আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ

১/ আল্লাহ মুনাফিকদের ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ামত দেন না। এই নিয়ামত থেকে আমি বঞ্চিত।  প্রতি মুহূর্তে মৃত্যু ভয়ে আচ্ছন্ন থাকি। এই মুহূর্তে যদি মউত আসে, মুনাফিক হিসেবে মারা যেতে হবে।
হয়তো আমি বুঝতে পারছিনা কিন্তু মুনাফেকি আচরণে জড়িত। মুনাফেকি আচরণ থেকে বাচার উপায় কি?
২/ অজানা এমন ব্যাক্তিকে নিয়ে কথা বলা, যাকে ঐ শ্রুতা চিনে না, তাহলে এমতাবস্থায় গীবত হবে না। কিন্তু যদি কখনো অজানা ব্যাক্তি শ্রোতার সাথে আমার কনভারসেশন দেখে ফেলে, তাহলে কি আমি গীবতের পাপে জড়িয় যাবো?
এর প্রায়শ্চিত্ত কিভাবে করব? তার সাথে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ নাই, বৈরিতা, ক্ষমা চাইলে উলটো অপমানিত হতে হবে, ক্ষমা চাওয়ার পরেও কথা শুনাবে যে এটা আমার মনের কথা নয়। তাহলে এমন অবস্থায় আমার করণীয় কি???
৩/ অধিক মৃত্যুভয় কি দোষণীয়?

৪/ উম্মাহকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করাটা কি দোষণীয়?  নিজের যোগ্যতা কম, দ্বীন শিখছি আলহামদুলিল্লাহ, যেটুকু শিখছি ও দাজ্জাল নিয়ে জানছি, সারাদিন উম্মাহর কল্যাণে কি করা যায়, কিভাবে বোঝানো যায় ফিতনা নিয়ে, সন্তানের তারবিয়াত নিয়ে, দ্বীন শেখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এসব ভাবতে থাকি। এই ব্যাপারে কিছু নসীহা করুন।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1037

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ইমান বৃদ্ধির এবং অলসতা থেকে মুক্ত থাকা এবং সঠিক সময়ে নামায পড়তে অভ্যস্ত হওয়ার উপায় হল, কোনো নেককার ব্যক্তির সংস্পর্শ গ্রহণ করা। বা তাবলীগে সময় লাগানো। সুতরাং আপনার ক্বলবকে নরম করতে আপনি কোনো অলি বা নেককার বুজুর্গের শরণাপন্ন হন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।

(২)
এটা গীবত হবে।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন, এবং সামর্থ্যানুযায়ী ঐ ব্যক্তির জন্য সদকাহ করে নিবেন।

(৩)

না, দোষণীয় নয়। কেননা এটা আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়।

(৪)
এটাও দোষণীয় নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...