আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
আসসালামুআলাইকুম ওযারাহমাতুল্লাহ।

আমার বাসা দক্ষিণ বনশ্রী, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি।

কোনো অবস্থাতেই আমি একা কোথাও আসা যাওয়া করি আমার স্বামী এলাও করেন না। আলহামদুলিল্লাহ!

আমাকে সকালে উনি ভার্সিটি দিয়ে অফিসে যান আর আমার শ্বশুর আমাকে ভার্সিটি থেকে আনতে যান।

সেক্ষেত্রে, কখনো লোকাল বাসে, উবার (প্রাইভেট কারে) , অথবা রিকশা করে আসা হয়।

আমার প্রশ্ন হলো:-
১) আমাকে একটি মেয়ে বলছে, এভাবে শ্বশুরের সাথে একা আসা যাওয়া করা নাকি জায়েজ নাই, যদিও শ্বশুর আমার মাহরাম।

২) বাসে করে আসতে গেলে, উঠা নামা করার সময় যত ই সতর্ক থাকি না কেনো, ভির থাকলে পুরুষের সাথে অনেক সময় গা একটু লেগে যায়। এরপর আমার নিজেকে অনেক বড় গুনাহগার মনে হতে থাকে, আর মানসিক ভাবে অস্থির লাগে খুব। আমার কি এতে গুনাহ হচ্ছে??

৩) আমার জাগতিক কোনো কেরিয়ার প্ল্যান নাই, আমার বাবা আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছে, তাই আমি ভালো কিছু করি এই আশা উনার, মানে আবার বাবা চায় আমি বিসিএস ক্যাডার হই, তবে আমি ইংশা আল্লাহ্ চাকরি করতে চাই না ।

আমার স্বামীর খুব একটা পছন্দ না ,আমার এই ভার্সিটি পড়াশুনা করাটা।

বোঝায় আমাকে, এই সময় টুকু শুধুই ফেৎনা তে তুমি নিজে জেনে বুঝে যাচ্ছো।

আমার এই ভার্সিটি পড়া চালিয়ে যাওয়া কি গুনাহ হচ্ছে???

1 Answer

0 votes
by (687,520 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শশুরের সাথে আসা যাওয়া জায়েজ আছে।
তবে ফিতনার আশংকা বোধ করলে এভাবে আসা যাওয়া পরিহার করতে হবে।

(০২)
https://ifatwa.info/52319/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

হযরত আবি উসায়িদ আল-আনসারি হতে বর্ণিত,

 ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻠﻤﺔ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻌﺰﻳﺰ ﻳﻌﻨﻲ ﺍﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺍﻟﻴﻤﺎﻥ ﻋﻦ ﺷﺪﺍﺩ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﺣﻤﺎﺱ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻋﻦ ﺣﻤﺰﺓ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺃﺳﻴﺪ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭﻱ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ
ﺃﻧﻪ ﺳﻤﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻭﻫﻮ ﺧﺎﺭﺝ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﺎﺧﺘﻠﻂ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ ﻣﻊ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ ﻓﻲ ﺍﻟﻄﺮﻳﻖ ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻠﻨﺴﺎﺀ ﺍﺳﺘﺄﺧﺮﻥ ﻓﺈﻧﻪ ﻟﻴﺲ ﻟﻜﻦ ﺃﻥ ﺗﺤﻘﻘﻦ ﺍﻟﻄﺮﻳﻖ ﻋﻠﻴﻜﻦ ﺑﺤﺎﻓﺎﺕ ﺍﻟﻄﺮﻳﻖ ﻓﻜﺎﻧﺖ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺗﻠﺘﺼﻖ ﺑﺎﻟﺠﺪﺍﺭ ﺣﺘﻰ ﺇﻥ ﺛﻮﺑﻬﺎ ﻟﻴﺘﻌﻠﻖ ﺑﺎﻟﺠﺪﺍﺭ ﻣﻦ ﻟﺼﻮﻗﻬﺎ ﺑﻪ
ﺑﺎﺏ ﻓﻲ ﻣﺸﻲ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ ﻣﻊ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻄﺮﻳﻖ
 হামাযাহ ইবনু আবূ উসাইদ আল-আনসারী (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যখন তিনি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় দেখেন, রাস্তায় পুরুষরা মহিলাদের সঙ্গে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের বললেনঃ তোমরা একটু অপেক্ষা করো। কারণ
তোমাদের রাস্তার মাঝ দিয়ে চলাচলের পরিবর্তে পাশ দিয়ে চলাচল করা উচিৎ। সুতরাং মহিলারা দেয়ালের পাশ দিয়ে চলাচল করতো, এতে তাদের চাদর দেয়ালের সঙ্গে আটকে যেতো।(সুনানু আবি দাউদ-৫২৭২)

হযরত ইবনু উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَهَى أَنْ يَمْشِيَ يَعْنِي الرَّجُلَ بَيْنَ الْمَرْأَتَيْنِ»

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো পুরুষকে দুই মহিলার মধ্যবর্তী হয়ে হাটাহাটি বা চলাচল করতে নিষেধ করেছেন।(সুনানু আবি দাউদ- ৫২৭৩)

★গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে  ঘষাঘষি করে গায়ে গায়ে মিলিত অবস্থায় বাসে বসা,দাঁড়ানো বা নারী-পুরুষের অবাদ মিলামিশা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা আবশ্যক ।

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এভাবে গায়রে মাহরাম পুরুষ এর সাথে স্পর্শ লাগলে আপনাকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন।
তবে এভাবে নিয়মিত যাতায়াত করা যুক্তিসঙ্গত হবেনা।

(০৩)
স্বামী যদি স্পষ্ট আকারে আপনাকে এভাবে বাহিরে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে পড়াশোনা করতে নিষেধ করেন,আর তাত নিষেধ সত্ত্বেও আপনি এভাবে বাহিরে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যান,সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...