আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামুয়ালাইকুম।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেশক, কস্তুরি, জাফরান, আম্বার ও অন্যান্য সুগন্ধি আতর ব্যবহার করেছেন। কিন্তু বর্তমানে মেশক, আম্বারের দাম অনেক বেশি, যা কিনা সম্ভব নয়। তাই ১০০, ২০০ টাকার আতর কিনে ব্যবহার করলে কি সুন্নাত আদায় হবে?

ফাতেহা শরিফ পড়া কি বিদ'আত না জায়েজ?

ঈদে মিল্লাদুন নবী কি বিদ'আত?

কোনো পীর সাহেব যদি কাফের হয়, সেই কাফের পীরের মরার পর যেখানে কবর দিবে, সেই কবরে যে ঘাস জন্মাবে, সেই ঘাস যে গরু খাবে, সেই গরুর দুধ যে খাবে, সেও কি কাফের হবে?

ভন্ড পীরের কাছে গেলে কি কেউ কাফের হবে? যদি কাফের হয়, তবে কীভাবে ক্ষমা পাবে?

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হ্যাঁ, ১০০, ২০০ টাকার আতর ক্রয় করে ব্যবহার করলে সুন্নাত আদায় হবে।

সুগন্ধিযুক্ত আতর হলেই সুন্নাত আদায় হবে।
চাই কম মূল্যের হোকনা কেনো।

(০২)
সূরা ফাতেহা পড়া বিদয়াত নয়।

তবে ফাতেহা শরীফ বা ফাতেহা খতম বলে প্রচলিত বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি আছে।
এগুলোতে শরীয়তের খেলাফ কিছু না থাকলে আবশ্যকীয় মনে না করে দ্বীনের অংশ মনে না করে আমল করা যাবে।

(০৩)
ঈদ ই মিলাদুন্নবি বিদ'আত। এটি নব আবিষ্কৃত,এটি ইসলামের স্বর্ণযুগে ছিলোনা।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীগণ তাঁকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন, বেশি সম্মান করতেন, তাঁর অধিকার সম্পর্কে পরবর্তীদের চেয়ে বেশি ওয়াকিবহাল ছিলেন। সুতরাং তাঁদের নিকট যা কিছু দ্বীনের অংশ ছিল না; সেটা তাঁদের পরেও দ্বীন হিসেবে সাব্যস্ত হবে না।

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এ ভিত্তি দিয়ে ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের বিপক্ষে দলিল পেশ করেছেন যারা মসজিদে গোল হয়ে বসে সম্মিলিতভাবে পাথর টুকরা দিয়ে গুণে গুণে যিকির করা শুরু করেছিল: ঐ সত্তার কসম, যাঁর হাতে রয়েছে আমার প্রাণ; তোমরা কি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রজন্মের চেয়ে উত্তম কোন প্রজন্মের মধ্যে আছ? নাকি তোমরা পথভ্রষ্টতার দরজা উন্মোচন করছ!! তারা বলল: আবু আব্দুর রহমান, আমাদের উদ্দেশ্য নেকির কাজ করা। তিনি বললেন: কত লোক এমন আছে যে ভাল কাজ করতে চায় কিন্তু সঠিক দিশা পায় না।[সুনানে দারেমী ২১০]

আবু দাউদ (১১৩৪) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনায় এলেন সে সময় মদিনাবাসীরা বিশেষ দুটি দিনে খেলাধুলা করত। (তা দেখে) তিনি বললেন: “এ দুটি দিনের বিশেষত্ব কি?” তারা বলল: আমরা জাহেলী যুগেও এ দুটি দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি বললেন: “আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে এ দুই দিনের পরিবর্তে আরও ভাল দুটি দিন দিয়েছেন- ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর।”

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমাদের বিষয়ের মধ্যে নতুন কিছু চালু করে যা এতে নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত।”[সহিহ বুখারী (২৬৯৭) ও সহিহ মুসলিম (১৭১৮)]

সুতরাং ঈদ-এ-মিলাদুন্নাবী উপলক্ষে মসজিদে দোয়া, মাহফিল,মিলাদ, সবশেষে তবারক দেওয়া।  এগুলো বিদআত ও পরিত্যাজ্য।

আরো জানুনঃ- 

(০৪)
সেই কবরে যে ঘাস জন্মাবে, সেই ঘাস যে গরু খাবে, সেই গরুর দুধ যে খাবে, সে কাফের হবেনা।

(০৫)
তাদের কাছে গেলেই কেহ কাফের হবেনা।
তবে কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো কাজ করলে কাফের হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...