আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম।

মেয়েদের আইন বিষয়ে পড়াশোনা নিয়ে জানতে চাইছি।

১. একটা মেয়ে কি পর্দা করে কোর্টে আইন প্র্যাক্টিস করতে পারবে?

২.পর্দা করে কি কোর্টে আইন প্র্যাক্টিস করা আদৌ সম্ভব?

৩.আর একটি প্রশ্ন, একটি মেয়ের পক্ষে কি পর্দা করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাজ করা সম্ভব?

1 Answer

0 votes
by (712,600 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আইন পেশা সম্পর্কে ইতিপূর্বে আমরা অনেকবার বলেছি যে,বর্তমান প্রচলিত আইনের সকল ধারা ইসলাম সম্মত নয়।আবার সবগুলো ইসলাম বিরোধীও নয়।প্রত্যেক জাতির নীতি আদর্শকে অটুট ও অক্ষুণ্ণ রাখতে সেই জাতির ঐতিহ্যগত আইনকে প্রয়োগ করা এবং বাস্তবায়ন করা নিতান্তই জরুরী।বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম। এবং এই দেশের সিংহভাগ মানুষ ধর্মপ্রাণ মুসলমান।এ হিসেবে অন্যান্য জাতির প্রতি সহমর্মিতা রেখে নিরবচ্ছিন্ন ইসলামী আইন বাস্তবায়ন হওয়াই এ দেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। কুরআন-সুন্নাহ শুধু পড়ার জন্য নয়,বরং মানবতার কল্যাণ সাধনে প্রয়োজন মাফিক কুরআন সুন্নাহর আইনকে বাস্তবায়নও করতে হবে।কিন্তু আফসোসের সাথে বলতে হয় যে,আমাদের দেশ, বাংলাদেশে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক আইন নেই।যেহেতু নেই তাই আমরা বলবো, কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইনকে কোনো উকিল কোর্টে পেশ করতে পারবেন না।এবং বিচারকও সেই আইনের ভিত্তিতে বিচার করতে পারবেন না।যেহেতু আইন পেশায় জড়িত না হলে ইসলাম এবং মুসলমানদেরকে আরো বিপর্যস্ত হতে হবে,তাই এ পেশাকে রিজেক্ট করার চেয়ে গ্রহণ করাই শ্রেয় হবে।তবে মিথ্যা, ঘুষ শরীয়া বিরোধী আইন থেকে বেঁচে থাকতে হবে।সর্বোপরি পাক্কা ঈমাদার ও দ্বীনদ্বার দের জন্য এ পেশায় এগিয়ে আসা নিরাপদ।যাদের নিজেদের  ব্যাপারে গোনাহে জড়িত না হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।

সুতরাং আমরা এ পরামর্শই দেবো যে,বক্ষমান পরিস্থিতে যাদের ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থের চিন্তা রয়েছে,শুধুমাত্র তাদের জন্যই এ পেশায় জড়িত হওয়ার রূখসত রয়েছে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2232

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নারীদের জন্য আইন পেশায় জড়িত হওয়া নিতান্তই মুশকিল বিষয়।ইচ্ছা সত্বেও পর্দা পুশিদাকে রক্ষা করা সম্ভবপর হবে না। তাছাড়া কন্ঠের পর্দা তো সম্ভবও না।কিন্তু যেহেতু দেশীয় আইনে কৌটা ভিত্তিক কিছু নারীকে আইন পেশায় নিয়োগ দেয়াই হবে। তাই কিছু নারীদের জন্যও আপাতত এ পেশায় এগিয়ে আসা উচিৎ যতদিন না পুরোপুরি ইসলামি আইন বাস্তবায়ন হচ্ছে।

وَأَمَّا الذُّكُورَةُ فَلَيْسَتْ مِنْ شُرُوطِ جَوَازِ التَّقْلِيدِ فِي الْجُمْلَةِ؛ لأَِنَّ الْمَرْأَةَ مِنْ أَهْل الشَّهَادَاتِ فِي الْجُمْلَةِ، إِلاَّ أَنَّهَا لاَ تَقْضِي فِي الْحُدُودِ وَالْقِصَاصِ، لأَِنَّهُ لاَ شَهَادَةَ لَهَا فِي ذَلِكَ، وَأَهْلِيَّةُ الْقَضَاءِ تَدُورُ مَعَ أَهْلِيَّةِ الشَّهَادَةِ. 

(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৩/২৯১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...