আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তায।

আমার দুইটা প্রশ্ন

১।আমি আশুরার  রোজা  একটা ১০ ই মহররম রেখেছিলাম এবং তারপরের দিন  অর্থাৎ ১১ মহরম ও রোজার নিয়ত,সাহরি করেছিলাম।কিন্তু ফজরের আজানের কিছু সময় আগে ঘুমের মধ্যে  আমার স্বামীর সাথে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাই।তখন ফজরের আজান দিয়ে দেয়।আমি রোজা টা রাখতে পারিনি।সেজন্য কি আমার একটা রোজা কি ইহুদিদের সাদৃশ হয়ে গেলো(আস্তাগফিরুল্লাহ)?

আমার রোজা টা কি কাযা আদায় করতে হবে?কাফফারা দিতে হবে?কাফফারা দিতে হলে কিভাবে দিতে হবে?


২।আমি দুইটা বিষয়ে ১ বার করে মোট ২ বার কসম কেটেছিলাম।কিন্তু কসম দুইটা আমি রাখতে পারিনি।সেজন্য কাফফারা দিতে হবে।

এখন কথা হচ্ছে আমার হাজবেন্ড এর কোন চাকরি নেই অর্থাৎ আমাদের কোন ইনকাম নেই।শ্বশুর বাড়িতে তাদের উপর ডিপেন্ড হয়ে থাকি।আমার হাজবেন্ড এর ঋণ আছে ১৬/১৭ হাজার টাকার মতো।কিন্তু  আমার কাছে আছে শুধুমাত্র ৩ হাজার টাকা,যেটা দিয়ে আমি কিছু ঋণ শোধ করার নিয়ত করেছিলাম।এমতবস্থায় আমার রোজার কাফফারা কি ১০ জন মিসকিন খাওয়ানো অথবা ফিতরা পরিমাণ টাকা দিতে হবে নাকি টানা ৩ দিন রোজা থাকতে হবে?

দুইটা কসমের কাফফারাই কি দিতে হবে নাকি একটার কাফফারা দিলে দুইটা আদায় হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (63,240 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব, কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)

কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার প্রথমটি হল, ১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্র পরিধান করানো। খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে, ১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত একজন গোলাম আযাদ করা। তৃতীয়ত ধারাবাহিক তিনটি রোযা রাখা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1808

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. নফল রোজার শুরু করার পর তা পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়। সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে আপনার জন্য ১১ তারিখের রোজাটির কাযা আদায় করা ওয়াজিব। জ্বী না ইচ্ছাকৃত না হলে ইয়াহুদীদের সাদৃশ্য হবে না।

২. ১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাওয়ানো বা বস্ত্র দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে তাহলে প্রত্যেক কসমের জন্য পৃথকভাবে তিনটি করে মোট ছয়টি রোজা রাখতে হবে। এবং ধারাবাহিক তিনটি রোযা হবে।  উল্লেখ্য যে, আপনি বর্তমানে মধ্যম মানের গমের আটার আধা সা'(=১.৬৫০গ্রাম) এর মূল্য যা হয় (হয়তো ৭০ টাকার মত হতে পারে) একটা ফিতরার পরিমাণ। এর কম-বেশীও হতে পারে।  তাহলে সেই হিসেবে একটা কাফফরার মোট পরিমাণ ৭০০ টাকা হচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (17 points)
আফওয়ান উস্তায।

২।আমি জানতে চাচ্ছিলাম যে কাফফারা হিসাবে কি আমার রোজা রাখতে হবে নাকি ফিতরা পরিমাণ টাকা(৭০০+৭০০=১৪০০) দিতে হবে?

যেহেতু আমি ঋণ আছি অনেক টাকার।আর আমার কাছে টাকা আছে এখন ১ হাজার।
by (63,240 points)
যদি প্রকৃত অবস্থা এই হয় যে, আপনার নিকট উল্লেখিত টাকা ছাড়া ভিন্ন কোন অর্থ নেই যা দিয়ে আপনি কাফ্ফারা আদায় করবেন তাহলে আপনার জন্য কাফ্ফারা হিসেবে রোজা রাখা জায়েয হবে ইনশাআল্লাহ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...