আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এগুলোর উত্তর দিলে উপকৃত হবো।


১.নামাজের মধ্যে মনযোগ বাড়ানোর জন্য আমি কল্পনা করি আমাকে মুখের ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে (যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথসহ) ছুড়ি মারা হচ্ছে,গুলি করা হচ্ছে, লাঠি-রড প্রবেশ করানো হচ্ছে,আগুনে পুড়ানো হচ্ছে,লাভা ঢালা হচ্ছে। এগুলো নামাজের মধ্যে কল্পনা করার ফলে আমার গুণাহ হবে?


২.আমি যদি নামাজের বাহিরে এবং জুমার খুতবা ও কুরআন তেলাওয়াতের সময় ১নং এর বিষয়গুলো কল্পনা করি তাহলে কি গুণাহ হবে?


৩.নফল নামাজের সিজদায়,সালাম ফেরানোর আগে,দুআ কুনুতে যদি গুণাহ মাফের জন্য গুণাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে এবং গুণাহ না করার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে ইস্তেগফার পড়তে পারব?


৪.আমি দুআ করার ক্ষেত্রে নিয়মানুসারে আল্লাহর প্রশংসা বাক্য (সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার সহ আরো কিছু বাক্য) পড়ে দরুদ পড়ে দুআ দুআ করি এবং দুআ শেষে আগের প্রশংসা বাক্য ও দরূদ পড়ে এবং আমীন বলে দুআ শেষ করি।এই নিয়মটা সঠিক?


৫.আমি তওবার ক্ষেত্রে মুনাজাতে বলি,"ইয়া আল্লাহ আপনার কাছে সকল প্রকার গুণাহ হতে তওবা করিতেছি।আমি সকল প্রকার গুণাহ ছেড়ে দিলাম।জেনে না জেনে বুঝে যতগুলো গুণাহ করেছি সেগুলোর জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত।আমি দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিলাম আর কোন প্রকার গুণাহ করব না"।এরপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে শেষে বলি, ইয়া আল্লাহ আপনি আমার তাওবা কবুল করে নিন।এই পদ্ধতি কি সঠিক?

1 Answer

0 votes
by (677,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এমন ভাবে নামাজ পড়তে হবে যেনো আমি আল্লাহ তায়ালার সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছি। আর আল্লাহ তায়ালা নামাজ পড়া দেখছেন। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

قَالَ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ".

‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)

অন্য এক হাদীসে এসেছে-

ثُمَّ قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ نَفْسَهُ فِيهِمَا بِشَيْءٍ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে অজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না) তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়)। ’ (নাসাঈ, হাদিস : ১৫১; বুখারি, হাদিস : ১৯৩৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজের মধ্যে এরকম ভাবার দরুন গুনাহ হবে।

আপনি নামাজে জাহান্নামের ভয়ানক বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারেন।

নামাজে মনোযোগী হওয়ার পদ্ধতি জানুনঃ- 

(০২)
তাহলে গুনাহ হবেনা 

(০৩)
হ্যাঁ,পারবেন।

(০৪)
এ নিয়মটা সঠিক।

(০৫)
এউ পদ্ধতি সঠিক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (27 points)
Jajakallahu khairan 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...