আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)

মেয়ে তালাক দেওয়ার অধিকার পেয়েছে কিনা?

ছেলে মেয়েকে জোর করে নিয়ে গিয়ে ছেলে এবং মেয়ের অভিভাবক ছাড়া মেয়ের অপরিচিত কিছু লোকের সম্মুখে বিবাহ হয় ।মেয়ে তার সাক্ষী কেউ চিনেনা এবং তার দেরমহর কতটুকু তাও জানে না এবং মেয়ের কোন অভিভাবক বিবাহের সময় উপস্থিত ছিল না। এ অবস্থায় ছেলে এবং মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে মেয়ে এবং ছেলের অভিভাবক যখন জানতে পারে এই দিনে ছেলে এবং মেয়ের অভিভাবক ছেলে মেয়েকে আলাদা করে দেয়। পরবর্তীতে মেয়ে এবং মেয়ের অভিভাবক ছেলেকে তালাক দেওয়ার কথা বললে সে আপসে তালাক দিতে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে মেয়ের অভিভাবক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে  ইউনিয়ন পরিষদের মজলিসে তালাক দেওয়ার কথা বললে সে অস্বীকার করে এবং বলে আমি কসম খেয়েছি আমি মেয়েকে তালাক দিব না এক পর্যায়ে ছেলে বলে আমি তাকে তালাক দিব না মেয়ে যতবার ইচ্ছা তত বার তালাক দীঘা। এই মজলিসে মেয়ে উপস্থিত ছিল সাথে সাথে তার  নিজের উপর তালাক প্রয়োগ করে নাই।

মুহতারাম মুফতি সাহেবের কাছে জানার বিষয়   হল

১. ছেলে কথার মাধ্যমে  মেয়ে তালাক গ্রহণ করার অধিকার পেয়েছে কিনা?

২.ছেলেরে তালাকের কথা মেয়ে মজলিসে গ্রহণ করার অধিকার রাখে নাকি পরবর্তীতে যেকোনো সময় নিজের উপর গ্রহণ করতে পারবে? 

1 Answer

0 votes
by (718,800 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
"এক পর্যায়ে ছেলে বলে আমি তাকে তালাক দিব না মেয়ে যতবার ইচ্ছা তত বার তালাক দীঘা।"

এই কথা দ্বারা স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।কেননা এখানে স্বামী তালাকের অধিকার প্রদাণকে সম্পূর্ণরূপে
অস্বীকার করছে,সেটাই বুঝা যাচ্ছে। সুতরাং স্বামীর উক্ত কথা দ্বারা স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।

এখন প্রশ্ন হল,তাহলে এত্থেকে মুক্তির উপায় কি?
https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ নির্যাতিতার সামনে এখন একটিমাত্র রাস্তাই খোলা রয়েছে, সেটি হল, মেয়ে কোর্টে তালাকের আবেদন করবে, এবং সে জোরজবরদস্তি মূলক বিয়ের কথা উল্লেখ করবে।কোর্ট স্বামীকে ডাকিয়ে তার কাছ থেকে জোরজবরদস্তি মূলক তালাক আদায় করে স্ত্রীকে মুক্তি দিবে। অথবা তার কাছ থেকে মালের বিনিময়ে তালাক গ্রহণ করা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...