বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ইসলামে দিনে রাতে কতবার আহার গ্রহণ করতে হবে? এর নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। রাসূলুল্লাহ সাঃ সেহরি ও ইফতার খেতেন।এটা নির্দিষ্ট। এছাড়া আর কোনো খানা নির্দিষ্ট নয়।
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
مَا أَکَلَ آلُ مُحَمَّدٍ أَکْلَتَیْنِ فِي یَوْمٍ إِلَّا إِحْدَاهُمَا تَمْرٌ.
نبی کریم صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم کے اہل خانہ نے ایک دن میں کبھی دو مرتبہ ایسا کھانا تناول نہیں فرمایا جن میں ایک وقت کھجوریں نہ ہوں۔
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পরিবারবর্গ দিনে কখনো এমন দুইবার খানা খেতেন না, যার মধ্যে একবার খেজুর থাকতো না।অর্থাৎ দিনে দুই বার খানার মধ্যে একবার খেজুর থাকতোই।(সহীহ বোখারী-৬০৯০)
এ সমস্ত বিবরণ থেকে একথা বুঝা যায় যে,
ইসলামে দু'টি খানা রয়েছে। 'গাদা' তথা সকালের খানা আর আশা' তথা রাতের খানা।
(২)
কেউ যদি তার বউকে বলে যে "জলদি ঘুমাও না হয় ফজরের ওয়াক্তে উঠতে পারবে না" তখন সে বলে" না পারলে নাই" এর পরপর ম্যাসেজ দিলো আবার" ঘুমানির ব্যবস্থা করা লাগবো"
এই কথায় ইমানে সমস্যা হবে না। কেননা উপরের কথায় নামাযকে অস্বীকার করা বুঝা যাচ্ছে না। তবে যদি কারো কোনো কথায় নামায অস্বীকার করা বুঝায়, তাহলে তার ঈমান বাকী থাকবে না।
(৩) কেউ যদি বলে "নামাজ পড়তে ইদানিং ভালো লাগে না" বা "নামাজ পরতে ভালো লাগে না" তবে কুফরি হবে না।কেননা এখানে নামাযকে অস্বীকার করা বুঝা যাচ্ছে না।
(৪)"আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে, নামাজ পরতে ভালো লাগে না, জোর করে পড়ি" এমন কেউ বললে তারও কুফরি হবে না।তবে এজাতীয় কথায় আল্লাহ নারাজ হন।সুতরাং এজাতীয় কথাকে অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে।
(৫)আমার জীবনে কিছু নামাজে ভুল করে সন্দেহ থেকে সাহু সিজদা দিয়েছি, দোহরাতে বলেছেন, কিন্তু এর সংখ্যা, কোন কোন নামাজ কিছুই তো মনে নাই।
আপনি অনুমান করে দোহড়িয়ে নিবেন।
(৬)"মাহরামে আবদি " মানে যাদেরকে চিরস্থায়ী বিয়ে করা হারাম, শাশুড়ি/নানী শশুড়ি ও এই কেটাগরীতে পড়বে।