আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম
১. আমি সম্রাট আকবরের দ্বীন এ ইলাহি নিয়ে পড়ছিলাম। এ ব্যাপারে পড়তে গিয়ে আমি কিছু সমস্যায় পড়েছি। কেউ বলে সম্রাট আকবর শেষ জীবনে তওবা করেছিলেন, কেউ বলে করেননি। তার এই নতুন দ্বীনে ১৮ জন সদস্য ছিলো আবার উইকিপিডিয়া বলছে ২১ জন যার মধ্যে তার এক ছেলে ও ছিলো। জানি না কি সত্যি। আকবরের নবরত্নের একজন মুসলিম লোক ও এই ধর্মের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। তাকে আকবরের মৃত্যুর পূর্বেই হত্যা করা হয়। সে সম্ভবত তওবা করে নি। এখন আমার মন শুধু বলছে এদের তাকফির করতে কিন্তু হয়ত এরা তওবা করেও থাকতে পারে যদিও ঐতিহাসিক ভাবে এর কোনো প্রমাণ নেই আর এটাও ঠিক যে ইতিহাসের সব খবর আমাদের জানা হয় না। আমি ওয়াসওয়াসা পাচ্ছি খুব যদি কাফির না বলি তাহলে আমার ঈমান থাকবে না আবার যদি কাফির বলি তাহলেও বিপদ। আমি কি এ ব্যাপার নিয়ে আর মাথা না ঘামিয়ে এটা ভেবে নেবো যে যদি এই দ্বীন এ ইলাহি এর লোকজন তওবা করে থাকে তাহলে কাফের না আর যদি না করে থাকে,স্বেচ্ছায় এ ধর্মের উপর থাকে তাহলে কাফের?

২. এ বিষয়ে পড়ার সময় আমি একজন ভন্ড সূফীর ব্যপারে ও পড়েছি যে কি না এক কুফরী ফতোয়া দিয়েছিলো আর সম্রাট আকবরের পুত্র জাহাঙ্গীর এর স্ত্রী নাকি শিয়া ছিলো। সম্ভবত শিয়াদের মাঝে যেসব লোক সাহাবীদের গালি দেয় সে ধরণের শিয়া। এ ব্যাপারেও আমি ওয়াসায় পড়ে যাচ্ছি।
উক্ত ব্যাপার গুলো নিয়ে আমি ব্যাপক চিন্তায় আছি। আমি কি এগুলোর ব্যাপারে চিন্তা না করে এটা ভাববো যে তাদের কারো মৃত্যু যদি ইচ্ছাকৃত কুফরের উপর হয় তবে তারা কাফের না হয় না। কেননা ইতিহাসের সব খবর ই আমরা জানি না আর গুগল, উইকিপিডিয়া তে কিছু ভুল তথ্য ও থাকতে পারে।

1 Answer

0 votes
by (714,080 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/48394 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

(দীর্ঘ একটি হাদীসের শেষাংশে রাসূলুল্লাহ সাঃ একজন দাসীকে তার ঈমান ইসলাম সম্পর্কে পরীক্ষা করতে যেয়ে প্রশ্ন করেছিলেন)...................

তিনি তাকে (দাসীকে) জিজ্ঞেস করলেনঃ (বলো তো) আল্লাহ কোথায়? সে বলল-আকাশে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (বলো তো) আমি কে? সে বললঃ আপনি আল্লাহর রসূল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তুমি তাকে মুক্ত করে দাও, সে একজন মু’মিনাহ নারী।
(সহীহ মুসলিম-৫৩৭)

আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
(সূরা ফাতির-১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পরকালের নাজাতের জন্য বাদশা আকবরের দ্বীনে এলাহী সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না। বরং আপনাকে, আমাকে, আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আমলের হিসাব দিতে হবে। দ্বীনে এলাহী সম্পর্কে কবরে জিজ্ঞাসা করা হবে না।সুতরাং এ সম্পর্কে চিন্তাগবেষণা না করাই উচিৎ।

হ্যা, আপনি যা বলেছেন,
"যদি এই দ্বীন এ ইলাহি এর লোকজন তওবা করে থাকে তাহলে কাফের না, আর যদি না করে থাকে,স্বেচ্ছায় এ ধর্মের উপর থাকে তাহলে তারা কাফের।"

এমন আকিদা বিশ্বাস রাখতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...