আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
reshown by

হুজুর যারা সুদ খায় তারা অাজীবণ এই ত সুদ খায় কিন্তু সুদকে অাবার হারাম মনে করে তারা কি চির জাহান্নামী

 ধরেন কেউ অামার হাসপাতালের বিল পরিশোধ করল কিন্তু টাকা দিতে চাইলে নিল না অারও নানা ভাবে সাহায্য করল। এর ফলে তার জন্য অামার মনে টান অনুভব হবে। অার  অন্যদের বিপদে যে সাহায্য করতাম তাকে পারলে অারও বেশি সাহায্য করতাম বা অন্য মানুষ কে সাহায্য না করে হলেও যে অামাকে সাহায্য করেছে তাকে সাহায্য করব কারণ সে অামাকে সাহায্য করেছে।
 তার সাহায্যর এর প্রতিদান হিসাবে যে অামি তাকে সাহায্য করতে চাই ও সাহায্য করি বা অন্যদের চেয়ে অনেক বিষয়ে বেশি গুরত্ব দেই এর ফলে কি কোন গুণাহ হবার সম্ভাবনা থাকে


অামি একজন সাধারণ মানুষ অার হালাল হারাম নিয়ে মনে অনেক প্রশ্ন ও ওয়াসওয়াস অাসে। যা বার বার জিজ্ঞেস করাও অনেক কঠিন ও এর ফলে অামি অনেকটা বিরক্ত বোধ করি ও কষ্ট পাই।অার হালাল কাজও হালাল কি না তা নিয়ে দ্বিধায় পরে যাই।  এর ফলে অামি যা হারাম হিসাবে শিউর ভাবে জানি না সে সব বিষয় হালাল ধরে নেই কিন্তু যদি বিশ্বত কারও কাছ থেকে জানতে পারি তা হারাম তবে তা বিশ্বাস করি ও মানতে চেষ্টা করি ।
এতে কি কোন সমস্যা হবে

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-

اَلَّذِیۡنَ یَاۡکُلُوۡنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوۡمُوۡنَ اِلَّا کَمَا یَقُوۡمُ الَّذِیۡ یَتَخَبَّطُہُ الشَّیۡطٰنُ مِنَ الۡمَسِّ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَالُوۡۤا اِنَّمَا الۡبَیۡعُ مِثۡلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللّٰہُ الۡبَیۡعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا ؕ فَمَنۡ جَآءَہٗ مَوۡعِظَۃٌ مِّنۡ رَّبِّہٖ فَانۡتَہٰی فَلَہٗ مَا سَلَفَ ؕ وَ اَمۡرُہٗۤ اِلَی اللّٰہِ ؕ وَ مَنۡ عَادَ فَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۲۷۵﴾

যারা সুদ খায় তারা তার ন্যায় দাঁড়াবে যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এ জন্য যে তারা বলে, ‘ক্রয়-বিক্রয় তো সুদেরই মত। অথচ আল্লাহ্ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন। অতএব যার নিকট তার রব-এর পক্ষ হতে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, তাহলে অতীতে যা হয়েছে তা তারই; এবং তার ব্যাপার আল্লাহর ইখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় আরম্ভ করবে তারাই আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।
(সুরা বাকারা ২৭৫)

উল্লেখিত আয়াতে সুদখোরদের এ শাস্তির কারণ বর্ণিত হয়েছে, তারা দুটি অপরাধ করেছেঃ (এক) সুদের মাধ্যমে হারাম খেয়েছে। (দুই) সুদকে হালাল মনে করেছে এবং যারা একে হারাম বলেছে, তাদের উত্তরে বলেছেঃ ‘ক্রয়-বিক্রয়ও তো সুদেরই অনুরূপ। সুদের মাধ্যমে যেমন মুনাফা অর্জিত হয়, তেমনি ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যেও মুনাফাই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। অতএব, সুদ হারাম হলে ক্রয়-বিক্রয়ও তো হারাম হওয়া উচিত’। অথচ কেউ বলে না যে, ক্রয়-বিক্রয় হারাম। এক্ষেত্রে বাহ্যতঃ তাদের বলা উচিত ছিল যে, সুদও তো ক্রয়-বিক্রয়ের মতই। ক্রয়-বিক্রয় যখন হালাল তখন সুদও হালাল হওয়া উচিত। কিন্তু তারা বর্ণনাভঙ্গি পাল্টিয়ে যারা সুদকে হারাম বলত, তাদের প্রতি এক প্রকার উপহাস করেছে যে, তোমরা সুদকে হারাম বললে ক্রয়বিক্রয়কেও হারাম বল। [মাআরিফুল কুরআন]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেহ যদি সূদকে হারাম বলেই আজীবন সূদ খায়,এটিকে যদি হালাল না বলে,তাহলে সে চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবেনা।

তবে কেহ যদি সূদকে হালাল বলে খায়,তাহলে সে কাফের হয়ে যাওয়ার ফলে চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
না,এর ফলে কোনো গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

(০৩)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনি জেনে শুনে কোনো হারামকে হালাল বললে ঈমান চলে যাবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কোনো হারাম কাজ করলে গুনাহ হবে।
তাই যেই কাজের বিধান আপনি জানেননা,সেটির বিধান আপনাকে জেনে নিতে হবে।

যে কাজের ব্যাপারে মনে খটকা লাগে,সেটির বিধানও জেনে নিতে হবে।

তবে সঠিকতা জানার পর ওয়াসওয়াসা আসলে সেই ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবেননা।

প্রয়োজনে আহকামে জিন্দেগী গ্রন্থ কাছে রাখতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...