আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম   শায়েখ।
১.আমাদের সমাজে সাধারণত যারা বড় চুল রাখে তাদেরকে মাস্তান টাইপ ছেলে ভাবা হয়। কেউ বড় চুল রাখলে আমার ভালো লাগত না। একটা ছেলে কে বড় চুল রাখতে দেখে।  আমার খারাপ লাগত। তো একদিন আমি তাকে বলি যে এত বড় চুল রাখছ কেন। তখন সে বলে, কেন রাখলে কি সমস্যা। তখন আমি বলি না সমস্যা নয় এভাবে বলি। আর কিছু বলছিলাম নাকি আমার মনে নেই।  পরে জানি যে,  সে সুন্নাত হিসেবে বড় চুল রাখছিল। শায়েখ, তখন ঈমান  ভংগের কারন জানতাম নাকি আমার মনে নেই। তাকে এভাবে বলার কারনে কি আমার ঈমানের   কোন  সমস্যা   হবে?  আর বড় চুল রাখাকে খারাপ মনে করার দারা কি ঈমানের কোন   সমস্যা হবে?

২.কয়েকজন মিলে গল্প করার সময় আমার এক বন্ধু বলে যে, চুল কাটতে অত টাকা আর খরচ করা যাবে  না, তখন আমি তার ঘাড় দেখে  দিয়ে বলি যে,  এই পর্যন্ত চুল রাখ। কিন্তু আমার বন্ধু কথাটা বুঝতে পারছে নাকি আমি জানি না। আমার বন্ধুকে অই কথাটা বলার পর আমি মনে  মনে ভাবি যে, আমি হাদিস নিয়ে ঠাট্রা করলাম নাকি। তখন আমি সাথে  সাথে ইস্তিগফার পড়ি। শায়েখ আমার বন্ধু কে আমি অই কথাটা ঠাট্রার জন্য বলছি নাকি আমি মনে করতে পারছি না। যদি আমি আমার বন্ধুকে অই কথাটা ঠাট্রার জন্য বলি আর মনে হওয়ার পর সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি তাহলে কি আমার  ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৩.শায়েখ আজকে একটা বিষয় নিয়ে  অলসতার কারনে   আমি মনে মনে বিভিন্ন অজুহাত দেখাই। তখন আমি মনে মনে বলি, আল্লাহ কি বোকা,  আল্লাহ কে আমি বোকা বানাচ্ছি( এটা  বলেছিলাম নাকি আমার সঠিক মনে নেই)( নাউজুবিল্লাহ)।  আল্লাহ মনের খবর সব জানেন। আমার মনের ইচ্ছা আছে নাকি অই কাজে  সব আল্লাহ   জানেন।  শায়েখ এভাবে মনে মনে ভাবার পর বা বলার পর। আমি সাথে সাথে    ইস্তিগফার পড়ি। এভাবে মনে মনে ভাবার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৪. শায়েখ ফেসবুকে স্ক্রল করার সময় এক হুজুরের ভিডিও দেখে আমি মনে মনে  বলি যে,  এই হুজুর শুধু হাদিসের কথা বলে বা হাদিস নিয়ে কথা বলে। কুরআনের কথা বলে না। এই বলে আমি অন্য ভিডিও তে দেই। তখন আমার মনে হয় যে, এটা বল্লে  গুনাহ হবে নাকি বলে  অই ভিডিও তে আবার ফিরে আসি এবং ভিডিও কিছুটা দেখি।  শায়েখ তখন ইস্তিগফার পরেছিলাম নাকি আমার  মনে নেই।     শায়েখ এভাবে বলার দারা আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি? পরে অই হুজুরের আরও অন্য  ভিডিও তে দেখি যে তিনি কুরআনের কথা  ও বলেছে ন। কিন্তু আমার মনে মনে  এ  কথা বলার দারা  তার উপর কি মিথ্যারোপ করা হল। আর এ কথা বল দারা    কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৫.হুজুর কারো যদি ফেসবুকে কুরআন বা হাদিসের কোন ভিডিও আসে কিন্তু সে সেটা না দেখে অন্য কোন  নাটক বা সিিিনেমার  ভিডিও দেখে তাহলে কি তার ঈমানের কোন  সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
এতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 

(০৩)
এভাবে মনে মনে ভাবার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এ কথা বলার দ্বারা আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 
আপনি সেউ ভিডিও না দেখে অন্য ভিডিও  দেখলেও সমস্যা হতোনা।

ঐ ভিডিও আবারো দেখার কোনো আবশ্যকীয়তা নেই।

(০৫)
তাহলে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
,
তবে নাটক সিনেমা দেখা যেহেতু কবিরাহ গুনাহ,তাই তাকে এসব গুনাহ ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে, ভবিষ্যতে এহেন গুনাহ না করার উপর ওয়াদা বদ্ধ হতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...