আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (189 points)
edited by
স্বামী যদি বলে কথা না শুনলে ওইটা বলব। এইখানে তালাক উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু তালাক হবে না বলেছেন, কারন স্বামী বলব বলেছে।

ঘটনা এইখান থেকে শুরু-
স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রুগি। সে বার বার স্বামীকে জিজ্ঞেস করে "তুমি যখন বলেছ কথা না শুনলে ওইটা বলবা তখন কি তোমার মনের নিয়ত ছিল কথা না শুনলে সাথে সাথে ওইরকম কিছু হবে?"

তখন স্বামী বলে "না। ছিল না"।

একদিন স্ত্রী বলছিল সে মুফতীর সাথে কথা বলতে চায়। তখন স্বামী বুঝতে পারে সে যেই প্রশ্নটি বার বার স্বামীকে করেছে সেটা হয়ত মুফতীকে জিজ্ঞেস করবে। তাই তখন স্বামী বলে, কি বলবা আমারে বল?
স্ত্রী চুপ থাকে বলে "কিছু না"।

তখন স্বামী বলে, "কথা না শুনলে হবে, এইটা জিগাবা?"

স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞাসা করে "কথা না শুনলে হবে,এইটা জিগাবা?" কেন বললা?"

 তখন স্বামী বলেছে "তুমি আমারে কয়দিন ধরে এই একই প্রশ্ন করতেছ তাই বলছি।"

প্রশ্ন: "কথা না শুনলে হবে, এইটা জিজ্ঞাবা?" স্বামীর এই কথাটি বলার জন্য কি এইটা কোনো শর্ত হবে?

 নাকি "কথা না শুনলে হবে, এইটা জিজ্ঞাবা?" এই পুরো বাক্যটি প্রশ্ন হবে?
দয়া করে সমস্যাটির সমাধান দিন। কিছু বুঝতে পারছি না।

1 Answer

0 votes
by (715,760 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে কি উত্তর দেবো, কিছুই বুঝতেছি না।আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

 ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন, 
( وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى 1/149) 
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম চিকিৎসা।

আপনাকে সেটাই জবাব দেবো,যা ইতিপূর্বে https://www.ifatwa.info/53696 নং ফাতাওয়ায় বলেছি,
আপনার এই বিষয় দ্বারা তালাক হবে না। তালাক উদ্দেশ্য হলেও সে বলেছে, বলবে, হয়ে যাবে বলেনি।এবং আপনিও উক্ত কাজ করেননি, তাই তালাক হবে না।

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সর্বসম্মতিক্রমে তালাকের জন্য নিজের ইচ্ছা বা দৃঢ় মনোভাব থাকা শর্ত। অর্থাৎ এমন শব্দ উচ্ছারণ করা শর্ত যাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়।যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না।
অন্তরের প্ররোচিকা বা অন্তরের প্ররোচিকা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা এখানেতো তালাক শব্দের অর্থকে উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না।বরং শিক্ষা বা কাহিনি বর্ণনার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দ উচ্ছারণ করা হয়েছে। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু-৭/৩৬৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,760 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (189 points)
স্ত্রীকে স্বামী যে বলল পরে "কথা না শুনলে হবে, এইটা জিগাবা(জিজ্ঞাসা করবা)? 
স্বামীর এই কথার জন্য কি শর্ত পরবে? নাকি এটি প্রশ্ন হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...