আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।
আমার সাথে ইন্টারমিডিয়েট একজন মেয়ে পড়ত। জন্মসূত্রে মুসলিম।  মাঝে মধ্যে দেখতাম বিভিন্ন ইসলাম বিদ্বেষী পোস্ট শেয়ার করত ফেসবুকে। খুব সম্ভবত সে এখন কোনো ধর্ম মানে না, আমি নিশ্চিত নই কারণ এইচএসসির পর কথা হয়নি। ভয়ংকর ব্যাপার হল, মেয়েটি নিজেকে নন বাইনারি মনে করে। নন বাইনারি এর অনেক ধরন আছে। যেমনঃ এজেন্ডার, বাইজেন্ডার, জেন্ডার ফ্লুয়িড ইত্যাদি। হোমোসেক্সুয়াল ও অন্তর্ভুক্ত। একত্রে আমব্রেলা টার্ম বলা হয়। মেয়েটি সমকামিতা নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে এবং বায়োতেও নন বাইনারি দেয়া। আমি মেয়েটির ফলো করা বিভিন্ন পেইজ চেক করেছি। যার অধিকাংশ এই ধরনের। যেমনঃ ট্রান্সজেন্ডার বিডি, রুপবান, বন্ধন, সমকামী সাহিত্য আরও অনেক। যেগুলো সমকামিতাকে প্রমোট করে থাকে। আমি মেয়েটিকে কখনপ মেসেজে দেইনি, কারণ আমি আশংকা করছি তাকে বুঝালেও বুঝবে না। আমি ব্লক করতে চেয়েছিলাম, এখনও করিনি। এই মুহুর্তে একজন মুসলিম হিসেবে আমার করণীয় কি? কারণ মেয়েটি যে শুধু ভুল পথে আছে তা না, আরও অসংখ্য মানুষকে এই পথে উদ্বুদ্ধ করছে। উল্লেখ মেয়েটি আগে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ত, এখন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত।

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنۡکُمۡ ۟ وَ لَا یَرۡضٰی لِعِبَادِہِ الۡکُفۡرَ ۚ وَ اِنۡ تَشۡکُرُوۡا یَرۡضَہُ لَکُمۡ ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۷﴾ 

যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তার বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও তবে তিনি তোমাদের জন্য তা-ই পছন্দ করেন। আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না। তারপর তোমাদের রবের কাছেই তোমাদের ফিরে যাওয়া। তখন তোমরা যা আমল করতে তা তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি তা সম্যক অবগত।
(সুরা আয যুমার ০৭)

وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی

কোনো ব্যাক্তি অন্য কোনো ব্যাক্তির গুনাহের বোঝা বহন করবেনা।
(সুরা ফাতির ১৮)

অর্থাৎ কেয়ামতের দিন কোন মানুষ অন্য মানুষের পাপভার বহন করতে পারবে না। প্রত্যেককে নিজের বোঝা নিজেই বহন করতে হবে। “বোঝা” মানে কৃতকর্মের দায়দায়িত্বের বোঝা। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর কাছে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেই তার কাজের জন্য দায়ী এবং প্রত্যেকের ওপর কেবলমাত্র তার নিজের কাজের দায়-দায়িত্ব আরোপিত হয়। এক ব্যক্তির কাজের দায়-দায়িত্বের বোঝা আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্য ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার কোন সম্ভাবনা নেই। কোন ব্যক্তি অন্যের দায়-দায়িত্বের বোঝা নিজের ওপর চাপিয়ে নেবে এবং তাকে বাঁচাবার জন্য তার অপরাধে নিজেকে পাকড়াও করাবে  এরও কোন সম্ভাবনা নেই।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন ,    
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু তার এহেন কাজের কোনো সহযোগিতা করেননি,তাই আপনার এতে কোনো গুনাহ হবেনা।

আপনি দাওয়াতী কাজের অংশ হিসেবে তাকে এহেন গুনাহের কাজ হতে ফিরে আসার দাওয়াত দিতে পারেন।

প্রয়োজনে এ জাতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে লিখিত বই উপহার দিতে পারেন।

আপনার সাধ্যের মধ্য হতে তাকে এহেন অন্যায় কাজ হতে ফিরে আসার দাওয়াত দেয়া আপনার কর্তব্য।
দাওয়াত দেয়া সম্ভবপর না হলে বা আপনার সাধ্য না হলে এহেন কাজকে অন্তর থেকে ঘৃণা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...