আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
316 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
১.হালাল টাকা ব্যবসায় ইনভেস্ট করে কোনো পণ্য বিক্রির সময় কোনো মিথ্যা বললে পুরো ইনকাম হারাম হবে নাকি প্রতারণার গুনাহ হবে?
২.আল্লাহর গূণবাচক নাম কি আউয়াল হবে নাকি আল আউয়াল? কাউকে শুধু আউয়াল,শুধু রাকিব,শুধু মুজিব নামে ডাকলে কি শিরক হবে?
৩.ইভ্যালি থেকে পণ্য কিনার সময় একটি বাইক কিনার ক্নয

1 Answer

0 votes
by (709,800 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
হালাল টাকা ব্যবসায় ইনভেস্ট করে কোনো পণ্য বিক্রির সময় মিথ্যা বললে পুরো ইনকাম হারাম হবে না।তবে প্রতারণার গুনাহ অবশ্যই হবে।এর জন্য সাথে সাথেই তাওবাহ করতে হবে।

(২)
463 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,যে আসমায়ে হুসনা শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলার সিফাতে মাখছুছ(বিশেষত সিফাত) অর্থে ব্যবহৃত হয়।সেই আসমায়ে হুসনা সমূহকে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েয হবে না।
যেমনঃ
اللّٰه ،الرحمن ،القدوس ،الجبار،المتكبر،الخالق،البارئ،المصور،الرزاق ،الغفار،القهار ،التواب،الوهاب،الخلاق،الفتاح،القيوم ،الرب،المحيط ،المليك،الغفور، الأحد ،الصمد،الحق،القادر،المحي،
উচ্ছারণঃ আল্লাহ,রাহমান,কুদ্দুস,জাব্বার,মুতাকাব্বির,খালিক্ব,বারী,মুসাওয়ির,রাজ্জাক,গাফ্ফার,ক্বাহ্হার,তাওয়্যাব,ওয়াহ্হাব,খাল্লাক্ব,ফাত্তাহ,কাইয়্যুম,রাব্ব,মুহিত্ব,মালী...ক, গাফুর,আহাদ,সামাদ,হাক্ব,ক্বাদির,মুহয়ী।

২. ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা যা আল্লাহ তা'আলার সিফাতি অর্থ ব্যতীত অন্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়।সুতরাং অন্য অর্থ হিসেবে ঐ সমস্ত নামের ব্যবহার গায়রুল্লাহর জন্যও জায়েয হবে।


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু মুজিব আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়,তাই মুজিব নাম রাখা যাবে।

আওয়াল এবং আল-আওয়াল উভয়ই আরবীতে ব্যবহৃত হয়।"আল" নির্দিষ্ট করণের জন্য ব্যবহৃত হয়।আওয়াল যেহেতু আল্লাহর সাথে নির্দিষ্ট নয়,তাই এ শব্দ দ্বারাও নাম রাখা জায়েয।তবে আসমায়ে হুসনা দ্বারা নাম রাখলে উক্ত নামের পূর্বে আবদ শব্দ যোগ করে আব্দুল আওয়াল বা আব্দুল মুজিব নাম রাখাই উত্তম।

(৩)প্রশ্নটি পরিস্কার করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
ইভ্যালি থেকে একটি বাইক যদি ৭০% ক্যাশব্যাক সিস্টেমে কিনা হয় অর্থাৎ ধরেন কোনো একটি হুন্ডার মূল্য ১ লাখ ২ হাজার টাকা।এখন ওরা অই হুন্ডায় ৭০% ক্যাশব্যাক দিলে মানে পুরো ১ লাখ ২ হাজার টাকা পেইমেন্ট করলে ৩০/৩২ হাজার এমন টাকা পড়বে হুন্ডার দাম আর বাকি ৭০/৭২ হাজার টাকা যে ক্যাশব্যাক দিবে সেটা দিতে তাদের থেকেই জিনিষ কিনতে হবে অন্য জায়গায় ব্যবহার করা যাবেনা। ইভ্যালি ওয়ালেট এ জমা থাকবে।আর এই অফারটি আরেকটি সিস্টেমে নেয়া যাবে আর সে সিস্টেমে নিলে শুধু ৬০ হাজার টাকা পেইমেন্ট করলে পুরো বাইক দিবে এখানে ওদেরকে আর কোনো টাকা দিতে হবেনা।শুধু ৬০ হাজার টাকা পেইমেন্ট করলেই হবে।এটা পার্সিয়াল পেইমেন্ট সিস্টেম এ করলে শুধু ৬০ হাজার টাকা দিলেই হবে।মূল টাকার সাথে কতো টাকা গূণ অথবা ভাগ করলে অথবা পার্সেন্টিজ করলে এই ৬০ হাজার এমাউন্ট আসবে।এই সিস্টেমে শুধু ৬০ হাজার টাকা পেইমেন্ট করলেই হবে।আর কোনো টাকা দিতে হবে না।তবে ওরাই ক্যাশব্যাক টা পাঠিয়ে দেয় ওয়ালেট এ যার ফলে ইনভয়েস এ হুন্ডার মূল মুল্য টাই দেখানো থাকে।প্রশ্ন হচ্ছে এটা কি সুদ হবে? বা হুন্ডা টা কি সুদের টাকায় কেনা ধরা হবে নাকি হালাল টাকা হবে?(উল্লেখ্য যে ওরা ১৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দিবে বলে জানিয়েছিলো সম্ভবত তবে প্রায় ১ মাসের মতো সময় লেগেছিলো হুন্ডা পেতে)

একই জায়গা থেকে মানে ইভ্যালি থেকে আরেকটি হুন্ডায় ফ্ল্যাট ডিসকাউন্ট এ মানে হুন্ডার দাম ১ লাখ ৭৪ হাজার কিন্তু ওরা ডিসকাউন্ট ও সরাসরি ১ লাখ ২ হাজার ৭০০ টাকায় হুন্ডাটি দিবে বলে জানায়। এখানে শুধু সরাসরি ১ লাখ ২ হাজার ৭০০ টাকা পেইমেন্ট করলেই হুন্ডাটি পাওয়া যাবে বলে ওরা জানায়।কিন্তু ওরা বিভিন্ন কারণে ৪ মাস পড়ে এসে হুন্ডাটি না দিয়ে ওরা হুন্ডা স্টক আউট বলে হুন্ডার মূল দাম মানে ১ লাখ ৭৪ হাজার  টাকা ক্রেতাকে ফিরত দিয়ে দিলো।এখন ক্রেতা যে অতিরিক্ত  ৭১ হাজার ৩০০ টাকা পেলো ইভ্যালি থেকে এই টাকাটি হালাল হবে কিনা?নাকি সুদ হবে?
৪।ফরজ গোসলের পূর্বে বিসমিল্লাহ বলতে হবে কি?যেহেতু অপবিত্র শরীর তাই বিসমিল্লাহ বলা জরুরি কিনা?শুধু গোসলের ৩ টি ফরজ(কুলি করা,নাকে পানি দেয়া,সমস্ত শরীর ধৌত করলে কি গোসলের ফরজ আদায় হয়ে যাবে মানে পরবর্তীতে সালাত আদায় করতে হলে শুধু ওযু করে নিলেই কি হয়ে যাবে?
by (709,800 points)
সম্ভবত আপনি পৃথক একটি প্রশ্ন করেছিলেন,সেই প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে। জাযাকুমুল্লাহ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...