আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (102 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

মুহতারাম
১, https://ifatwa.info/55144/ এই প্রশ্ন্ব্র উত্তর এখনো পাইনি,হিডেন দেখাচ্ছে,আপ্নারা হয়ত ভুলে গেছেন।একটু জানান

২,আমি আমার অপবিত্র কাপড় বালতিতে ধুচ্ছিলাম,চার/পাচবার মত ধুয়েছি ভিন্ন ভিন্ন পানিতে,প্রতিবার পানি চেঞ্জ করার সময় বালতির এক প্রান্ত ধরে পানি ফেলে দিয়েছি,সমস্যা হল একেকবার একেক প্রান্ত ধরেছি শেষবার যখন কাপড়  চিপ্তে যাই মানে নিংড়াতে তখন বালতির হাতল ধরে সেই হাত দিয়ে কাপড় ধরেছি।এখন সেই কাপড় কি পাক হয়ে গেছে না নাপাক ধরব? আসলে এভাবে এত খুটিনাটি ধরতে গেলে অনেক সমস্যা হবে
by (1 point)
  আপনি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত মনে হচ্ছে, যা একটি মানসিক রোগ। মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে। নাপাক, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে হলে একে বাংলায় শুচিবায়ুও বলা হয়। এটি সাধারণত মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক একটি নিউরোকেমিক্যালের বৃদ্ধি বা হ্রাসের কারণে হয় এবং এতে আক্রান্ত রোগীর অনেক মানসিক কষ্ট হয়। অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা, এ মানসিক রোগে পরিণত হয়। শুধু মাথায় এসব চিন্তায় ঘুরে ফিরে আসবে এবং তা থেকে বের হওয়া যায়না। তাই ভাই পরামর্শ হল, আপনি কোন সাইকিয়াট্রিস্ট  এর শরাণাপন্ন হোন অথবা সম্ভব না হলে সরকারি মেডিক্যালের সাইকিয়াট্রি বিভাগ এর আউটডোরে দেখান। ইনশাআল্লাহ এ রোগ ৩/৪ মাস মেডিসিনে ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয় এবং মেডিসিন কন্টিনিউ করতে হবে, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়। সাথে শায়েখের পরামর্শ মত ওয়াসওয়াসার আমল গুলো করবেন।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ক,
শুধুমাত্র বিবাহ বৈধ করনের জন্য আহলে হাদীস থেকে হানাফি হলে অভিভাবক ছাড়া সেই বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।

খ,
আপনার স্ত্রীর রোযা হয়ে যাবে।
তবে বিনা ওযরে দেড়িতে এভাবে ইফতারী মাকরুহ,তাই এই অভ্যাস ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করবে।

(০২)
হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,

 أَنَّ النَّبِيَّ  ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ

হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)

শরীয়তের বিধান হলো কাপড়ে/ চাদরে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।  (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি জিওর ২/৭৭ )

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নাপাক কাপড় বালতিতে ধুয়ে পাক করতে গিয়ে তিন বার সেই কাপড় ধোয়া,নিংড়ানো, আর প্রত্যেকবার পানি পরিবর্তন করার দ্বারা কাপড় সহ বালতি পাক হয়ে যায়।
,
বিস্তারিত জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার কাপড় যদি তিনবারের প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার কাপড় পাক হবে।
বালতিও পাক হয়ে যাবে।

নুন্যতম তিনবার না নিংড়িয়ে শুধু শেষ বার নিংড়ালে আপনার কাপড় পাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 103 views
0 votes
1 answer 165 views
...