আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
157 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
আমার প্রাক্তন স্বামী আমাকে কাবিন নামার ১৮ নং কলামে তালাকের অধিকার দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই তবে সে আমাকে ছাড়তে চাইতো না পারিবারিক চাপ আর প্রকক্তন স্বামীর চাপে পরে আমি বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমার প্রাক্তন স্বামী বলতো আমায় তোমাকে কখনোই তালাক দিবোনা তুমি পারলে আমাকে তালাক দিয়ে চলে যাও বা তুমি আমাকে তালাক দিয়ে সাজলে যেতে পারো। সে এরকম কথা বলতো কারণ সে জানতো আমার পরিবার থেকে কেউ আমাকে তালাক দিতে সাহায্য করবেনা আর আমিও তখন খুব ছোট ছিলাম।

২০১৭ সালে আমি একজনকে বলি আমার স্বামীকে আমি তালাক দিতে চাই বা উনাকে আমি তালাক দিবো আমাকে ডিভোর্স পেপার কোর্ট থেকে এনে দাও।নারী যে তালাক দিতে পারেনা নিজের ওপর তালাক নিতে হয় এটা আমি জানতামই না। যাকে ডিভোর্স পেপার জোগাড় করে দিতে বলেছিলাম সে একজন উকিল দিয়ে পেপার করেছে ২৩-৫-১৭ তারিখে । সেখানে লিখা ছিলো আমি আমার স্বামীকে এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক দিলাম এবং নিজের ওপর তলাকে তাফভিজ গ্রহণ করলাম। তারপর সেখানে অন্য একজন আমার নামের স্বাক্ষর করে দিয়েছে। তারা কাগজে কি কি লিখেছে আমাকে পরেও শুনায়নি। আর তারা যে লিখেছে নিজের ওপর তালাক গ্রহণ করলাম আমিতো জানতামই না যে তালাক নিজের ওপর গ্রহণ করতে হয়। আমিতো বলেছিলাম যে আমি তালাক দিবো কাগজ করে দাও।এবং আমি তখন মুখেও বলিনি যে আমি আমার নিজের ওপর তালাক গ্রহণ করলাম কারণ আমি এই বেপারটা জানতাম না আমি পরে হয়ত বলেছি উনাকে আমি তালাক দিলাম ।আমি কাগজটা হাতে পেয়েছি  ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে।তখন আমি কাগজটা পড়েছি এবং জানতে পেরেছি সেখানে লিখা ছিলো নিজের ওপর গ্রহণ করলাম। তারপর কাগজের উল্টা পিঠে আমি স্বাক্ষর দিয়েছি আর ২ তা ছবিতে স্বাক্ষর দিয়েছি ।

এখন আমি জানতে চাই যেহেতু আমি তালাক দিতে চেয়েছি নিজের ওপর গ্রহণ করতে না এবং তারা যে কাগজে লিখেছে নিজের ওপর তালাক নিলাম সেটা আমাকে পরেও শুনানো হয়নি আমি কাগজ হাতে পাওয়ার পর পরে জানতে পেরে স্বাক্ষর দিয়েছি  তাহলে আমি ওই তালাকের কার্যকরী তারিখ কি ২৩-৫-১৭ ধরবো নাকি অক্টোবর ২০১৭ ধরবো?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
""২০১৭ সালে আমি একজনকে বলি আমার স্বামীকে আমি তালাক দিতে চাই বা উনাকে আমি তালাক দিবো আমাকে ডিভোর্স পেপার কোর্ট থেকে এনে দাও""

এখানে আপনি সেই ব্যাক্তিকে শুধুমাত্র ডিভোর্স পেপার নিয়ে এসে আপনাকে দিতে বলছিলেন।
কোনো ভাবেই তাকে আপনি নিজের পক্ষ থেকে তালাক প্রদানের উকিল বানাননি।
স্রেফ ডিভোর্স পেপার নিয়ে আসার জন্য বলেছিলেন মাত্র।

★সুতরাং সেখানে আপনার অনুমতি ছাড়া কাহারো স্বাক্ষর দেয়ার ফলে তালাক হয়নি।
তাই ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে যখন আপনি নিজে স্বাক্ষর করেছেন,তখন থেকেই মূলত তালাক হয়েছে।

তাই আপনি অক্টোবর ২০১৭ সালের যেই নির্দিষ্ট তারিখে স্বাক্ষর করেছেন, তালাকের কার্যকরী তারিখ (অক্টোবর ২০১৭ সালের) সেই নির্দিষ্ট দিন ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
হুজুর আমি ভুল দেখেছি এখানে একটা সিল মারা ছিলো যেটা নাকি উকিল কেই ফিলাপ করতে  হয়  আমি সেটাকে ভেবেছি আমার নামের স্বাক্ষর। হুজুর আমার কাগজে অক্টোবর মাসে আমিই স্বাক্ষর দিয়েছি। কিন্তু এখানে যা লিখা মোটামোটি সবই মিথ্যা। আর উকিল লিখেছে এগুলো নাকি আমার আমার কথামতো লিখা হয়েছে। এসব তো মিথ্যা কথা আমাকে জিজ্ঞেস করে লিখেনি আমি শুধু নাম ঠিকানা বলেছি।
তাহলে আমি আমি তালাকের তারিখ অক্টোবর মাস ধরবো?
হয়েজ অবস্থায় তালাক নামায় স্বাক্ষর করলে ইদ্দত কয়দিন আর হাজার শেষ হওয়ার পর পর স্বাক্ষর করলে কয়দিন? বা কারো হয়েক শেষ হওয়ার পর ফরজ গোসল না করে স্বাক্ষর করলে ইদ্দত কয়দিন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...