আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম, হুজুর!

১. ৭ বছর বয়সের পর থেকে নামাজ, রোজা যেকোন বাচ্চার জন্য বাধ্যতামূলক হয়। কিন্তু আমি নামাজ শিখেছি ১০ বছর বয়সে। এমতাবস্থায় ৮, ৯ বছরের রোজা আর নামাজ ক্বাজা হয়েছে কী? আদায় করতে হবে?

২.  আমার কয়েকবছর কখনও নামাজ পড়েছি, কখনও পড়িনি! দিনগুলো মনে নেয়! সেক্ষেত্রে পুরো বছর ক্বাজা আদায় করলে কোন সমস্যা হবে?

৩. ১২ বছর বয়সে ১ টা রোজা প্রচন্ড গরমের কারণে আছরের সময় ভেঙ্গে ফেলেছিলাম! ঐ রোজাটা আদায় করিনি এবং আমার রোজা ভাঙ্গার ভয়াবহতা সম্পর্কে ঐ সময় জানা ছিল না! একটা রোজা ইচ্ছাকৃত ভাঙ্গলে ৬০ রোজা নাহয় ৬০ মিসকিন কে খাওয়াতে হয়! এখন কী এই নিয়ম অনুসরণ করব না রোজাটা (ঐ ১ টা) রাখলে আদায় হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
বালেগ বালেগাহ হওয়ার পর নামাজ ফরজ হয়।
তার আগে ফরজ হয়না।

শরিয়তের বিধান হলো, সাত বছর বয়সে সন্তানকে নামাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। এবং দশ বছর বয়স হলে নামাজের জন্য হালকা প্রহারও করা যাবে। যেন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পূর্বেই নামাজের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে যায়।

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,

مروا أولادكم بالصلاة وهم أبناء سبع سنين واضربوهم عليها وهم أبناء عشر وفرقوا بينهم في المضاجع
অর্থ : ‘তোমাদের সন্তানদেরকে নামাযের আদেশ দাও যখন তাদের বয়স সাত বছর হবে। আর দশ বছর বয়স হলে নামাযের জন্য তাদেরকে প্রহার কর এবং তাদের পরস্পরের বিছানা আলাদা করে দাও।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বালেগ বালেগাহ হওয়ার পর নামাজ,রোযা ফরজ হয়।
তার আগে ফরজ হয়না।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৮/৯ বছর বয়সে আপনি বালেগাহ না হয়ে থাকলে আপনার উপর যেহেতু তখন নামাজ,রোযা ফরজ হয়নি,তাই সেটি কাজাও আদায় করতে হবেনা।

(০২)
এভাবে পুরো বছর কাজা আদায় করা যাবে।
সমস্যা নেই।

তবে নিয়ম হলো আপনি প্রবল ধারনার উপর ভিত্তি করে সেই নামাজ গুলির আনুমানিক সংখ্যা নির্দিষ্ট করে কাজা আদায় করবেন।

(০৩)
আপনি কি সেই সময় বালেগাহ ছিলেন?

যদি বালেগাহ থাকেন,তাহলে সেই রোযা আদায়ের পাশাপাশি কাফফারাও আদায় করতে হবে।

আর যদি সেই সময়ে আপনি বালেগাহ না হয়ে থাকেন,তাহলে কিছুই আবশ্যক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (14 points)
বালেগ/বালেগাহ কোন সময়কে বুঝায়? হুজুর

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 167 views
...