আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
একবোনের একটি ছেলের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। কিন্তু ছেলের পরিবারের সাথে সমস্যা হ‌ওয়ায় বোনটি নিজের বাবার বাড়িতে চলে আসে। তার ভাষ্যমতে ছেলের পরিবার একটু জালিম‌ও।


বোনটি বাবার বাড়িতে চলে আসার পর ঐ ছেলেটি দ্বিতীয় বিয়ে করে।

এখন বোনটি আর ঐ স্বামীর সংসার করতে রাজী নয়। কিন্তু ছেলেটি এই বোনকেও সাথে রাখতে চায়। অর্থাৎ দুই স্ত্রীকেই সাথে রাখতে চায়।


স্বামী যদি তালাক না দেয়

এই বোন কি কোনভাবে তালাক নিতে পারবে।


বিঃদ্রঃ কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা এই কলামের উত্তরে হ্যা লিখা আছে। কিন্তু স্বামী সেটা অস্বীকার করেছে।স্বামীর মৌখিক ভাষ্য হলো সে স্ত্রীকে তালাক নেওয়ার অনুমতি দেয়নি।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি জেনে শুনে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়, অথবা সেখানে কাজী সাহেব বা অন্য কেহ হ্যাঁ লিখে দেয়,আর স্বামী তাহা জেনে শুনে নিচে স্বাক্ষর দেয়,আর এই নিকাহ নামা বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার পরে যদি লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবে। 

তবে যদি এমনটি না হয়,স্বামী যদি না জেনেই নিচে সাইন করে,সে যদি তালাকের ক্ষমতা প্রদানের এই বিষয় সম্পর্কে স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা,অথবা এই নিকাহ নামা যদি বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার আগে লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।
 
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    

সুতরাং  যদি স্বামীর দস্তখত করার সময় জানা থাকে যে, কাজী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছে মর্মে উপরে লিখে দিয়েছে, একথা জানার পরও যদি স্বামী উক্ত কাগজের নিচে সাইন করে, তাহলে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে বলে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে স্ত্রী যদি পরবর্তীতে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যায়।

আরো জানুনঃ 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে ঐ নিকাহনামা বিবাহের ইজাব কবুলের আগে লেখা হয়েছিলো?
নাকি বিবাহের ইজাব কবুলের পরে লেখা হয়েছিলো?

যদি বিবাহের ইজাব কবুলের আগে লেখা হয়,তাহলে এখানে স্ত্রী কোনোভাবেই তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।

আর যদি এটি ইজাব কবুলের পরে লেখা হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে স্বামী নিজে নাও লিখে থাকে,তবে নিচে দস্তখতের সময় স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয় জেনে শুনেই নিচে স্বাক্ষর দেয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবে। 
অন্যথায় পাবেনা।
,
যদি স্বামী বলে যে আমি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়নি,নিকাহনামার ১৮ নং ধারাতে আমি "হ্যা" লিখিনি,ঐটা কাজি সাহেবই লেখেছেন,আর আমি বিষয়টি না জেনে শুনেই নিচে স্বাক্ষর করেছি,১৮ নং ধারায় স্ত্রীলে তালাকের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা,তাহলে এমতাবস্থায় স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা। 
স্ত্রী এক্ষেত্রে নিজেকে নিজে তালাক প্রদান করতে পারবেনা।

এক্ষেত্রে স্ত্রী আর ঘর সংসার করতে না চাইলে খোলা করতে পারেন।

খোলা হলো মোহরানা বা কোনো সম্পদের বিনিময়ে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করা।
,  
খোলা তালাক  সংক্রান্ত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...