আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
88 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
আস্সালামু আলাইকুম।   মেয়েদের নামাজ বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয় মাঝে মাঝে।৷আমি ছেলেদের থেকে  মেয়েদের আলাদাভাবে নামাজ পড়ায় অভ্যস্ত হই ছোট থেকে। ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে জানতে পারি ছেলে মেয়েদের নামাজের পার্থক্য নাই এই ব্যাপারে সহিহ হাদিস আছে এবং   জানতে পারি কোনো একটা সহিহ হাদিস পেলে ঐটা আমল করাই উচিত হবে দুর্বল হাদিস থেকে। পরবর্তীতে আইওএম থেকে জানতে পারলাম মাজহাব আমাদের কতটা দরকারি। যেকোনো একটা মাজহাব ফলো করতে হবে। ৪ টা মাজহাব ই হকের উপরে আছে। তাদের নিজস্ব মূলনীতি আছে। আর কোনোটা এর বাইরে করলে নিজের ইচ্ছার পূজা হবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি যখন জানতে পারলাম কোনো বিষয়ে দুর্বল অপেক্ষা সহিহ হাদিস সম্পর্কে, তখন আমি কি ঐ সহিহ হাদিস মেনে আমলটা করলে মাজহাব থেকে বের হয়ে যাবো? বা আমার গুনাহ হবে? নিজের পক্ষে কোনো ফতওয়া নিচ্ছি  এজন্য না মূলত আমি আমলটা করছি সনদ সহিহ বলে। আমি কি ওইভাবে করতে পারব?   যেমনঃআমি আলেম থেকে জানতে পারলাম,  রুকুতে  আমরা কম ঝুকি। এটা দুর্বল সনদ। আর সহিহ হচ্ছে ছেলেদের মতো। এখন আমি যদি একজন হানাফি হই তাহলে আমি কি ছেলেদের মতো নামাজ পড়তে পারব?  সহিহটা জানার পরেও দুর্বলটা আমল করলে কোনো সমস্যা হবে? যেহেতু হদিস অনুযায়ী ঐটা সহিহ বেশি। যার শরণাপন্ন হই সে নিজেরটা সহিহ মনে করে। অনেকে বলে নামাজ নিয়ে নবিজী ( সাঃ) থেকে আলাদা কোনো হাদিস আসেনি। আর সালাতের ব্যাপারে অন্য মত নেওয়ার কথা আসে না। আমি অনেকটা দুদ্যোল্যমান অবস্থায় আছি। আমার জন্য সঠিক উত্তরটা খুব বেশি প্রয়োজন।

1 Answer

+1 vote
by (712,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করার যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য) এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব। আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2040

সু-প্রিয় প্রশানকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি ঐ পাঁচ প্রকারের ইলমে যথেষ্ট পারদর্শী না হন, তাহলে আপনার জন্য যে কোনো একটি মাযহাবের সকল প্রকার মাস'আলায় উক্ত মাযহাবের অনুসরণ অত্যান্ত জরুরী। কেননা উপরোক্ত পাঁচ প্রকারের ইলম আপনার না থাকার দরুণ আপনি পুরোপুরিভাবে কোনটা সহীহ কোনটা যঈফ,সেটা নির্ধারণ করতে পারবেন না। তখন সহীহ যইফ জানতে যে কোনো একজন আলেমের/মুহাদ্দিসের অনুসরণ আপনাকে করতে হবে। এখানেও তো আপনি কোনো একজনের তাকলীদ করলেন। অথচ আপনার ইমাম/মাযহাবের বড় বড় আলেম এই হাদীসকে জানা সত্তেও তারা নিয়ে আসেননি। তাই আপনার উচিৎ, উপরোক্ত পাঁচ প্রকারের ইলম আপনার না থাকলে, আপনি সহীহ যইফের দ্বরস্থ না হয়ে মাযহাবের অনুসরণ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 460 views
0 votes
1 answer 1,051 views
...