আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
221 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম একজন ভাই আগে হারাম প্রেমে যুক্ত ছিল,এই কথাটা আমার একটা বন্ধুকে বলেছি আর আরেকভাই আগে মাদ্রাসায় পড়ত আর মাদ্রাসায় থাকাকালীন অনেক ভালো ছিল কিন্তু যখন জেনারেল লাইনে আসলো তখন নামাজ ছেড়ে দিয়েছিল এই নিয়ে আমার আরেক বন্ধুর সাথে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলাম এখন কি আমার গীবত হয়েছে?

আসসালামু আলাইকুম একজন ভাই আগে হারাম প্রেমে যুক্ত ছিল,এই কথাটা আমার একটা বন্ধুকে বলেছি আর আরেকভাই আগে মাদ্রাসায় পড়ত আর মাদ্রাসায় থাকাকালীন অনেক ভালো ছিল কিন্তু যখন জেনারেল লাইনে আসলো তখন নামাজ ছেড়ে দিয়েছিল এই নিয়ে আমার আরেক বন্ধুর সাথে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলাম এখন কি আমার গীবত হয়েছে?


আসসালামু আলাইকুম একজন ভাই আগে হারাম প্রেমে যুক্ত ছিল,এই কথাটা আমার একটা বন্ধুকে বলেছি আর আরেকভাই আগে মাদ্রাসায় পড়ত আর মাদ্রাসায় থাকাকালীন অনেক ভালো ছিল কিন্তু যখন জেনারেল লাইনে আসলো তখন নামাজ ছেড়ে দিয়েছিল এই নিয়ে আমার আরেক বন্ধুর সাথে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলাম এখন কি আমার গীবত হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,

معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ). 

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) 

ছয় ছুরতে কাহারো গীবত করা জায়েজ।
তার মধ্যে ২য় নাম্বার হলোঃ-

 الثاني: الاستعانة على تغيير المنكر ورد العاصي إلى الصواب. وبيانه أن يقول لمن يرجو قدرته على إزالة المنكر: فلان يعمل كذا فازجره عنه ونحو ذلك، ويكون مقصوده إزالة المنكر، فإن لم يقصد ذلك كان حراما. 

(দুই) মন্দকে পরিবর্তন করতে এবং গোনাহগারকে নেকির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারো গীবত করা।যেমন এমন কারো কাছে গিয়ে গিবত করা,যে ব্যক্তি ঐ মন্দকাজ সম্পাদনকারীকে ধমক দিতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।শর্ত এই যে, মন্দকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যই থাকতে হবে।উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয় তখন কিন্তু গীবত করা জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি তারা প্রকাশ্যে এই অবৈধ প্রেম ভালোবাসায় লিপ্ত থাকে,যাহা সকলের সামনে প্রকাশিত,তাহলে এভাবে গীবত করার অনুমতি রয়েছে।

আর যদি এমনটি না হয়,তাদের এই গুনাহ যদি তেমন প্রকাশিত না হয়, তাহলে মন্দকে দূর করার জন্য এমন কাহারো কাছে তাহা বলা যাবে,যারা ঐ ব্যাক্তিদের ধমক দিতে পারে,সংশোধনের চেষ্টা করতে পারে।
তাহলে এটি হলা জায়েজ।

আর যদি উপরের কোনোটিই না হয়,তাহলে এভাবে গীবত জায়েজ হবেনা।
হারাম হবে।

গীবতের বৈধ ও অবৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1715


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...