আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন ঃ১))রাসুলুল্লাহ সাঃ কে তুলনা করলে কি তার ঈমান চলে যাবে?কুফুরি হবে?এইটার আলাদা উত্তর চাই হুজুর। বাকি বক্তব্য গুলার উওর ও চাই ইন শা আল্লাহ।


২)যেমন ঃ ১)কেও যদি এইভাবে বলে যে,,, যখন আমাদের প্রিয় নবীকে (সাঃ) অবমাননা করা হয়, তখন আমাদের সকলের কলিজায় আঘাত লাগে৷ যার কারণে অনেকেই অনেক ধরনের কথাবার্তা বলে ফেলে। একইভাবে অন্যান্য ধর্মের কোন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বকে কেউ কটুক্তি করলে তবে সে ধর্মের অনুসারীরাও অনুরূপ আঘাত পায় ৷ এইভাবে তুলনা করা কি যৌক্তিক?


২)আমার ধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করা হলে আমি যেমন কষ্ট পাই, ঠিক একইভাবে অন্য ধর্মের কোন সম্মানিত ব্যক্তিকে অপমান করা হলে তারাও কষ্ট পাবে।
৩)আমার ধর্ম ইসলাম আমাকে শিখিয়েছে একজনের দোষের জন্য অন্যজনকে যেন দোষারোপ না করা হয়। আমার ধর্ম ইসলাম আমাকে শিখিয়েছে ভিন্ন ধর্মের মানুষ যেন নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এটাই আমার ধর্ম ইসলাম।
৪)যেভাবে আমার নবী (সাঃ) এর অবমাননার প্রতিবাদে অন্যান্য ধর্মের ভাইয়েরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, ঠিক একইভাবে তাদের ধর্মের কোন অবমাননা হলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো, এই বিশ্বাস আমি রাখি। পৃথিবীর কোন ধর্ম অন্য ধর্মকে অসম্মান করা শেখায় না

এই টাইপ কথাবার্তা শাতিম ইস্যুতে কতটা যৌক্তিক?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১)
কিসের তুলনা? কার সাথে তুলনা? সে টা ইডিট করে দিবেন।এবং কমেন্টে জানিয়ে দিবেন।

(২)
না, এই ভাবে তুলনা করা অযৌক্তিক নয়। দেখেন, আল্লাহ কেনো এক দিক কে লক্ষ্য করে তিনি নিজের সাথে সাথে বাতিল খোদাদেরকেও উল্লেখ করেছেন,
وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ فَيَسُبُّوا اللَّهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ ۗ كَذَٰلِكَ زَيَّنَّا لِكُلِّ أُمَّةٍ عَمَلَهُمْ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّهِم مَّرْجِعُهُمْ فَيُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত।( সূরা আন'আম-১০৮)

(৩)
জ্বী, এটা ঠিক আছে।

(৪)
পরিস্থিতি হিসেবে যৌক্তিক হলেও সর্বক্ষেত্রে যৌক্তিক বিবেচনা করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...