আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (76 points)
edited by
১।কোন একটা মেয়ে মা বাবার অমতে বিয়ে করেছে।সে বুঝতেছে সে কস্ট দিছে খুব মা বাবাকে।সে মায়ের কাছে মাফ ও চেয়েছিল।সেটার জন্য সে অনুতপ্ত কিন্তু সে চায় স্বামীর সাথে সংসার করতে।মেয়েটা এখনো বাবার বাড়িতে থাকে।।মা বাবা চায় না সে স্বামীর সাথে দেখা করুক । মেয়েটা তার স্বামীর সাথে দেখা করলে বা চলে গেলে স্বামীর সাথে গুণাহ হবে?মা বাবার অমতে? কারন মেয়েটার  মনে হচ্ছে নাকি মা কোনদিন মানবে না কারন স্বামী চাকরী করে না ব্যাবসা করে তাই আর সমবয়সী তাই।তার খালারাও নাকি বুঝিয়েছে মাকে বিয়ে যেহেতু করেছে মেনে নেন।অনেক মানুষ আশেপাশের তারাও বলেছে নাকি মাকে ছেলেটা খুব ভাল শান্ত।মা চাই মেয়ে সেইখান থেকে চলে আসুক কিন্তুু মেয়ে চায় স্বামীর সাথে সংসার করতে।মেয়েটা কিছুতেই আসবে না স্বামীর সাথে বিয়ে ভেন্গে দিবে না।মেয়েটাও চেয়েছে মা বাবা সব মেনে নিক।মেয়েটা নাকি কান্নাকাটি করে  মাকে বলেছিল মা দয়া করে এমন করিয়েন না সংসারটা  মানে বিয়েটা ভেন্গে দিয়েন না।বাবাকেও ২ বার বলছিল কান্না করে করে বাবা আমি স্বামীর সাথেই সংসার করতে চায় আমি আসব না ফিরে ওইখান থেকে।বাবা বলে আগে পড়াশোনা শেষ কর ওইসব পরে দেখা যাবে।তহ এখন প্রশ্ন হচ্ছে মেয়েটার সে যদি মা বাবার অমতে স্বামীর সাথে দেখা করে বা চলে যায় তাহলে কি গুণাহ হবে?কারন মেয়েটার মনে হচ্ছে কোনদিন ও মেনে নিবে না মা বাবা।সে চায় না স্বামীর কাছ থেকে বিয়ে ভেন্গে দিয়ে চলে আসতে, চায় না।

২।মেয়েটাকে যদি পাওয়ার দেয় স্বামী মেয়েটা যে মায়ের পায়ে ধরে কথাটা বলেছে যে সংসার ভেন্গে দিয়েন না এটার জন্য কি কোন শর্ত যুক্ত তালাক বা এমনিতে তালাক হতে পারে?সে তালাকের নিয়তে বলে নি মাকে রিকোয়েস্ট করেছে যে।

৩।মেয়েটার মায়ের কথা হচ্ছে মেয়েটা যদি বিয়েটা ভেন্গে দিয়ে চলে আসে তাহলে মাফ করে দিবে কিন্তু মেয়েটা বিয়ে ভেন্গে দিবে না কিছুতেই।এতে কি মায়ের কথাটা না মানলে গুণাহ হবে?সে তার স্বামীর সাথে সংসার করলে কি গুণাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (677,280 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/38201/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِغَيْرِ اللهِ لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَالَّذِى
نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ تُؤَدِّى الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّىَ حَقَّ زَوْجِهَا وَلَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِىَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعْهُ-

“যদি আমি কাউকে নির্দেশ দিতাম আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে সিজদা করার, তাহ’লে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য।ঐ সত্তার শপথ করে বলছি যার হাতে আমার জীবন, মহিলারা ঐ পর্যন্ত আল্লাহর হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে স্বামীর হক আদায় না করে, এমনকি স্বামী যদি যাত্রা পথে ঘোড়ার পৃষ্ঠেও তাকেও আহবান করে তখনও তাকে বাধা না দেয়।” (ইবনে মাজাহ হা/১৮৫৩; সহীহাহ হা/১২০৩।)

ইফকের ঘটনায় মা আয়েশা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট তার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি চাওয়ার হাদিস:
তিনি বলেন:
أتأذن لي أن آتي أبوي

“(হে আল্লাহর রাসূল,) আপনি কি আমাকে আমার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি দিবেন?” (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)

لا يجوز للمرأة الخروج من بيت زوجها إلا بإذنه ، لا لوالديها ولا لغيرهم ؛ لأن ذلك من حقوقه عليها ، إلا إذا كان هناك مسوغ شرعي يضطرها للخروج

“কোন মহিলার জন্য স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া জায়েয নয়। পিতামাতা বা অন্য কারো নিকট নয়। কারণ এটি তার উপর স্বামীর হক। অবশ্য যদি শরিয়ত সম্মত বিশেষ কোনো কারণ থাকে তাহলে ভিন্ন কথা।” (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৯/১৬৫)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
বিবাহের পর স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার থাকে।
মূলত স্বামীই এখন তার অভিভাবক হয়ে যায়।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই মেয়েটা যদি মা বাবার অমতে স্বামীর সাথে দেখা করে বা চলে যায় তাহলে গুণাহ হবেনা।

(০২)
না,এটার জন্য কোন শর্ত যুক্ত তালাক বা এমনিতে তালাক হতে পারেনা 

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে মায়ের কথাটা না মানলে গুণাহ হবেনা।
সে তার স্বামীর সাথে সংসার করলে গুণাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (76 points)
edited by
১।শায়খ আমার মনে হচ্ছে আমি আগে এই প্রশ্নটা করেছিলাম
এখন তহ আরো সুন্দর পাইছ।।স্ত্রী যদি বলে এখন তহ আমাকে ভাল লাগবে না এখন তহ ছুড়ে ফেলে দিবা বা দিছ সেটা বা ছেড়ে দিবা  স্বাভাবিক।স্বামীও যদি বলে হুম ছুড়ে ফেলে দিব বা দিছি

প্রশ্ন ঠিক এটা কিনা জানি না। খুজেও পাচ্ছি  না।আপনি মনে হয় বলেছিলেন এমন অবস্হায় স্বামী ছেড়ে দিছে বললেও তালাক হবে না।বেশির ভাগ মনে হচ্ছে এটা বলেছিলেন।৯৫ % মনে হচ্ছে এটা বলেছিলেন।যদি আরেকবার বলতেন ভাল হত।

২।কোন স্বামী যদি বলে ছেড়ে দিব সেটা বর্তমানের নিয়তে বললে কি তালাক হয়? দিবে বললে তালাক হয় না সেটা শুনেছি।স্ত্রীর যদি মনে হয় সেটা বর্তমানের নিয়তে বলেছে।স্বামীর ধরেন মনে থাকে না জিগ্যেস করলে উল্টা পাল্টা বলতে পারে।তহ স্ত্রীর মনে হওয়ার দ্বারা কি তালাক হবে? দিবে কথা ওটা দ্বারা? মানে স্ত্রী যদি বলে এখন তহ আমাকে ভাল লাগবে না এখন তহ আমাকে ছেড়েই দিবা সেটা স্বাভাবিক। এই কথাটা বলার সময় ধরেন স্ত্রীর মনে আসে যে তাকে স্বামী ছেড়ে দিছে। সেই ভাবে বলেছে বা সেইরকম করে কথাটা বলেছে স্ত্রী ।কিন্তুু আসলে দেয় নি।স্ত্রীর দিবা কথাটা দ্বারা দিছে সেটা বুঝাইছে ধরেন মনে মনে কিন্তু স্বামী কি বুঝেছে সেটা ধরেন ওই মেয়েটা জানে না।মেসেজে বা ফোনে ধরেন কথাটা বলেছে।তাহলে কি তালাক হবে?

৩।উপরের ২ নং প্রশ্নের মেয়েটাকে ধরেন পাওয়ার দিছে মুখে ও কাগজে কিনৃতু স্বামী আর স্ত্রী কেও জানত না মেয়েরা এই অধিকার টা পায়।মেয়েটাত নিজের দিকে ইন্গিত করে তালাক দেয় নি।এমনিতে স্বামী দিছে মনে মনে সেটা ভেবে কথাগুলো বললে উপরের তাহলে কি তালাক হবে? সে নিজের দিকে ইন্গিত করে তহ তালাক দেয় নি।সে জানত ও না এসব ধরেন।

৪।কোন স্বামী যদি বলে কোন খবর নাই।মানে স্বামী দূরে থাকে।মেসেজ বা কল দেই নায় বলতেছে আর কি।তহ স্ত্রী দিছিল কয়েকবার।তহ স্ত্রী বলতেছে রাগ উঠতেছে কিন্তু।কয়টা দিছি কল? স্বামী বলে সিম সহ পাল্টায় ফেলব।স্ত্রী বলে কেন? স্বামী বলে তুৃমার রাগ  
উঠতেছে তাই। স্বামীর এসব কথা দ্বারা কি তালাক হবে?স্ত্রী বলে আমি মরেগেলে খুশি হবেন? স্বামী বলে এত তাড়াতাড়ি কেন নাতি সব হোক।তহ স্ত্রী বলে আমার জ্বালা সিম পাল্টাতে চাচ্ছেন। স্বামী বলে তুমার জ্বালা না।তুমার কস্ট করে কল দিতে না হয় মত।এসব কথা  দ্বারা কি তালাক হয়? স্বামীকে নিয়ত জিগ্যেস করলে রেগে  যেতে পারে।কারন এসব বিষয়ে কথা  না বলতে বলেছিল স্বামী আগে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...