আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (32 points)
এক ভাই জানতে চেয়েছে, সে দিনের অনেকটা সময় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। বলা যায়, প্রায় পুরো সকাল্টাই ঘুমিয়ে কাটায়। নামাজ মিস দেয় না। এতে কি তার সময়ের অপচয়ের গুনাহ হচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (719,040 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
ঘুম আল্লাহর নিদর্শন সমূহের একটি।যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন, 
وَمِنْ آيَاتِهِ مَنَامُكُم بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَابْتِغَاؤُكُم مِّن فَضْلِهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَسْمَعُونَ
তাঁর আরও নিদর্শনঃ রাতে ও দিনে তোমাদের নিদ্রা এবং তাঁর কৃপা অন্বেষণ। নিশ্চয় এতে মনোযোগী সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।(সূরা রূম-২৩)
রাতের ঘুম হল মূল,আর দিনের ঘুম হল,শাখাপ্রশাখাগত।আল্লাহ তা'আলা দিনকে কাজ রিজিক অন্বেষণের জন্য তৈরী করেছেন।এবং রাতকে বিশ্রাম ও আরামের জন্য বানিয়েছেন।দিনে কাজ এবং রাতে ঘুম।এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَهُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ اللَّيْلَ لِبَاسًا وَالنَّوْمَ سُبَاتًا وَجَعَلَ النَّهَارَ نُشُورًا
তিনিই তো তোমাদের জন্যে রাত্রিকে করেছেন আবরণ, নিদ্রাকে বিশ্রাম এবং দিনকে করেছেন বাইরে গমনের জন্যে।(সূরা ফুরকান-৪৭)
أَلَمْ يَرَوْا أَنَّا جَعَلْنَا اللَّيْلَ لِيَسْكُنُوا فِيهِ وَالنَّهَارَ مُبْصِرًا إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
তারা কি দেখে না যে, আমি রাত্রি সৃষ্টি করেছি তাদের বিশ্রামের জন্যে এবং দিনকে করেছি আলোকময়। নিশ্চয় এতে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।(সূরা নামল-৮৬)
وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا*وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا*وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا
তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী,রাত্রিকে করেছি আবরণ।দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়,(সূরা আন-নাবা-৯--১১)

দৈনিক কতঘন্টা ঘুমানো হবে?এ সম্পর্কে কুরআন-হাদীসে স্পষ্টত নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি।বরং ঘুমকে শারিরিক অবকাঠামোর উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।শিশু,যুবক,বৃদ্ধ তারা প্রয়োজনবোধে ঘুমাবে।যার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই সে ঘুমাবে।তাছাড়া শীতকালের ঘুম গরম কালের ঘুম থেকে কিছুটা পৃথক হবে।

সাধারণ একজন সুস্থ সবল মানুষ দৈনিক ৫থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাবে।এর অতিরিক্ত ঘুমাবে না।শারিরিক প্রয়োজনে কেউ এর চেয়ে কমবেশ করলে তাতে কোনো সমস্যা নাই।বড় কথা হল,নামাযের সময়কে গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে।শরীয়ত চায় মানুষ উদ্দ্যমী ও উৎফুল্ল হয়ে আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকুক।সুতরাং উদ্দ্যমী হতে শরীর যদি ঘুমকে কিছুটা বেশী চায়,তাহলে শরীয়ত তাতে বাধা প্রদান করবে না।

বেশী ঘুম অনেক প্রকার খারাবী নিয়ে আসে,এবং শারিরিক অনেক প্রকার অসুস্থতাকে নিয়ে আসে,তাই স্বাভাবিক ঘুম তথা ৫-৮ থেকে বেশী ঘুম কখনো উচিৎ হবে না।বিনা প্রয়োজনে স্বাভাবিক ঘুমের চেয়ে বেশী ঘুম অবশ্যই সময়ের অপচয় হবে।
তবে যদি ঘুমের কারণে নামায ও ফরয দায়িত্ব বাধাগ্রস্ত হয়,তাহলে এমন ঘুম কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...