আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম, আমার কিছু প্রশ্ন ছিল।

১.সম্ভবত ইমানি দূর্বলতার কারণে ইসলামী কিছু দেখলে  অনিচ্ছায় হাসি আসে। অনেক সময় ইসলাম নিয়ে খারাপ কিছু লিখলেও , মুসলিম নির্যাতন দেখলে,ইসলাম বিরোধী কাজ দেখলে অনিচ্ছায়  হাসি আসে (তবে আমি সমর্থন করি না এবং অন্তরে আঘাতপ্রাপ্ত হই)।তবে আমি তাচ্ছিল্য করে হাসি না। আমি হাসি আটকানোর চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে আমি ওইকারণ বাদ দিয়ে  এমনিতেই একটা  হাসি দেই কুফর হতে বাঁচার জন্য। এতে কি কুফরে আকবার হবে?নাকি গুণাহ হবে?

২. এক নং প্রশ্নের ন্যায় ওয়াসওয়াসার কারণে আল্লাহ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম,ইসলাম নিয়ে খারাপ কিছু চিন্তা করলে আমি হেসে ফেলি তবে তাচ্ছিল্য করে নয়।আর হাসি আটকানোর চেষ্টা করি?

৩.তওবার ক্ষেত্রে লজ্জিত-অনুতপ্ত হয়ে ইস্তিগফার করার ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রশংসা করে ও দরূদ পড়ে ইস্তিগফার পড়ব নাকি এমনিতেই ইসতেগফার পড়লেই হয়ে যাবে?

৪.কোন নারীর আওয়াজ স্বাভাবিক কথা বললে কর্কশ শোনায় তবে তার আওয়াজ শুনলে কি গুণাহ হবে?

৫.আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করা কি শিরক?(যদি ভয় আল্লাহর চেয়ে বেশি না হয়)

৬.নারীর আওয়াজ সতর এর অন্তর্ভুক্ত বলতে কি শরীর যেমন সতর আওয়াজ তেমনি সতর?

৭.কোন যুবতী নারীর চেহারা এমন হয় যে তাকে দেখলে ফিতনাহর আশংকা নেই অর্থাৎ কুৎসিত চেহারা তাহলে কি তার দিকে তাকালো গুণাহ হবে?

৮.সুরা নুর এর ৩০ আয়াত মতে দৃষ্টি সংযত রাখা কি ফরজ বিধান?

৯.ফরজ ওয়াজিব ছাড়াও গুণাহ এর কোন মাসআলা জিজ্ঞাসা না করলে কি গুণাহ হবে?

আর কুফর বিষয়ে মাসআলা জিজ্ঞাসা করতে বিলম্ব করলে কি কুফর হবে নাকি কবিরা গুণাহ হবে?

১০.যেসব প্রতিষ্ঠান ইসলাম এর বিরুদ্ধে কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে তারা অনেক সময় তাদের ফেসবুক পেজে হাসির অনেক কিছু আপলোড করে তা দেখে হাসলে কুফর হবে নাকি গুণাহ হবে?

১১.কুফরে আকবার ও আসগার এবং শিরকে আকবার ও আসগার কি কবিরা গুনাহ এর অন্তর্ভুক্ত?

১২.তওবার সময় আমি মনে মনে বলি "জেনে না জেনে বুঝে না বুঝে যত গুণাহ করেছি এর জন্য আমি লজ্জিত ও অনুতপ্ত দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিলাম গুণাহ জীবনে আর কোনদিন করবনা" এটা বলে এরপর আমি ইস্তিগফার পড়ি। এভাবে কি তওবা কবুল হবে আর মনে মনে কথাগুলো বলার কারণে তওবা বিলম্ব এর গুণাহ হবে?

১৩.কোন ইসলামী শব্দ লিখে কোন কারণে বা কোন কারণ ছাড়া তা কেটে দিলে কি গুণাহ হবে? আবার ইউটিউবে হিষ্টরি এবং সার্চ লিষ্টে ইসলামিক ভিডিও থাকলে হিষ্টোরি রিমুভ করলে কি গুণাহ হবে?

১৪.তওবার সময় ইস্তিগফার এর সময় এবং ইসলাম গ্ৰহণের সময় যদি মনে মনে অন্য দুআ বা যিকির করি কথা বলি যেমন ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাব ইত্যাদি বা কারো কথা কানে আসে তবে কি কোন সমস্যা হবে?

১৫. তওবার ক্ষেত্রে ইস্তিগফার এর সময় ও ইসলাম গ্ৰহণের সময় মাখরাজ অনুযায়ী বাক্য উচ্চারণ করতে হবে?আর এক্ষেত্রে যদি বাক্যে হঠাৎ ভুল হলে তা যদি ভুল করি তবে কি তওবা কবুল হবে?

১৬.তওবা করার ক্ষেত্রে যদি মনে হয় তওবা করতে ভুল হয়েছে সেক্ষেত্রে আমি মনে করি যে তওবাতে ভুল না হলে তা কবুল হবে না হলে নয়।এতে তওবায় কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (676,360 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

(১.২)
কুরআনের কোনো আয়াত,মহান আল্লাহর নাম,রাসুলুল্লাহ সাঃ, হাদীস, ও শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা,গালি গালাজ করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

আরো জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা 

(০৩)
লজ্জিত-অনুতপ্ত হয়ে ইস্তিগফার পড়া আর ভবিষ্যতে উক্ত গুনাহ না করার সংকল্প করাই যথেষ্ট। 

(০৪)
বিনা প্রয়োজনে বা ফিতনার আশংকা থাকলে শোনা যাবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরন মতে শিরক হবেনা।

(০৬)
হ্যাঁ, এটাই বুঝানো হয়েছে।
তবে মাসয়ালাটি মতবিরোধ পূর্ণ। 

(০৭)
ইচ্ছাকৃতভাবে তার দিকে নজর দিলেও গুনাহ হবে।

(০৮)
হ্যাঁ দৃষ্টি সংযত রাখা ফরজ।

(০৯)
উভয় ছুরতে গুনাহ হবেনা।

(১০)
এতে কুফর/গুনাহ হবেনা।
তবে শরীয়াহ বিরোধী কিছু দেখলে গুনাহ হবে। 
(১১)
হ্যাঁ, কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। 

(১২)
হ্যাঁ, উক্ত তওবা কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 

(১৩)
এতে গুনাহ হবেনা।

(১৪)
না,এতে সমস্যা হবেনা।

(১৫)
এক্ষেত্রে অর্থ বিকৃত হলে তওবা কবুল হবেনা।
এক্ষেত্রে শিরকি অর্থ না হলে তার ইসলাম গ্রহন হবে।

(১৬)
না,সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...