জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن سالم بن عبد الله عن أبيه رضي الله عنه : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( فيما سقت السماء والعيون أو كان عثريا العشر وما سقي بالنضح نصف العشر ) (صحيح البخارى : كتاب الزكوة : باب العشر فيما يسقي من ماء السماء وبالماء الجاري : 1/201 برقم : 1453)
অর্থাৎ,আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী স. বলেন, আসমানী বা নদীনালা অথবা অন্যান্য প্রাকৃতিক পানি সিঞ্চনে যা উৎপাদিত হয় তাতে ওশর আসবে। আর যা কৃত্রিম উপায়ের পানি দ্বারা সিঞ্চিত হবে তাতে অর্ধেক ওশর লাযেম হবে।
وعن جابر أنه سمع رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : [ فيما سقت الأنهار والغيم العشر وفيما سقي بالسانية نصف العشر ] أخرجه مسلم و أبو داود (المغنى 2/547
অর্থাৎ, হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি শুনেছেন, নবী স. বলেছেন, যা নদীনালা ও বৃষ্টির পানি দ্বারা সিঞ্চনে উৎপাদিত, তাতে আসবে ওশর। আর যা কৃত্রিম উপায়ের পানি দ্বারা সিঞ্চিত, তাতে আসবে অর্ধেক ওশর।
আরো জানুনঃ
আমাদের দেশ উশরিও নয়,খারাজিও নয়।
এই জন্য এদেশের শষ্যাদির উপর ওশর অথবা ওশরের অর্ধেক কোনোটাই ওয়াজিব নয়।
কেহ যদি সন্তুষ্টি চিত্তে অংশ নির্দিষ্ট করা ব্যতিত কিছু দেয়,তাহলে কোনো ক্ষতি নেই।
অবশ্য কিছু বা পুরো শষ্য বিক্রয়ের পর নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে যাকাত দিতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত টাকা যদি সেই ব্যাক্তি ফসলের যাকাত তথা ওশর আদায়ের নিয়তে আপনাকে প্রদান করে,সেক্ষেত্রে আপনি যাকাত গ্রহনের হকদার হলে অর্থাৎ আপনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হলে তথা আপনার উপর যাকাত আবশ্যক না হলে সেই টাকা গ্রহন করতে পারবেন।
তবে আপনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়ে থাকলে সেই টাকা গ্রহন করতে পারবেননা।