ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
বালেগ বালেগাহ হওয়ার পর নামাজ ফরজ হয়।
তার আগে ফরজ হয়না।
শরিয়তের বিধান হলো, সাত বছর বয়সে সন্তানকে নামাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। এবং দশ বছর বয়স হলে নামাজের জন্য হালকা প্রহারও করা যাবে। যেন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পূর্বেই নামাজের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে যায়।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
مروا أولادكم بالصلاة وهم أبناء سبع سنين واضربوهم عليها وهم أبناء عشر وفرقوا بينهم في المضاجع
অর্থ : ‘তোমাদের সন্তানদেরকে নামাযের আদেশ দাও যখন তাদের বয়স সাত বছর হবে। আর দশ বছর বয়স হলে নামাযের জন্য তাদেরকে প্রহার কর এবং তাদের পরস্পরের বিছানা আলাদা করে দাও।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বালেগ বালেগাহ হওয়ার পর নামাজ,রোযা ফরজ হয়।
তার আগে ফরজ হয়না।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৮/৯ বছর বয়সে আপনি বালেগাহ না হয়ে থাকলে আপনার উপর যেহেতু তখন নামাজ,রোযা ফরজ হয়নি,তাই সেটি কাজাও আদায় করতে হবেনা।
(০২)
এভাবে পুরো বছর কাজা আদায় করা যাবে।
সমস্যা নেই।
তবে নিয়ম হলো আপনি প্রবল ধারনার উপর ভিত্তি করে সেই নামাজ গুলির আনুমানিক সংখ্যা নির্দিষ্ট করে কাজা আদায় করবেন।
(০৩)
আপনি কি সেই সময় বালেগাহ ছিলেন?
যদি বালেগাহ থাকেন,তাহলে সেই রোযা আদায়ের পাশাপাশি কাফফারাও আদায় করতে হবে।
আর যদি সেই সময়ে আপনি বালেগাহ না হয়ে থাকেন,তাহলে কিছুই আবশ্যক হবেনা।