আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
132 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ্। 
যদি মা বাবা এমন কাজ করতে বলেন, যেটা করলে আসলে কোনো লাভ/ক্ষতি নেই মা বাবা সেটাকে সন্তানের উপর চাপিয়ে দিতে চান তখন সন্তান সেটা না করতে চাইলে আল্লাহ্ কি অখুশি হবেন?

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ্। 
যদি মা বাবা এমন কাজ করতে বলেন, যেটা করলে আসলে কোনো লাভ/ক্ষতি নেই মা বাবা সেটাকে সন্তানের উপর চাপিয়ে দিতে চান তখন সন্তান সেটা না করতে চাইলে আল্লাহ্ কি অখুশি হবেন?

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ্। 
যদি মা বাবা এমন কাজ করতে বলেন, যেটা করলে আসলে কোনো লাভ/ক্ষতি নেই মা বাবা সেটাকে সন্তানের উপর চাপিয়ে দিতে চান তখন সন্তান সেটা না করতে চাইলে আল্লাহ্ কি অখুশি হবেন?

1 Answer

+1 vote
by (677,640 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


মা বাবার সর্বদায় আনুগত্য করতে হবে,তাদের কথার নাফরমানী করা যাবেনা।
তাদের সাথে সর্বদায় ভালো ব্যবহার করতে হবে।

তারা কষ্ট পায়,এমন কাজ কখনোও করা যাবেনা।
তাদের হক বা অধিকারসমূহ এবং তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা সন্তানের ওপর ওয়াজিব বা আবশ্যক।

 পিতামাতার খরচ বহন করা; তাদের খোঁজ-খবর নেয়া; প্রয়োজনের সময় বিশেষ করে বার্ধক্যে তাদের পাশে থাকা আবশ্যক ।

মাতাপিতার দেখভাল করা ও তাদের সাথে উত্তম আচরণ করা শরীয়ত কর্তৃক ফরয ঘোষনা করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

“আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি মা বাবা এমন কাজ করতে বলেন, যেটা করলে আসলে কোনো লাভ/ক্ষতি নেই। মা বাবা সেটাকে সন্তানের উপর চাপিয়ে দিতে চান, এক্ষেত্রে বিধান হলো দেখতে হবে কাজটি করা বৈধ কিনা? ঐ কাজটি করতে গিয়ে কোনো নাজায়েজ কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে কিনা?
কাজটি সন্তানের সাধ্যের মধ্যে কিনা?

যদি কাজটি বৈধ হয়,কাজটি করতে গিয়ে সন্তানের কোনো নাজায়েজ কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবেনা,এবং কাজটি সন্তানের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে,কাজটি করতে সন্তানের সময় সুযোগও রয়েছে,সেক্ষেত্রে উক্ত কাজটি করা তার উপর আবশ্যক। 

নতুবা আল্লাহ তায়ালার উপরোক্ত আয়াত গুলির উপর পূর্ণ আমল হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...