আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in সাওম (Fasting) by (134 points)
আসসালামুআলাইকুম।


চেহারায় ওষুধ দাওয়া ছিল। মুখে পানি দেওয়ার সময় কিছু পানি মুখে ঢুকে যায়, যাতে পানি আমি না হইলে ফেললেও ওষুধ ও মুখে চলে যায় পানির সাথে এবং ওষুধ এর স্বাদ মুখে তের পাই গলার কাছে। তা পড়ে গেলে ফেলেছি না ফেলে দিয়েছি মনে নেই অনেক সামান্য স্বাদ ছিল। রোজা কি ভেঙে গেছে?

2.  রোজা রেখে অযুর সময় কুলি করতে যেয়ে সব স্বাভাবিক ভাবে কুলির পানি ফেলে দিলেই কি হবে? এরপর যেটুক পানি থুথুর সাথে মিশে গলায় পানির অনুভূতি হয় ওটা কি রোজা ভেঙে ফেলে?

নাকি কুলির পানি স্বাভাবিক ভাবে ফেলে দেওয়ার পর আরো কয়েকবার থুথু ফেলে দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (710,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মুখে মেখে দেওয়া ঔষধ যদি পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে মুখের ভিতর চলে যায়, এবং গলায় পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। আর নিশ্চিত না হলে রোযা ভঙ্গ হবে না।
যেহেতু আপনি নিশ্চিত নন, তাই রোযা ভঙ্গ হবে না।

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وَلَوْ ابْتَلَعَ دَمًا بَيْنَ أَسْنَانِهِ لَمْ تَفْسُدْ إذَا كَانَتْ الْغَلَبَةُ لِلرِّيقِ. كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
যদি দাতের মাড়ি থেকে রক্ত নির্গত হয়ে লালার সাথে মিলিত হয়ে যায় এবং গিলে ফলে তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত নামায ফাসিদ হবে না যতক্ষণ লালার আধিক্য থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে হহিন্দিয়া-১/১০২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ঔষধ মিশ্রিত পানি যদি মুখে প্রবেশ করে, এবং গলায় চলে যায়, তাহলে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে শুধু কাযা আসবে।কাফফারা আসবে না।আর গলার ভিতর চলে না গেলে রোযা ফাসিদ হবে না।
(২)
‘আত্বা (রহঃ) হতে বর্ণিত।
«٢٠١٨ - وَعَنْ عَطَاءٍ قَالَ: إِنْ تَمَضْمَضَ ثُمَّ أَفْرَغَ مَا فِي فِيهِ مِنَ الْمَاءِ لَا يَضِيرُ أَنْ يَزْدَرِدَ رِيقَهُ، وَمَا بَقِيَ فِي فِيهِ، وَلَا يَمْضُغُ الْعِلْكَ فَإِنِ ازْدَرَدَ رِيقَ الْعِلْكَ لَا أَقُولُ إِنَّهُ يُفْطِرُ وَلَكِنْ يُنْهَى عَنْهُ،» - «مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح» (4/ 1399)
তিনি বলেন, সায়িম (রোযাদার) ব্যক্তি কুলি করে মুখ থেকে পানি ফেলে দেয় আর তার মুখের থুথু বা পানির অবশিষ্টাংশ যা থেকে যায় তাতে সওমের কোন ক্ষতি হবে না। আর কোন ব্যক্তি যেন চুইংগাম না চিবায়। যদি চিবানোর কারণে তার রস গিলে ফেলে, তাহলে তার ক্ষেত্রে আমি বলিনি যে, সে সওম ভঙ্গ করল, বরং তা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। (বুখারী- তরজমাতুল বাব)
ইমাম বুখারী এ বর্ণনাটি তাঁর ‘তারজামাতুল বাব’-এ নিয়ে এসেছেন। অধ্যায়টি হলো- (بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ إِذَا تَوَضَّأَ، فَلْيَسْتَنْشِقْ بِمَنْخِرِهِ المَاءَ وَلَمْ يُمَيِّزْ بَيْنَ الصَّائِمِ وَغَيْرِه)।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...