জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো ছবি যুক্ত ঘরে নামাজ পড়া মাকরুহ।
নামাযীর মাথার উপর সামনে ডানে, বায়ে এবং জুতোর মধ্যে এবং সিজদার স্থানে প্রাণীর ছবি থাকলে নামায মাকরূহ তাহরিমী হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن انس رضى الله تعالى عنه قال كان قر ام لعائشة سترت به جانب بيتها , فقال النبى صلى الله عليه وسلم اميطى عنى لا تزال تصاوير. تعرض لى فى صلاتى.
অর্থঃ হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত| তিনি বলেন, হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার একখানা (প্রাণীর ছবিযুক্ত) পর্দা ছিল, যা তিনি উনার ঘরের এক পাশে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন| হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, “হে হযরত ছিদ্দিকা আলাইহাস সালাম পর্দাটি আমার থেকে দূরে সরিয়ে নিন| কারণ এর ছবিগুলো নামাযে আমার দৃষ্টি ও মন আকৃষ্ট করে।” [ বুখারী শরীফ ২/ ৮৮১,ফাতহুল বারী ১০/ ৩৯১]
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال لا يصلى فى بيت فيه تماثيل.
অর্থঃ হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, “ঐ ঘরে নামায পড়োনা যে ঘরে প্রাণীর মূর্তি বা ছবি থাকে|”
[ মুছান্নিফ ইবনে আবী শায়বা ২/ ৪৬ ]
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে পড়াশোনার জন্য কংকাল রাখা জায়েজ হবেনা।
রাখলে ঐ রুমে নামাজ আদায় করলে নামাজ নামাজ মাকরুহে তাহরিমি হবে।
হ্যাঁ যদি কোনো কিছু দিয়ে কংকালের চেহারা ঢেকে রাখা হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ মাকরুহ হবেনা।
মেডিকেল এ পড়াশোনার জন্য কংকাল রাখা সংক্রান্ত বিস্তারিত বিধান জানুনঃ-