আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
edited by

১. অনেক সময় মনে বিভিন্ন কথা চলে আসে যা সরাসরি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। হাদীস অনুযায়ী জানা আছে মনে মনে এভাবে কুফর হয় না। কিন্তু তার পরেও যদি মনে অশান্তি লাগে যে এতেও কুফর হলো  কি না, এবং মনের অশান্তি দূরীকরণে যদি কলিমা শাহাদাত পাঠ করি,এই নিয়তে যে ইমানে সমস্যা হলে যেনো ঠিল হয়ে যায়৷ এতে কি হাদীসের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ পায়? বা এভাবে কি কলিমা শহাদত পাঠ করতে পারি?না কি কোনো সমস্যা আছে?

২. কিছু দিন পূর্বে, একজন কোরআনকে একটি বই বলে সম্ভোদন করে তখন কারো মনে মনে ভাবনা আসে যে, কোরআন তো কিতাব না আল্লাহর কালাম,কিন্তু পরে মনে পরে কোরআনেই তো আল্লাহ কোরআনকে কিতাব বলে সম্ভোদন করেছেন, এর ফলে কি ইমানে সমস্যা হবে?

৩. আল্লাহর সিফত কি আল্লাহর অংশ?

৪. "কেও যদি বলো কোরআনের কেনে ক্ষমতা নাই,ক্ষমতা সব আল্লাহর" এই কথা কি সম্পূর্ণ ঠিক আছে? না কি এতে কোনো ভাবে কোরআন যে আল্লাহর সিফত তা অস্বীকার করা হয় না এমন কিছু?

৫.কেও যদি বলে এ কি রকম কালারের পাঞ্জাবি পরে সব মেয়েরার কামিজের মতো লাগে, এতে কি সুন্নত অপমানের জন্য তার গুনাহ বা ইমানে সমস্যা হবে?

৬. তালাকের অধিকার প্রাপ্ত বউ যদি তার স্বামীকে, "তালাক" এইটুক বলে তবে কি তালাক হয়ে যায়? না কি নিজের দিকে নিসবত না করায় তা স্বাব্যস্ত হবে না?

৭. বউ যদি বলে, "কিছু কিছু মানুষ তাদের এক জামাইর সাথে থাকে আর দিয়ে দেয় বলে দেয় ডিভোর্স," আবার কিছু সময় পর মজা করে করে বলে," আমাকে তোমার পছন্দ হয় না, না? তাইলে আমি বলে দেই সেই শব্দ গুলো?" স্বামী হেসে চুপ থাকে। ( তালা* নেওয়া ইঙ্গিত  করছে) এই কথা গুলোর দরূন কি বিবাহে সমস্যা হবে?

৮. আজকে  বিদেশে অনেকে জুমার নামাজ পরতে পারে না,  এটা মাথায় আসার পরে কেও যদি ভাবে জুমার নামাজ তো ফরজ না, জোহর ফরজ, এটা আসল ( আসলে সব জায়গয় তো জুমা পরা যায় না,কিন্তু জোহর পরতেই হবে,এটা বিবেচনায় মনে মনে ভেবেছিলো জুমা তো ফরজ না) যদিও জানা ছিলো জুমা ফরজ, তারপরেও কেনো এই ভাবনা মাথায় চলে এলো জানে না.. তার পর জুমা ফজর কিনা এটা নিয়ে ইখতেলাফ আছে কিনা জানার জন্য গুগল করে, এবং কোরআনের সরাসরি দলিলে জানতে পারে তা ফরজ,এবং মেনে নেয়।

এর দরূন কি ইামনে সমা্স্যা হবে?

৯. কেও নিজের কথা বলছে যে আমার অমুক শহরে পড়াশোনার কথা ছিলো, এটা শুনে কেও যদি বলে "আল্লাহ তোমারে ঘাড়ো ধইরা এই জায়গায় আইনা ফালাইছেন"  এতে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

১০. নিজের স্বামী হঠাৎ পরিবর্তন হওয়ার প্রেক্ষিতে, হুজুরকে স্বামী হিসাবে চায় না এটা বুঝানোর জন্য যদি বলে, " সারাজীবন যেটা নিয়া নাক ছিটকাই কপালে ইতাই থাকে, কি নুংরা কপাল আমার " আরো বললো " আমার পর্দা করার ইচ্ছে নাই"  এবং পরে যদি বলে " আমিও সোজা সাপ্টা কইরাম, আমি যদি তখন মাইন্না নিতে না পারি আমি আলাদা হই যাইমু" 

প্রথম দুই কথায় কি স্ত্রীর ইমানে সমস্যা হবে? আর দ্বিতীয় কথায় কি বিবাহে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (677,200 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

 يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ ، فَيَقُولَ : مَنْ خَلَقَ كَذَا وَكَذَا ؟ حَتَّى يَقُولَ لَهُ : مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ ؟ فَإِذَا بَلَغَ ذَلِكَ ، فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ وَلْيَنْتَهِ 

শয়তান তোমাদের কারো নিকট আসে এবং বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে, ওটা কে সৃষ্টি করেছে? পরিশেষে এ প্রশ্নও করে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? এ পর্যায়ে পৌঁছলে তোমরা আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর এবং এ ধরণের ভাবনা থেকে বিরত হও। ( বুখারী ৩২৭ )

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلُوهُ: إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ، قَالَ: وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ؟ قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ.
সারমর্মঃ
একবার সাহাবায়ে কেরমের একদল রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা আমাদের অন্তরে কখনো কখনো এমন বিষয় অনুভব করি, যা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা আমাদের কাছে খুব কঠিন মনে হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সত্যিই কি তোমরা এরকম পেয়ে থাক? তাঁরা বললেন হ্যাঁ, আমরা এরকম অনুভব করে থাকি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ এটি তোমাদের ঈমানের স্পষ্ট প্রমাণ। (মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদ: অন্তরের ওয়াসওয়াসা)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে হাদীসের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ পায়না।
এভাবে কালিমা শাহাদত পাঠ করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।

তবে এভাবে কালেমা পাঠ যদি আপনার স্বাভাবিক জীবন যাপনে সমস্যা সৃষ্টি করে,সেক্ষেত্রে ওয়াসওয়াসাই বৃদ্ধি পাবে,সমাধান হবেনা।

(০২)
এর ফলে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৩)
আল্লাহর সিফাত আল্লাহর অংশ নয়। 

(০৪)
এ কথা সঠিক আছে।

(০৫)
এতে তার গুনাহ হবেনা, ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৬)
নিজের দিকে নিসবত না করায় তাহা তালাক হিসেবে সাব্যস্ত হবে না।

(০৭)
এই কথা গুলোর দরূন বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০৮)
এর দরুন ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৯)
এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(১০)
প্রথম দুই কথায় স্ত্রীর ঈমানে সমস্যা হবেনা। আর দ্বিতীয় কথায় বিবাহে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...