আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আমি অতীতে বহুবার দোয়া করার সময় আল্লাহর কাছে ওয়াদা করে দোয়া করেছি এভাবে যে আল্লাহ এবারের মতো মাফ করে দাও ওয়াদা করছি এখন থেকে গুনাহ হতে বেচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। অথবা দোয়ায় বলেছি আল্লাহ অমুক গুনাহ মাফ করে দাও আর করবনা ওয়াদা করছি। এতদিন আমি আল্লাহর সঙ্গে ওয়াদার কাফফারার ব্যাপারে জানতাম না, কাফফারার কথা না জেনেই ওয়াদা করেছি। এমতাবস্থায় আমার কি করণীয়।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ حَتَّىٰ يَبْلُغَ أَشُدَّهُ ۚ وَأَوْفُوا بِالْعَهْدِ ۖ إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُولًا
আর, এতিমের মালের কাছেও যেয়ো না, একমাত্র তার কল্যাণ আকাংখা ছাড়া; সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যৌবনে পদার্পন করা পর্যন্ত এবং অঙ্গীকার পূর্ন কর। নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।(সূরা বনি ইসরাঈল-৩৪)

ওয়াদা পূর্ণ করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/663

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দোয়া করার সময় আল্লাহর কাছে ওয়াদা করে এভাবে দোয়া করা যে, "হে আল্লাহ! এবারের মতো মাফ করে দাও, ওয়াদা করছি এখন থেকে গুনাহ হতে বেচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।"

এভাবে আল্লাহর সাথে ওয়াদা করার পর বিশেষ গুরুত্ব প্রদাণের সাথে উক্ত গোনাহ এবং সকল প্রকার গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করাই কাম্য।তথাপিও এই গোনাহে পরবর্তীতে লিপ্ত হলে গোনাহ হবে,যেজন্য তাওবাহ করতে হবে।তবে কাফফারা আসবে না।

روح البيان (5/ 155):
"{وَأَوْفُوا بِالْعَهْدِ} سواء جرى بينكم وبين ربكم أو بينكم وبين غيركم من الناس، والإيفاء بالعهد والوفاء به هو القيام بمقتضاه بالمحافظة عليه."
تفسير ابن كثير (5/ 74):
"{ وَأَوْفُوا بِالْعَهْدِ } أي الذي تعاهدون عليه الناس والعقود التي تعاملونهم بها، فإن العهد والعقد كل منهما يسأل صاحبه عنه { إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُولًا } أي: عنه."
تفسير الطبري = جامع البيان ط هجر (14/ 591):
"{إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُولًا} يَقُولُ: إِنَّ اللَّهَ جَلَّ ثَنَاؤُهُ سَائِلٌ نَاقَضَ الْعَهْدِ عَنْ نَقْضِهِ إِيَّاهُ، يَقُولُ: فَلَا تَنْقُضُوا الْعُهُودَ الْجَائِزَةَ بَيْنَكُمْ، وَبَيْنَ مَنْ عَاهَدْتُمُوهُ أَيُّهَا النَّاسُ فَتَخْفِرُوهُ، وَتَغْدِرُوا بِمَنْ أَعْطَيْتُمُوهُ ذَلِكَ. وَإِنَّمَا عَنَى بِذَلِكَ أَنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَطْلُوبًا."


شریعتِ مطہرہ میں وعدہ کر کے اس کو پورا کرنے کی بہت تاکید آئی ہے، اللہ تعالیٰ نے قرآن مجید میں متعدد مواقع پر ایفاءِ عہد (وعدہ پورا کرنے)  کا حکم فرمایا ہے اور  حدیث شریف کے مضمون سے معلوم ہوتا ہے کہ وعدہ کر کے اس کو توڑنے کی عادت (یا وعدہ کرتے وقت ہی توڑنے کی نیت ہو یا بلاعذر وعدہ توڑنا) منافق کی نشانی ہے، اس لیے اگر کسی شخص نے کوئی وعدہ کیا ہو (خواہ اللہ تعالی سے کیا ہو یا کسی بندہ سے) تو حتی الامکان اس کو اپنا وعدہ پورا کرنے کی کوشش کرنی چاہیے، لیکن اگر  کسی نے وعدہ پورا کرنے کی نیت سے کوئی وعدہ کیا ہو اور اب اس وعدہ کو پورا کرنا اس کی استطاعت میں نہ ہو (جس کی وجہ سے وہ وعدہ پورا نہ کرسکے) تو ایسی صورت میں اس کو اللہ تعالیٰ سے خوب توبہ و استغفار کرنا چاہیے، امید ہے اللہ تعالیٰ معاف فرما دیں گے۔ باقی اس پر کوئی کفارہ وغیرہ لازم نہیں۔
فتوی نمبر : 144205201194
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...