আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.কেউ যদি বড় মুনাফেকি করলে ঈমান ভংগ হয় এটা যদি না জানে তাহলে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? সে ঈমান ভংগের কারন জানে তিন মাস আগে। কিন্তু মুনাফেকি করলে ঈমান ভংগ হয় তা জানে না। মুনফেকি গুনাহ সে জানে। কিন্তু এর কারনে যে ঈমান ভংগ হয় তা জানে না। এই না জানার কারনে তার কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে। সে ঈমান ভংগের কারন জানার পর ইসলামি আকিদা বই অলসতার কারনে এতদিন পড়ে নি। এই অলসতার কারনে না পড়ার কারনে তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  তার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

২.শায়েখ জমিজমা নিয়ে বিবাদের কারণে আমাদের এক্টা কেস করা লাগে। জমি আমরা কিনে নিয়েছি।কিন্তু জমির মালিক তার আগেই অন্য জনার কাছে রেজিস্ট্রি দিয়েছে। প্রায় ২০বছররের বেশি হবে জমি আমরা করে খাই বা বর্গা দিয়ে খাই। তো এখন যার কাছ থেকে জমি নিয়েছি তার ছেলেরা এসে বলে যে, তারা নাকি জমি পাবে। এজন্য আমাদের কেস করা লাগে। তো এখন আমার প্রশ্ন হল-   কেসের মধ্যে কিছু মিথ্যা লেখা ছিল। তো আমি যখন কেসের কাগজের মধ্যে সই দিতে যাই তখন আমার মন সই দিতে চাচ্ছিল না। কিন্তু আমার মামা সাথে সই না দিলে কি মনে করবে বা কি সিনক্রিয়েট করবে এই জন্য আমি সই দেয়। এই সই দেয়ার কারনে কি এটা ভয়ের শিরক হয়েছে। এতে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে ? বিবাহের কোন সমস্যা হবে?  (কেসে র মধ্যে কিছু মিথ্যা লিখলেও মুল জিনিসটা সত্য)

৩.একদিন আমি মোটরসাইকেল ধুচ্ছিলাম। তখন  মোবাইলে  কি যেন হচ্ছিল। তখন আমার কানে একটা শব্দ  আসে যে আল্লাহ কাদেন (নাউজুবিল্লাহ) (আস্তাগফিরুল্লাহ)।  এই রকম শব্দ আমি শুনতে পাই। এই শব্দ শোনার পর আমার মনে প্রশ্ন জাগে যে,  আল্লাহ হাসেন এরকম আমি শুনেছিলাম একটি ভিডিও তে।কিন্তু কাদেন( আস্তাগফিরুল্লাহ   ) এই রকম তো আমি শুনিনি। তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগে যে কুরান হাদিসের কোন জায়গায় আবার এ রকম কিছু আছে নাকি। তখন আমার যতদুর মনে হচ্ছে  অই জাতীয়  শব্দ লিখে সার্চ দেই। আমার না জানার কারনে বা আমার মনে অই রকম প্রশ্ন জাগার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি। বিবাহের কোন সমস্যা হবে কি?  আর আমি যে উপরে  প্রশ্ন লেখার   সময় নাউজুবিল্লাহ।  আস্তাগফিরুল্লাহ লেখলাম এই লেখার কারনে   কি কোন সমস্যা হবে? পরে আবার অই শব্দ লেখার পর আস্তাগফিরুল্লাহ লিখার কারণেও কি কোন সমস্যা হবে?

৪.আমি ইউটিউবে একটি ভিডিও তে দেখলাম যে ওয়াসওয়াসার কারনে এক জিনিস বার বার করলে তা শয়তানের আনুগত্য করা হয়। শায়েখ আমি জানি যে আমি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। তারপর ও আমি অনেক সময় এক অজু একাধিক বার করি বা এক নামাজ একধিকবার পড়ি। পাক নাপাকের খেত্রে ও আমার সমস্যা হয়। আমি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত জেনেও অই কাজগুলো একাধিক বার করলে কি শয়তানের আনুগত্য করা হবে। এটা কি শিরক করা হবে?        এর কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৫.নামাজের মধ্যে আল্লাহ সম্পর্কে বাজে কথা বা গালি মনে হলে নামাজের মধ্যে ইস্তিগফার না পরলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?   যদি আমি নামাজ শেষ হওয়ার পর ইস্তিগফার পড়ি তাহলে কি সমস্যা হবে?      যদি আমি অই কথা মনে হওয়ার কারনে     নামাজের মধ্যে মনে মনে জিহবা না নাড়িয়ে আল্লাহর কাছে খমা চাই তাহলে কি  আমার নামাজ হবে?

৬.বিসমিল্লাহ পড়ার সময় আর রহমান এর মিম হরফে এক আলিফ না টানলে কি লাহ্নে জলি হবে?

৭.সুরা ফাতিহা পরার সময় আর রহমান এর মিম হরফে এক আলিফ না টানলে কি লাহনে জলি হবে ?

৮.হুজুর আমি একদিন জোহরের নামাজ  ওয়াস ওয়াসার কারনে একধিকবার পড়ার কারনে আমার দেরি হয়ে যায়। তখন আমি  জায়নামাজে বসে থেকেই মনে মনে ভাবি যে,  আজকে কুরান পরব না। এই কথা ভাবার পর আমি মনে মনে বলি যে এই....... (একটা  বাজে গালি মনে মনে বলি) জন্য আমি কুরান পরব না। এই কথা মনে মনে বলার পর আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি। আমি ওয়াসওয়াসাকে উউদ্দেশ্য করে বলেছিলাম। কিন্তু আবার মনে হচ্ছে যে আমি নামাজ উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম নাকি। হুজুর যদি নামাজ উদ্দেশ্য করে মনে মনে অই কথাটা বলি তাহলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  যদিও আমার মনে হচ্ছে আমি ওয়াসওয়াসা উদ্দেশ্য করেই অই কথাটা মনে মনে বলে ছিলাম।

৯.আমি জানি যে আমার ওয়াসওয়াসা আছে। তারপরও আমি এক নামাজ অনেক সময় একাধিকবার পরি। এর কারনে আমি গুনাহগার হব। এটা কি শয়তানের আনুগত্য করা হবে?এর কারণে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (681,640 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://ifatwa.info/4560/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
ওযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য। চায় এ'তেকাদি মাসাঈল সম্পর্কিত হোক বা ফেকহী শাখাপ্রশাখাগত মাসাঈল সম্পর্কিত হোক।

যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 ( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের রব,আমাদের কে পাকরাও করবেন না,যদি আমি ভূলে যাই কিংবা অজ্ঞতা বশত কিছু করে ফেলি।
সূরা বাকারা-২৮৬


وقوله تعالى : (وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا) الأحزاب/ 5 .
। এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
وقوله صلى الله عليه وسلم : ( إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ) رواه ابن ماجه (2043) 
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)

এ সমস্ত শরয়ী দলীল প্রমাণ করে যে,ওযর বিল জাহালাত গ্রহণযোগ্য। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অলসতার কারনে না পড়ার কারনে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
তার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা। 

(০২)
এটা শিরক নয়।
এতে এতে ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
এতে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা। বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

 আস্তাগফিরুল্লাহ লিখার কারণে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এর কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা। বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
,
(০৫)
মনে মনে ক্ষমা চাইলে নামাজ হবে।
আওয়াজ করে ক্ষমা চাইলে নামাজ হবেনা।

এক্ষেত্রে উচিত হলো,আপনি এর জন্য নামাজের পর তওবা করবেন।

(০৬)
এতে লাহনে জলি হবেনা।

(০৭)
এতেও লাহনে জলি হবেনা।

(০৮)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
তবে আপনাকে তওবা করতে হবে।

(০৯)
এটা শয়তানের আনুগত্য নয়।
এর কারণে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

এক্ষেত্রে আপনি যেই নামাজ আদায় করতে চাচ্ছেন,সেটি প্রথমবারেই আদায় হয়ে যাবে।
পরবর্তী নামাজ গুলি নফল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...