আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
edited by
১. কারোর সাথে কথা বলার সময় কথার কথায় আমি বলে ফেলেছি যে আমি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে সব জানি। কথাটা বলার পর আমার এটা মনে হলো যে আমি যতই জানি না কেন তা সব সময় সীমিত। কথাটা আমি বলে ফেলেছি ঝোঁকের মাথায়, এবং ভুল বোঝার পর তওবাও করেছি। এর পরেও কি আর কোনো করণীয় আছে?
(মূলত আমি এই কথাটা বলেছি কোরআন শিক্ষা করা নিয়ে। আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি একজন হুজুরের কাছ থেকে ও কোরআন শিক্ষার বইয়ের মাধ্যমে নিজের চেষ্টায় যা শিখেছি সেগুলো শুদ্ধ ভাবে পড়ার জন্য প্রায় নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন আমার ছোট ভাই মনে করেছে যে আমি অনেক কিছুই শিখে গেছি, তাই এখন ওকেও শেখাতে পারবো কোরআন পড়া। কিন্তু এই বিষয়ে শেখাতে গেলে আমার ভয় হয় যদি আমার থেকে কোনো ভুল কিছু হয়ে যায় তখন? এজন্য ছোট ভাইকে আমি বলি হুজুরের কাছ থেকে শিখতে। পরে ওর সাথে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে আমি কিছুটা বিরক্ত হয়ে মুখ ফসকে বলে ফেলি যে আমি সব পারি। এবং পরে এর জন্য তওবা করি) এজন্য আমি চিন্তিত।

২. আমরা অনেকেই অনেক সময় কথা বলার ক্ষেত্রে মুখ ফসকে বলে আল্লাহর কসম এটা সত্য বা ঐটা আমি দেখেছি বা করেছি, এহেন নানান কথা। এর জন্য তওবা করার পরও অন্য কোনো করণীয় আছে?

৩. আমি কাউকে বলেছি যে, " ভুলবশত কোরআন পরে গেলে তওবা করতে হবে, সেই সাথে কোরআনের সম্মানার্থে চুমু খেতে হবে, যদিও চুমু খাওয়ায় কথা কোথাও লেখা নাই। তবে কোরআনের সন্মানের জন্য করা উচিত " এই কথাটা কি বলে আমি ভুল করেছি , করে থাকলে এ বিষয়ে কি বলা উচিত?

৪. অনেক সময় আমাদের বিভিন্ন কথার দ্বারা ঈমান চলে যাওয়ার উপক্রম হতে পারে। এজন্য যখন সন্দেহ হবে তখন ঈমান আনার নিয়তে কালেমা পাঠ করে এ বিষয়ে সন্দেহ কি দূর করা যেতে পারে? বা প্রায় প্রতিদিনই ঈমান আনার নিয়তে কালেমা পাঠ করা কি যুক্তিযুক্ত?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۚ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَـٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا
যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।(সূরা বনি ইসরাঈল-৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
সবজান্তা হওয়া কখনো উচিৎ না।তবে এজন্য কোনো গোনাহ হবে না।

(২)
আল্লাহ তা'আলার বাণী,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1808

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কথাবার্তা বলার মুহুর্তে যে কসম করা হয়, সেটা কসমে লগু, এই কসমের কারণে কাফফারাও আসবে না এবং কোনো গোনাহও হবে না।

(৩)
না, এই কথা ভুল নয়।

(৪)
জ্বী, সন্দেহ দূর করার জন্য কালেমা পড়া যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (26 points)
১ নং এর জন্য:
উল্লেখিত প্রশ্নে যেহেতু কুরআন শিক্ষার বিষয় নিয়ে এমন কথা বলা হয়েছে। এতে কি কুরআনকে অসন্মান করা হলো কি না? 
by (712,400 points)
বুঝিনি। আবার বলুন। 
by (20 points)
১ নং প্রশ্নে আমি বলেছি,

"মূলত আমি এই কথাটা বলেছি কোরআন শিক্ষা করা নিয়ে। আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি একজন হুজুরের কাছ থেকে ও কোরআন শিক্ষার বইয়ের মাধ্যমে নিজের চেষ্টায় যা শিখেছি সেগুলো শুদ্ধ ভাবে পড়ার জন্য প্রায় নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন আমার ছোট ভাই মনে করেছে যে আমি অনেক কিছুই শিখে গেছি, তাই এখন ওকেও শেখাতে পারবো কোরআন পড়া। কিন্তু এই বিষয়ে শেখাতে গেলে আমার ভয় হয় যদি আমার থেকে কোনো ভুল কিছু হয়ে যায় তখন? এজন্য ছোট ভাইকে আমি বলি হুজুরের কাছ থেকে শিখতে। পরে ওর সাথে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে আমি কিছুটা বিরক্ত হয়ে মুখ ফসকে বলে ফেলি যে আমি সব পারি। এবং পরে এর জন্য তওবা করি) এজন্য আমি চিন্তিত।"

এর কারণে কি কোরআনকে অসন্মান করা হয়েছে কি না?
by (712,400 points)
না, কুরআনকে অসম্মান করা হয়নি।আপনি আপনার ছোট ভাইকে হুজুরের নিকট কুরআন শিখতে বলবেন।জাযাকাল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...