজাসত

(ক)কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই।যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে।যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।

(খ)কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়। (ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭)

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/118

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الْمَعْنَى قَالَ : "حُتِّيهِ ثُمَّ اقْرُصِيهِ بِالْمَاءِ ثُمَّ انْضَحِيهِ"

হিশাম (রহঃ) সূত্রে উক্ত হাদীসের সমার্থক বর্ণনা আছে। তাতে রয়েছেঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কোন জিনিস দিয়ে তা দূর করে পানি দ্বারা ঘষে নিবে। তারপর তাতে পানি ছিটিয়ে ধুয়ে ফেলবে। (বুখারী হাঃ ৩০৭, মুসলিম ,আবু দাউদ- ৩৬২।)

শরীয়তের বিধান হলো যেই বস্তু পানি দ্বারা ধৌত করা সম্ভব নয়,সেখানে নাপাকি লাগলে সেটা ভেজা নেকড়া বা টিস্যু দ্বারা এমনভাবে মুছে ফেললেই পাক হয়ে যাবে যাতে আর উক্ত নাপাকীর আছর বাকী না থাকে।

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 4448 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে এক্ষেত্রে পবিত্র কাপড় দ্বারা পরিস্কার করা,ঘর্ষন দেওয়ার দ্বারা সেটি পাক হয়ে যাবে।

জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 143509200028 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে এক্ষেত্রে মোবাইলের যে অংশটুকু ধৌত করলে কোনো ক্ষতি নেই,সেটি তিনবার ধুবে,আর যেটি স্পর্শকাতর স্থান,সেটি তিনবার ভেজা কাপড় দ্বারা মুছবে।

** কবুতর, চড়ই ও এজাতীয় হালাল পাখির বিষ্ঠা পাক। তাই এর কারণে কাপড় নাপাক হবে না। তবে কাকের বিষ্ঠা নাপাক। তাই নামাজ পড়ার সময় হাত, পা, হাটু ও কপাল রাখার স্থানে এর বিষ্ঠা থাকলে তা পাক করা ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হবে না। এবং কাপড়ের এক চতুর্থাংশের বেশি অংশে তা লাগলে এই কাপড় নিয়েও নামাজ জায়েজ হবে না। (আলবাহরুর রায়েক : ১/৪০০, আদদুররুল মুখতার : ১/৫২৫)

পাকা মেঝে বা ফ্লোর নাপাক হয়ে গেলে, তাৎক্ষণিকভাবে তা পাক করার সহজ পদ্ধতি হলো- নাপাক জায়গায় পানি ঢেলে ভালোভাবে ঝাড়ু দিয়ে ধুয়ে দেবে। এভাবে তিনবার ধুয়ে নিলে জায়গাটা পাক হয়ে যাবে। আর যদি পানি গড়িয়ে বের করার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে প্রথমে একটি শুকনো বা ভেজা কাপড় দিয়ে প্রস্রাবটুকু মুছে দিবে। অতঃপর কাপড়টি ভাল করে ধুয়ে নাপাক জায়গাটা আবার মুছে দেবে। এক্ষেত্রে প্রতি বারই নতুন পানি ব্যবহার করবে। এভাবে তিনবার পাক কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিলে জায়গাটা পাক-পবিত্র হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার, ১/৩১৩; ফাতাওয়া আলমগিরি : ১/৪৩; হিন্দিয়া : ১/৪৩-৪৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. প্রশ্নে উল্লেখিত মোবাইল ভেজা কাপড় দ্বারা তিন বার মুছবেন,যেন উক্ত নাপাকীর আছর বাকী না থাকে।  তাহলেই সেটি পাক হয়ে যাবে। তা সহকারে নামাজ পড়া যাবে। ভিজা কাপড় দ্বারা তিন বার মুছে পবিত্র করার পূর্বেই যদি আপনার মা ঘাম বা কাপড়ের ভেজা অংশ দিয়ে তা স্পর্শ করে তাহলে তা নাপাক হবে। উক্ত নাপাকী নিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না। বিধায় উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

২. হালাল কোন পাখির (কবুতর, ড়ু) বিষ্টা হলে তা নাপাক হবে না । যদি উক্ত বিষ্টা কাকের বিষ্টা হয়ে থাকে তাহলে তা নাপাক। সুতরাং উক্ত নাপাক জায়গায় পানি ঢেলে ভালোভাবে ঝাড়ু দিয়ে তিনবার ধুয়ে নিলে জায়গাটা পাক হয়ে যাবে।

 সাধারণত উক্ত নাপাক জায়গায় বিছানা ধৌত করার সময় পানি ভালো ভাবে ঢেলে দিলে নাপাক না থাকারই কথা। যদি সেখানে ধৌত করার পর নাপাকীর আসর পরিলক্ষিত না হয়, তাহলে কোন সমস্যা হবে না। তবে যদি সেই স্থানে নাপাকের আসর থাকে, তাহলে তা পবিত্র হবে না। বিছানা নাপাক স্থানে ধৌত করার কারণে তা নাপাক থাকবে। তবে শুকনো বিছানায় শয়ন করলে শরীর নাপাক হবে না। যতক্ষণ না ঘামের কারণে বিছানা ভিজে তা শরীর বা কাপড়ে লাগে। কিন্তু থালা বাসন ধৌত করার সময় সাধারণত হাত ধৌত করা হয়, বিধায় থালা বাসন ও রান্নাবান্না নাপাক হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 87 views
...