আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
হুজুর অামার জানামতে অাহলে সুন্নাহ এর অাকীদা অনুসারে কাফের ছাড়া সবাই বেহেশতে যাবে। কিন্তু এই অায়াতে লিখা

আল্লাহ তা'আলা ব্যবসা ও সুদ সম্পর্কে বলেন,
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لاَ يَقُومُونَ إِلاَّ كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُواْ إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا فَمَن جَاءهُ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِ فَانتَهَىَ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।(সূরা বাকারা-২৭৫)


এখন যারা জানা সও্বেও বার বার সুদ নেয় তারা কি চির জাহান্নানী


এেডিট কার্ড এর মাধ্যমে  পণ্য কিনার জন্য নানা অফার পাই সে অফার গুলো নেওয়ার মাধ্যমে যে পণ্য কিনি তা কি হারাম হবে। ধরুণ বাইরে চালের দান ৬০ টাকা কার্ড ব্যাবহার এর ফলে ৫৫ টাকায় কিনতে পারলাম। এখন সে চাল খাওয়া কি হারাম হবে।

1 Answer

0 votes
by (684,920 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-

اَلَّذِیۡنَ یَاۡکُلُوۡنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوۡمُوۡنَ اِلَّا کَمَا یَقُوۡمُ الَّذِیۡ یَتَخَبَّطُہُ الشَّیۡطٰنُ مِنَ الۡمَسِّ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَالُوۡۤا اِنَّمَا الۡبَیۡعُ مِثۡلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللّٰہُ الۡبَیۡعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا ؕ فَمَنۡ جَآءَہٗ مَوۡعِظَۃٌ مِّنۡ رَّبِّہٖ فَانۡتَہٰی فَلَہٗ مَا سَلَفَ ؕ وَ اَمۡرُہٗۤ اِلَی اللّٰہِ ؕ وَ مَنۡ عَادَ فَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۲۷۵﴾

যারা সুদ খায় তারা তার ন্যায় দাঁড়াবে যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এ জন্য যে তারা বলে, ‘ক্রয়-বিক্রয় তো সুদেরই মত। অথচ আল্লাহ্ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন। অতএব যার নিকট তার রব-এর পক্ষ হতে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, তাহলে অতীতে যা হয়েছে তা তারই; এবং তার ব্যাপার আল্লাহর ইখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় আরম্ভ করবে তারাই আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।
(সুরা বাকারা ২৭৫)

উল্লেখিত আয়াতে সুদখোরদের এ শাস্তির কারণ বর্ণিত হয়েছে, তারা দুটি অপরাধ করেছেঃ (এক) সুদের মাধ্যমে হারাম খেয়েছে। (দুই) সুদকে হালাল মনে করেছে এবং যারা একে হারাম বলেছে, তাদের উত্তরে বলেছেঃ ‘ক্রয়-বিক্রয়ও তো সুদেরই অনুরূপ। সুদের মাধ্যমে যেমন মুনাফা অর্জিত হয়, তেমনি ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যেও মুনাফাই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। অতএব, সুদ হারাম হলে ক্রয়-বিক্রয়ও তো হারাম হওয়া উচিত’। অথচ কেউ বলে না যে, ক্রয়-বিক্রয় হারাম। এক্ষেত্রে বাহ্যতঃ তাদের বলা উচিত ছিল যে, সুদও তো ক্রয়-বিক্রয়ের মতই। ক্রয়-বিক্রয় যখন হালাল তখন সুদও হালাল হওয়া উচিত। কিন্তু তারা বর্ণনাভঙ্গি পাল্টিয়ে যারা সুদকে হারাম বলত, তাদের প্রতি এক প্রকার উপহাস করেছে যে, তোমরা সুদকে হারাম বললে ক্রয়বিক্রয়কেও হারাম বল। [মাআরিফুল কুরআন]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হারামকে জেনে শুনে হালাল বললে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যায়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

উক্ত আয়াতে সুদখোর দ্বারা ঐ সূদ খোর উদ্দেশ্য,যে সূদকে হালাল বলে ও বারবার সূদী কারবার করে,তাদের শাস্তি হিসেবে চীরস্থায়ী জাহান্নাম।
কেননা সে সূদকে হালাল বলার সাথে সাথেই কাফের হয়ে গিয়েছে,আর কাফেরের শাস্তি চিরস্থায়ী জাহান্নাম।


(০২)
https://ifatwa.info/51387/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে 
ক্রেডিট কার্ড অর্থ সুদে ঋণ গ্রহণ।সুদে ঋণ গ্রহণ হারাম। তবে কেউ যদি ঋণ গ্রহণ করে নেয়, তাহলে সুদ প্রদানের গোনাহ হবে। তবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কোনো কিছু ক্রয় করা হলে তা নাজায়েয হবে না, যদি ক্রেডিট কার্ডের পয়সাকে হালাল টাকা দ্বারা পরিশোধ করা হয়ে থাকে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে  পণ্য ক্রয়ের জন্য নানা অফার পেলে সে অফার গুলো নেওয়ার মাধ্যমে যে পণ্য করবেন, তা হারাম হবেনা। 

তবে শর্ত হলো,ক্রেডিট কার্ডের পয়সাকে হালাল টাকা দ্বারা পরিশোধ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (31 points)
edited by
হুজুর যারা সুদ খায় তারা অাজীবণ এই ত সুদ খায় কিন্তু সুদকে হারাম মনে করে তারা কি চির জাহান্নামী। 
হুজুর উওর দিলে উপকার হত। এইসব বিষয় ওয়াসওয়াস তে থাকি। কারণ অামার অনেক অান্তীয় ত জড়িত। তাদের নিয়ে ভয় হয় 
by (31 points)
হুজুর নিচের প্রশ্নটি অামি অামার জানা ও দেখার ভিওিতে করেছি। এর বাইরে অারও কিছু অাছে কিনা অামি জানি না। তাই দয়া করে এই সম্পকে কোন কিছু জানতে পারলে অামাকে জানাবেন। অন্য ফতোয়ার দেওয়ার অাগে দয়া করে নিজে থেকে বিশ্বত সূএ থেকে জেনে নিবেন ও অামার ভূল হলে জানাবেন
অার হুজুর অামার কমেন্ট দেখে থাকলে অপর একটি কমেন্ট করে অামকে চিন্তা মুক্ত করবেন ইনশাঅাল্লাহ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...