আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। বেশ কিছুদিন যাবত আমি এবং আমাদের ফ্যামিলি একটি বিষয় নিয়ে খুব বিভ্রান্তিতে আছি দয়া করে সমাধান দিবেন।
আমার স্ত্রী জিনদের দারা আক্রান্ত। আজ থেকে প্রায় পাঁচ ছয় বছর আগে তাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এবং সেটা এখন পর্যন্ত চলমান। গত 5 বা 6 বছরে সে কিছুই বুঝে নাই। সে একজন কোরআনের হাফেজা। যখন সে অনেক ছোট ছিল পরকালীন অবস্থা থেকে তার মধ্যে অবস্থান করতেছে। তাকে নানা ভাবে ডিস্টার্ব করে বিশেষ করে বিয়ের পর থেকে সবচেয়ে বেশি ডিস্টার্ব করতেছিল। তারপর আমি নিজ দায়িত্বে রুকিয়া শুরু করি এবং আল্লাহর রহমতে অনেকটাই এখন ভালো আছে। একইভাবে আমার স্ত্রীর ছোট ভাই আক্রান্ত হয় মাদ্রাসায় পড়তে গিয়ে। তো সে ছেলে হওয়ার কারণে তাকে কবিরাজের চিকিৎসার মাধ্যমে আল্লাহর দয়ায় সুস্থ হয়। এখন তাদের ফ্যামিলি চাচ্ছে আমার স্ত্রীকেও কবিরাজের মাধ্যমে তদবির করতে। সেক্ষেত্রে আমি যদি তদবির করাই তাহলে এটা কি জায়েজ হবে? ঈমানের কি কোন ক্ষতি হবে? আমাদের করণীয় কি? আল্লাহর দয়ায় অনেকটাই সুস্থ রুকিয়ার মাধ্যমে।

কিন্তু মাঝেমধ্যেই সে জাদুর দারা আক্রান্ত হয়ে এলোমেলো কাজ শুরু করে দেয় যেটা পরবর্তীতে সেন্সে আসার পরে আগের কাজগুলো ভুলে যায়। এমনকি সে কোরআনের আয়াত পর্যন্ত তেলাওয়াত করতে পারেনা যখন সে সেন্সে থাকে না, যদিও সে একজন পূর্ণ কুরানের  হাফেজা। এই মুহূর্তে কি আমার কবিরাজের চিকিৎসা নেওয়া উচিত হবে কিনা? (মানে জিন ছারানো যাবে কি না?) নতুন বিয়ে তাই সবার মধ্যে (২ পরিবারের মদ্ধে) একটা পেরেশানি কাজ করতেছে।
আমার জানামতে সাধারণত কবিরাজরা জিন দ্বারা চিকিৎসা করে থাকে । আর শরীয়তে জ্বীনের তদবির নেওয়া জায়েজ নাই। এটা আমি জানি‌। তো আমার জানাটাও ভুল থাকতে পারে। কিংবা এটা কারণবশত জায়েজ হতেও পারে । তাই সর্বোপরি বিবেচনা করে আমাকে সঠিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
জাযাকাল্লাহ খায়ের।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।তবে গর্ভবর্তী মহিলার জন্য তাবিজ ব্যবহার জরুরী বা উত্তম বলে ইসলামী শরীয়তে কোনো কিছু নেই।তাবিজকে বিভিন্ন টিকামূলক ইনজেকশনের মত মনে করতে পারেন।যা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-

আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি উনার নাবালক সন্তানদের গলায় তাবিজ ঝুলিয়ে দিতেন।হাদীসের সনদের উপর মুহাদ্দিসগণের কালাম রয়েছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/226

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, আপনি কবিরাজের মাধ্যমে জ্বীন ছাড়াতে পারবেন।যদি কবিরাজ জ্বীনের সাহায্য নিয়ে জ্বীনকে ছাড়ায়, তাহলে সেটাও জায়েয হবে।কেননা জ্বীন থেকে বৈধ ও হালাল সেবা গ্রহণ করা নাজায়েয হওয়ার কোনো দলীল আমাদের কাছে না।হ্যা, এটা অবশ্যই ঠিক যে, জ্বীনকে গোলাম বানানো বা জ্বীনের মাধ্যমে অন্যায় কাজ সম্পাদন করা কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...