আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
reshown by
আস সালামু আলাইকুম শায়েখ।  আমার একটা প্রশ্ন ছিলো।  গত মাসের ২৯ তারিখ আমার পরীক্ষা ছিলো।  আমি সবগুলোও পারা জিনিস ভুল করে এসেছি তো আমার মনটা খারাপ হয়ে গেছিলো । রুমে আসার পরে রুমের ভাই তো বিশ্বাস করেনা বলে আপনি এভাবেই কথা বলেন খাতা দিলে দেখা যাই আপনি হায়েস্ট।
তো একসময় আমি বলি আল্লাহর কসম আমি ২০ ও পাবোনা।
পরে আর এর ভাই এসেছিলো তখন বলেছিলাম 15 ই পাবোনা ভাই কি বলেন ভালো পরীক্ষা দিছি।  কিন্তু আমি ১৫ এর সময় কসমের আওতায় ধরেছি কিনা জানিনা।  যদিও আমি যা লিখছি পরীক্ষায় তা ১৫ বেশি হবে। আজকে খাতা দিলে আমি 19 পেয়েছি। ২০ পায়নি এখন
প্রশ্ন ১: আমার কি কসম হয়েছে?
প্রশ্ন ২: যেহেতু ওয়াসওয়াসা ভুগতেছি ধরলাম আমি কসম খেয়েছি এখন আমার কাফফারা কি দিতে হবে।
প্রশ্ন 3: এক মুফতি সাহেব বলেছে যে যার সামার্থ আছে তার জন্য রোজা রাখলে হবেনা তাকে ১০ জন মিসকিনকে খাওয়াতে হবে। সেটা না পারলে কাপড় সেটাও না পারলে তারপর রোজা রাখবে।
ধাপে ধাপে আসবে এই কথাটা কি সঠিক।

প্রশ্ন 4: আমি স্টুডেন্ট যেহেতু টাকা তো পিতা মাতা থেকে পাই।  নিজের ইনকাম নেই তবে ১০০০-১৫০০ টাকা আমার কাছে কমবেশি থাকে।  এখন আমার কাফফারা কতো টাকা যদি হিসাব করে দিতেন একটু।
প্রশ্ন 5: এই কাফফারা টাকা কি আমি মাদ্রাসার গরীব দের খাবার এর জন্য লিল্লাহ বোডিং এ টাকা দিতে পারবো।

1 Answer

0 votes
by (708,800 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কসম বা শপথ তিন প্রকার যথাঃ-
(اليمين بالله ثلاثة أنواع) غموس، وهو الحلف على إثبات شيء، أو نفيه في الماضي، أو الحال يتعمد الكذب فيه فهذه اليمين يأثم فيها صاحبها، وعليه فيها الاستغفار، والتوبة دون الكفارة.
(১)গুমুস- অতীত বা বর্তমান কালে কোনো জিনিষকে প্রমাণিত করা বা না করার জন্য ইচ্ছা করে মিথ্যা কসম করা।এমন শপথকারী নিজে গোনাহগার হবে।তার উপর তাওবাহ ইস্তেগফার করা অত্যাবশ্যকীয়। তবে তার উপর কাফফারা আসবে না।
ولغو، وهو أن يحلف على أمر في الماضي، أو في الحال، وهو يظن أنه كما قال:، والأمر بخلافه بأن يقول: والله قد فعلت كذا، وهو ما فعل، وهو يظن أنه فعل، أو: ما فعلت كذا، وقد فعل، وهو يظن أنه ما فعل، أو رأى شخصا من بعيد فقال: والله إنه لزيد، وظنه زيدا، وهو عمرو، أو طائرا فقال: والله إنه لغراب، وظنه غرابا، وهو حدأة فهذه اليمين نرجو أن لا يؤاخذ بها صاحبها، واليمين في الماضي إذا كان لا عن قصد لا حكم له في الدنيا، والآخرة عندنا.
(২)লগু-অতীত বা বর্তমান কালে কোনো জিনিষ প্রমাণিত করা বা না করার জন্য শপথ করা।সে ধারণা করছে যে,সে যা বলছে তাই সত্য,অথচ বাস্তবতা হল,মিথ্যা।যেমন কেউ বলল,আল্লাহর কসম,আমি এমনটা করেছি।অথচ বাস্তবতা হল, সে করেনি।কিন্তু সে মনে করে করেছে যে,সে করোছে।এবং তার উল্টো বিষয়ও এমনই।
এবং কেউ দূর থেকে কোনো ব্যক্তিকে দেখে বলল,এতো যায়েদ।অথচ সে আমর।কিন্তু সে ধারণা করেছিল যে,উনি যায়েদ,ইত্যাদি ইত্যাদি।এমন শপথের ব্যাপারে বলা যায় যে,এই শপথের শপথকারীর কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।অতীতকালের শপথ যদি কেউ মিথ্যার ইচ্ছায় না করে,তাহলে হানাফি ফিকহ অনুযায়ী দুনিয়া ও আখেরাতে এর কোনো শাস্তির বিধান আরোপিত হবে না।
ومنعقدة، وهو أن يحلف على أمر في المستقبل أن يفعله، أو لا يفعله، وحكمها لزوم الكفارة عند الحنث كذا في الكافي.
(৩)মুনআকিদাহ- ভবিষ্যৎকালে কোনো জিনিষ করা বা না করার শপথ করা।শপথ পূর্ণ না করলে এর কাফফারা অবশ্যই দিতে হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3101

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার কসম হবে না। তবে এরকম।করে ভবিষ্যতে কসম খাবেন না। যেহেতু কসম হয়নি, কাফফারাও দিতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
শায়েখ আমার প্রশ্ন হলো উল্লেখিত প্রশ্নের বিবরণ আনুযায়ী যদি বলি আল্লাহর কসম আমি  ২০ ও পাবোনা কিন্তু আমি পেয়েছি 19 । এখন যেহেতু ১৫ বলেছিলাম তবে এটাতে কসম কেটেছিলাম কিনা মনে নেই।  ধরেন আমি বলেছিলাম ১৫ ও পাবোনা এখন আমি 19 পেয়েছি এই ক্ষেত্রে কি আমার কসমের কাফফারা হয়েছে নাকি এটাও কসম হয়নি।  
by (708,800 points)
কোনো ক্ষেত্রেই কাফফারা আসবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...