আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম
১।মেয়েদের নামাযে পায়ের পাতার তালুর অংশ বের হয়ে গেলে কি নামায হবে?

২।  ওযুর সময় বা গোসলের সময় কুলিতে গড়গড়া করা কি ফরয? যদি হয়, তা হলে ফরয গোসলে গড়গড়া না করলে কি গোসল হবে না?

৩।  কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্টুডেন্টকে যদি মাসিক কিছু টাকা বৃত্তি দেয়া হয়,তাহলে কি তা জুয়া হবে? কারন,ভর্তি পরীক্ষা বাবদ ফি নেয়া হয়েছিল  সবার কাছ থেকে কিন্তু সবাই মেধাতালিকায় স্থান পায় নি,যদিও এ টাকা পরীক্ষায় খরচ হয়ে যাওয়ার কথা এবং বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারনে এই টাকা সংস্থা ( ইসলামিক )কতৃক দানকৃত ও হতে পারে।এমতাবস্থায়, বৃত্তির টাকা কি হালাল হবে

?

৪) কোরআনে জেনার কাছেও যেতে মানা করা হয়েছে। এর অর্থ কি এই যে চোখ দিয়ে বেগানা নারি পুরুষ কে দেখলে সেটাও জেনার কাছে যাওয়া হবে?

৫।হাদিসে এসেছে, কোন ব্যাক্তি যার এলেম আছে, সে যদি এলেম থাকা সত্ত্বেও সতর্ক না হয় , তাহলে সে সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তি।এর মানে এই যে সাধারণ মুসলিম  কেউ যদি জেনেশুনে গুনাহ করে, সে এই পর্যায়ে পড়বে?

৬। আপনারা কি হানাফি মাজহাব অনুসরন করেন?

1 Answer

0 votes
by (719,040 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, নামায হবে।কেননা পায়ের পাতার তালু সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।
(২)
ওজুর ধারাবাহিক সুন্নত বর্ণানায় ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় উল্লেখিত রয়েছে- 
(ومنها المضمضة والاستنشاق) والسنة أن يتمضمض ثلاثا أولا ثم يستنشق ثلاثا ويأخذ لكل واحد منهما ماء جديدا في كل مرة وكذا في محيط السرخسي.

وحد المضمضة استيعاب الماء جميع الفم وحد الاستنشاق أن يصل الماء إلى المارن. كذا في الخلاصة.

إن ترك المضمضة والاستنشاق أثم على الصحيح؛ لأنهما من سنن الهدى وتركها يوجب الإساءة بخلاف السنن الزوائد فإن تركها لا يوجب الإساءة هكذا في السراج الوهاج.
ওজুর সুন্নত সমূহের মধ্যে একটি সুন্নত হলো,(১)মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা(২)ইস্তেনশাক্ব তথা নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।নতুন পানি দ্বারা প্রথমে তিনবার মাদমাদাহ করা তারপর আবার নতুন পানি দ্বারা তিনবার ইস্তেনশাক্ব করা সুন্নত।
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মাদমাদাহ এবং ইস্তেনশাক্ব ছেড়ে দিলে গোনাহ হবে।কেননা এ দু'টো সুন্নতে মু'আক্বাদাহ (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিয়মিত সুন্নত)।এবং ছেড়ে দেওয়া গোনাহকে ওয়াজিব করে।তবে অন্যান্য সুন্নতে যায়েদাহ কে ছেড়ে দিলে কেউ গোনাহগার হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭)

وَالْمُبَالَغَةُ فِيهِمَا سُنَّةٌ أَيْضًا. كَذَا فِي الْكَافِي وَشَرْحِ الطَّحَاوِيِّ إلَّا أَنْ يَكُونَ صَائِمًا. كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة 
ভালভাবে গড়গড়া করে কুলি করা, ও ভালভাবে নাকে পানি পৌঁছানো সুন্নত।তবে রোযাদারদের জন্য সুন্নত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/8222

অজু বা ফরয গোসলে গড়গড়া করে কুলি করাকে পরিত্যাগ করলেও অজু গোসল হবে।

(৩)
যদি এই বৃত্তির টাকা দানকৃত হয়,  কোনো সংস্থা থেকে আসে, তাহলে জুয়া হবে না।নতুবা জুয়া হবে।



(৪)
জ্বী, চোখ দ্বারা দেখাও এক প্রকার যিনা।

(৫)
যিনি জানবেন।চায় তিনি আলেম হন অথবা নাই হন, সবার ব্যাপারে এমনটা এসেছে।

(৬)
জ্বী।আমরা হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করি।তবে সকল মাযহাবকে সম্মান করি। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (719,040 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম, কিছু বিষয় সম্পর্কে এখনোও নিশ্চিত হতে না পারায় আবার প্রশ্ন করছি
৩। এখন আমার জানা মতে ভর্তি পরীক্ষা  ফি পরীক্ষার কাজেই খরচ হওয়ে যাওয়ার কথা ( সাধারনত এমনটাই হয়) কিন্তু আমি যেহেতু নিশ্চিত জানি না টাকাটা কোথা হতে দিচ্ছে, আমি কি করবো? টাকাটা কি হালাল? 
৪।উক্ত আয়াতে তো শারিরীক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে। চোখে  পর পুরুষ নারী কাউকে দেখলেই  কি মুল যেনার কাছে যাওয়া হল?
৫।তার মানে কোন মুসলিম সে  জেনে যে  গুনাহ ই করুক ছোট বড় সে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে  খারাপ? আরেকটা ব্যাপার জানতে চাই,কেউ গুনাহ করল,কিন্তু মনে মনে জানে যে সে ঠিক করছে না কিন্তু যদি ভাবে যে, আল্লাহর রহমত অনেক বড়।সে কি সত্যি কে অস্বীকার করে অহংকার করল?
জাজাকাল্লাহ 
by (719,040 points)
(৩)
নিশ্চিত রূপে যেহেতু জানেননা, তাই আপনার জন্য ঐ টাকা হালাল।
by (719,040 points)
(৪)
না, মূল যিনা হবে না।
by (719,040 points)
(৫)
এমনটা মনে মনে ভাবলে তার গোনাহ সম্পাদনের জন্য তো গোনাহ হবে।তবে কাফির হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...