আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আমার কিছু প্রশ্ন:

কাউকে যদি কোনো অফিসের কর্মকর্তা যাওয়া আসার কিছু টাকা দিয়ে কোনো কিছু কিনে আনতে বলে, তবে যদি ব্যক্তি হেটে হেটে যায় তবে কী তার বাঁচানো টাকাগুলো কি তার জন্য হালাল হবে না হারাম হবে? অনুরূপভাবে পিতা-মাতা যদি সন্তানকে রিকসা ভাড়া দিয়ে কোনো কিছু আনতে বলে এবং সন্তান যদি রিকসা ভাড়া বাচায় তবে কী সেই বাচানো টাকা তার জন্য হালাল না হারাম?

কারোও পরনিন্দা করার পর যদি সে ব্যক্তি বেচে না থাকে তবে কীভাবে পরনিন্দুক ক্ষমা পাবে?

স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা কীভাবে নিজেদের চরিত্র হেফাজত করবে? আখলাক সুন্দর করার উপায় সম্পর্কে কিছু বলবেন?

পিতা-মাতা যদি খারাপ হয় এবং দ্বীন পালনে বাধা দেয় এবং সম্পূর্ণ দুনিয়াবী হয়, তবে কী সন্তান তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের ছেড়ে অন্যত্র কোথাও যেতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (706,840 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এটা দাতার নিয়তের উপর নির্ভরশীল। দাতা যদি এবাহত( খরচ করার দায়িত্ব) করে দেয়,তাহলে ভাড়া বাবৎ যা খরচ হবে না, সেই সম্পূর্ণ টাকা মালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে।
আর দাতা যদি ভাড়া বাবৎ টাকার মালিক আপনাকে বানিয়ে দেয়, তাহলে আপনি উক্ত টাকার মালিক।ভাড়া বাবৎ খরচ না হলে, সেই টাকা নিজের কাছে রেখে দিতে পারবেন।


(২)
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।সম্ভব হলে সেই ব্যক্তির নামে সদকাহ করে নিতে হবে।

(৩)
চরিত্র সুন্দরের জন্য প্রথম ও প্রধান কাজ হল, বিয়ে করে নেয়া। তারপর আল্লাহর ভয় অন্তরে সবসময় রাখা।আল্লাহর ভয়কে অন্তরে সর্বদা জাগ্রত রাখার জন্য তাবলীগ জামাতে সময় দিতে পারেন।অথবা নেককার কোনো ব্যক্তি,বা আলেমের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারেন।

(৪)
পিতা-মাতা যদি খারাপ হয় এবং দ্বীন পালনে বাধা দেয় এবং সম্পূর্ণ দুনিয়াবী হয়, তারপরও সন্তান তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করে বরং তাদেরকে বুঝাবে। তাদের সাথে থেকে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য চেষ্টা করতে হবে। সর্বোপরি মাতাপিতা সন্তানের উপর জুলুম নির্যাতন করলে সাময়িক সময়ের জন্য দূরে কোথাও যেতে পারবে। তবে তাদের প্রয়োজনের মুহূর্তে সাড়া দিতে হবে।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِن جَاهَدَاكَ عَلَىٰ أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا ۖ وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا ۖ وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ۚ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।( সূরা লুকমান-১৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (706,840 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...