আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
reshown by

আসসালামু আলাইকুম শায়খ। সহীহ মুসলিমের একটি হাদিসে রয়েছে, আব্বাস ইবনু আবদুল আযীয আল-আম্বারী (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, মুসলিমরা আবূ সুফইয়ানের প্রতি দৃষ্টি দিতেন না এবং তার সাথে উঠা-বসা করতেন না। তখন তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, হে আল্লাহর নবী! তিনটি জিনিস আমাকে দিন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি (আবূ সুফইয়ান) বললেনঃ আমার নিকট আরবের সবচেয়ে উত্তম ও সুন্দরী উম্মু হাবীবাহ বিনতু আবূ সুফইয়ান (রাযিঃ) আছে, তাকে আমি আপনার সাথে বিবাহ দিব। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। আবূ সুফইয়ান (রাযিঃ) পুনরায় বললেন, আমার পুত্র মুআবিয়াহকে আপনি ওয়াহী লেখক নিযুক্ত করুন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। আবূ সুফইয়ান (রাযিঃ) বললেন, আমাকে কাফিরদের বিপক্ষে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিন, যেমন আমি (ইসলাম গ্রহণের পূর্বে) মুসলিমদের বিপক্ষে অস্ত্র ধারণ করেছিলাম। তিনি বললেন, আচ্ছা। আবূ যুমায়ল (রাযিঃ) বলেন, যদি তিনি এসব ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আবেদন না করতেন তাহলে তিনি তা দিতেন না। কারণ, তার [আবূ সুফইয়ান (রাযিঃ)-এর] নিকট চাওয়া হলে তিনি হ্যাঁ বলতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬১৮৪, ইসলামিক সেন্টার ৬২২৮) http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=53402

উক্ত হাদিসে আবু সুফিয়ান (রা.) ইসলাম গ্ৰহণ করার পর বলেছেন তিনি উম্মে হাবীবা (রা.) কে রাসুল (সা.) এর সাথে বিবাহ দিবেন। কিন্তু সীরাত গ্ৰন্থ গুলো থেকে আমরা জানতে পারি উম্মে হাবীবা (রা.) কে যখন রাসুল (সা.) বিবাহ করেন তখন আবু সুফিয়ান (রা.) মুশরিক ছিলেন। রাসূল (ছাঃ) ৭ম হিজরীর মুহাররম মাসে ‘আমর বিন উমাইয়া যামরীর মাধ্যমে বাদশাহ নাজাশীর নিকট পত্র প্রেরণ করেন ও উম্মে হাবীবা (রা.) এর সাথে বিবাহের পয়গাম পাঠান। নাজাশী স্বয়ং এই বিবাহের খুৎবা পাঠ করেন। তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর পক্ষে ৪০০ দীনার মোহরানা পরিশোধ করেন ও সবাইকে দাওয়াত খাওয়ান। পরে তাঁকে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রেরিত দূত শুরাহবীল বিন হাসানাহ (রাঃ)-এর মাধ্যমে মদীনায় পাঠিয়ে দেন (আল-ইছাবাহ, রামলাহ ক্রমিক ১১১৮৫)। উম্মে হাবীবা (রা.) এর বিবাহের অনেক পরে আবু সুফিয়ান (রা.) ইসলাম গ্ৰহণ করেছিলেন। আর সহীহ মুসলিমের হাদিসে রয়েছে আবু সুফিয়ান (রা.) উম্মে হাবীবা (রা.) এর জন্য রাসুল (সা.) এর নিকট বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

তাহলে সহীহ মুসলিমের এই হাদিসটির ব্যাখ্যা কি?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
واعلم أن هذا الحديث من الأحاديث المشهورة بالإشكال ، ووجه الإشكال أن أبا سفيان إنما أسلم يوم فتح مكة سنة ثمان من الهجرة ، وهذا مشهور لا خلاف فيه ، وكان النبي صلى الله عليه وسلم قد تزوج أم حبيبة قبل ذلك بزمان طويل . قال أبو عبيدة وخليفة بن خياط وابن البرقي والجمهور : تزوجها سنة ست ، وقيل : سنة سبع . قال القاضي عياض : واختلفوا أين تزوجها ؟ فقيل : بالمدينة بعد قدومها من الحبشة ، وقال الجمهور : بأرض الحبشة . قال : واختلفوا فيمن عقد له عليها هناك ؟ فقيل : عثمان ، وقيل : خالد بن سعيد بن العاصي بإذنها ، وقيل : النجاشي لأنه كان أمير الموضع وسلطانه . قال القاضي : والذي في مسلم هنا أنه زوجها أبو سفيان غريب جدا . وخبرها مع أبي سفيان حين ورد المدينة في حال كفره مشهور . ولم يزد القاضي على هذا . وقال ابن حزم : هذا الحديث وهم من بعض الرواة ; لأنه لا خلاف بين الناس أن النبي صلى الله عليه وسلم تزوج أم حبيبة قبل الفتح بدهر ، وهي بأرض الحبشة ، وأبوها كافر . وفي رواية عن ابن حزم أيضا أنه قال : موضوع قال : والآفة فيه من عكرمة بن عمار الراوي عن أبي زميل . وأنكر الشيخ أبو عمرو بن الصلاح رحمه الله هذا على ابن حزم ، وبالغ في الشناعة عليه . قال : وهذا القول من جسارته فإنه كان هجوما على تخطئة الأئمة الكبار ، وإطلاق اللسان فيهم . قال : ولا نعلم أحدا من أئمة الحديث نسب عكرمة بن عمار إلى وضع الحديث ، وقد وثقه وكيع ويحيى بن معين وغيرهما ، وكان مستجاب الدعوة . قال : وما توهمه ابن حزم من منافاة هذا الحديث لتقدم زواجها غلط منه وغفلة ; لأنه يحتمل أنه سأله تجديد عقد النكاح تطييبا لقلبه ; لأنه كان ربما يرى عليها غضاضة من رياسته ونسبه أن تزوج ابنته بغير رضاه ، أو أنه ظن أن إسلام الأب في مثل هذا يقتضي تجديد العقد ، وقد خفي أوضح من هذا على أكبر مرتبة من أبي سفيان ممن كثر علمه وطالت صحبته . هذا كلام أبي عمرو رحمه الله ، وليس في الحديث أن النبي صلى الله عليه وسلم جدد العقد ، ولا قال لأبي سفيان إنه يحتاج إلى تجديده ، فلعله صلى الله عليه وسلم أراد بقوله : نعم أن مقصودك يحصل وإن لم يكن بحقيقة عقد . والله أعلم .


সারমর্মঃ-
ইমাম নববী রাহ লিখেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' আবু সুফিয়ান রাযি এর ইসলাম গ্রহণের পূর্বেই উম্মে হাবিবা রামলা বিনতে আবু সুফিয়ান কে বিয়ে করেন। আবু সুফিয়ান ৮ম হিজরীতে ইসলাম গ্রহণ করেন, আর উম্মে হাবিবার সাথে ৬ষ্ট বা ৭ম হিজরীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর বিয়ে হয়।  উপরোক্ত বিষয়কে ঠিক রেখে তিনি মুসলিম শরীফের উক্ত বর্ণনা সম্পর্কে অনেক মুহাদ্দিসদের বাণী নকল করেন।কেউ বলেন, উক্ত হাদীস মাওযু।আবার কেউ বলেন, এখানে কোনো এক বারীর ওহম বা মনের ধারণা বর্ণিত হয়েছে।যার বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নাই।

আরেকটি বিষয় তিনি উল্লেখ করেন, হয়তো আবু সুফিয়ান বিয়ে সম্পর্কে জানতেন না বা আবু সুফিয়ানের ধারণা ছিল,বাবার সম্মতি ব্যতিত বিয়ে হয়, কিংবা বাবা মুসলমান হলে মেয়ের বিয়েকে আবার দোহড়াতে হয়,সেই জন্য আবু সুফিয়ান এমন কথা বলেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।জাযাকাল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...