আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম।
হযরত মালিক ইবনু ইয়াসার (রা) সূত্রে বর্ণিত।তিনি বলেন এক ব্যক্তি রাসূল(সা) কে পরপর তিন বার এক  সুন্দরী ও মর্যাদাসম্পন্ন নারীকে বিয়ের ব্যপারে জিজ্ঞাসা করলে ১ম ২ বার ই তিনি না করলেন। ৩য় বার তিনি বলেন,"এমন নারীকে বিয়ে করো,যে প্রেমময়ী এবং অধিক সন্তান প্রসবকারী।"(সুনানে আবু দাউদ,হাদিস নং-২০৫০) -ফ্যামিলি ম্যানেজমেন্ট ও জন্মনিয়ন্ত্রণ বই থেকে নেয়া।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে রাসুল (সা) এর এমন নির্দেশ এর কারণ কি!! এতে কি বন্ধ্যা নারীদের সাথে অন্যায় হলো না?কারণ বন্ধ্যাত্ব ও তো আল্লাহর দান।এক্ষেত্রে একজন নারী যদি বন্ধ্যা হন তার কি স্বামীর ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার নেই? সংসার করার অধিকার ও কি তার নেই?এই ব্যপারে ইসলামের বিধান কি?

নিঃসন্দেহে আমার জ্ঞানের প্রচুর অভাব। তাই প্রশ্নে ভুল হলে অবশ্যই ক্ষমা করবেন।জাজাকাল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
by (63,440 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

মহান আল্লাহ সম্মানিত রসূল ইবরাহীম আলাইস সালাম কে বহু বছর বন্ধ্যত্ব কাটানোর পর বৃদ্ধ বয়সে তাঁর স্ত্রীর সারা আ. এর গর্ভে ইসহাক আ. কে দান করেছিলেন। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছে সন্তান দান করেন আর যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করেন। এটা সম্পূর্ণ আল্লাহর এখতিয়ার ভুক্ত বিষয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন:

لِّلَّـهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ ۚ يَهَبُ لِمَن يَشَاءُ إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَن يَشَاءُ الذُّكُورَ أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَاثًا ۖ وَيَجْعَلُ مَن يَشَاءُ عَقِيمًا ۚ إِنَّهُ عَلِيمٌ قَدِيرٌ

নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন। যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।” (সূরা শূরা: ৪৯ ও ৫০)

বন্ধ্যা নারীকে বিবাহ করা জায়েয। তবে রাসূল (ছাঃ) অধিক সন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ করার প্রতিই উৎসাহিত করেছেন। প্রশেল্লিখিত হাদিসটিতে সন্তান প্রসবকারী নারীকে বিবাহ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

উক্ত নিষেধাজ্ঞা দ্বারা বন্ধ্যা বিবাহ হারাম করা হয়নি। বরং একে অপসন্দনীয় বলা হয়েছে (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৭/১০৮; ফাহুল বারী ৯/১১১)।

সুতরাং বন্ধ্যা মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয। আল্লাহর ইচ্ছা হ’লে তারাও সন্তান সম্ভবা হ’তে পারে। ইব্রাহীম (আঃ)-এর স্ত্রী সারা বন্ধ্যা ছিলেন, কিন্তু আল্লাহ তাকে ইসহাক জন্মের সুসংবাদ দেন (হূদ ১১/৭১)। একইভাবে যাকারিয়া (আঃ) নিঃসন্তান ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে বৃদ্ধ বয়সে সন্তান দান করেন এবং নবী ইয়াহইয়ার জন্ম হয় (আলে ইমরান ৩/৩৮-৪০)। এক্ষণে অধিক সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারী চেনার উপায় হ’ল তার পূর্ববর্তী নারী তথা মা, খালা বা ফুফুদের সন্তানের ইতিহাস পর্যালোচনা করা। তাদের অধিক সন্তান থাকলে সেও অধিক সন্তানদানে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা যায় (আযীমাবাদী, ‘আওনুল মা‘বূদ ৬/৩৪; সুবুলুস সালাম ২/১৬২)।

বন্ধ্যত্ব দূর করার জন্য যথাসাধ্য অভিজ্ঞ ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা করার পাশাপাশি আল্লাহর নিকট দুয়া ও কান্নাকাটি করতে হবে। আল্লাহর রহমত থেকে হতাশ হওয়া যাবে না। কারণ, জীবনের একটা সুদীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মহান আল্লাহ মানুষকে সন্তান দান করেছেন-এর বহু নজির আছে।

সুতরাং বিয়ের পর আল্লাহর রহমত থেকে হতাশ না হয়ে যথাসম্ভব চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি আল্লাহর নিকট দুআ করতে হবে। দয়াময় আল্লাহ ইচ্ছা করলে অবশ্যই সন্তান দানের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরম প্রজ্ঞাবান ক্ষমতাশীল। (আংশিক সংগৃহিত)

আরো জানুন: https://ifatwa.info/11754/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...