ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
ক্ষমাশীল মানুষ সর্বোত্তম ব্যবহারকারী ও
ধৈর্যশীল। ক্ষমাকারী ধৈর্যবান ও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ তায়ালা
অত্যন্ত দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। যে অন্যকে ক্ষমা করে তাকেও
ভালোবাসেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
الَّذِينَ
يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ
وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
‘যারা সুসময়ে ও
দুঃসময়ে ব্যয় করে এবং ক্রোধ সম্বরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ
সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৪)
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,
إِن
تُبْدُوا خَيْرًا أَوْ تُخْفُوهُ أَوْ تَعْفُوا عَن سُوءٍ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ
عَفُوًّا قَدِيرًا
তোমরা যদি কল্যাণ কর প্রকাশ্যভাবে কিংবা
গোপনে অথবা যদি তোমরা আপরাধ ক্ষমা করে দাও, তবে জেনো, আল্লাহ নিজেও ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী। (সুরা নিসা, আয়াত: ১৪৯)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে
রাসুল (সা.) বলেন করেছেন, সদকা করলে
সম্পদের ঘাটতি হয় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আর কেউ আল্লাহর
সন্তুষ্টির জন্য বিনীত হলে, তিনি তার মর্যাদা
বাড়িয়ে দেন। (মুসলিম, হাদিস: ২৫৮৮)
আল্লাহর রাসুল (সা.) যখন সাহাবি মুয়াজ
(রা.) ও মুসা (রা.) কে ইয়ামেনে প্রেরণ করেন ও আদেশ দেন, ‘লোকদের প্রতি কোমলতা করবে, কঠোরতা করবে না, তাদের সুখবর দেবে, ঘৃণা সৃষ্টি করবে না। পরস্পর একমত হবে, মতভেদ করবে না।’ (বুখারি, হাদিস: ৩০৩৮)
(আংশিক কপি)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাউকে ক্ষমা করে দেওয়া অনেক বড় ভালো গুণ।
আর আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাকারীকে ভালোবাসেন। তাই আপনি যদি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন
তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালাও আপনাকে অনেক অনেক সওয়াব দিবেন এবং এই অসিলায়
আপনার অপরাধও ক্ষমা করে দিতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, আপনি তাদের ঐ ব্যবহারের কথা এড়িয়ে চলার
চেষ্টা করবেন।