আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
313 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
edited by
১. কাউকে মনে মনে গালি দেয়া জায়েজ?
২. এই হাদিস গুলো কি সহিহ?

1.ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি তোমাকে তোমার সে বিষয় নিয়ে গালি দেয়— যা সে জানে, তখন তুমি সেই ব্যক্তিকে সেই বিষয় ধরে গালি দিয়ো না— যা ওর মধ্যে আছে আর তুমি তা জানো। এতে তোমার পুণ্য লাভ হবে এবং ওর ওপর হবে পাপের বোঝা। (সহিহুল জামে, হাদিস : ৫৯৪)

2‘পরষ্পর গাল-মন্দকারী উভয়ে দুইটি শয়তান। তারা পরষ্পরের নিন্দা করে এবং মিথ্যা কথা বলে।’ (মুসনাদু আহমদ, হাদিস : ১৬৮৩৬)
৩. যে ব্যক্তি গালি দেয় সে কি শয়তান এমন কিছু বলা যাবে?
৪. আমার ছোট ভাই সব সময় আমাকে কথায় কথায় অপদস্ত করে। অসম্মান করে। কোন উপদেশ দিলে বলে আমার চোখের সামনে থেকে যাও।তুমি তোমার মত থাকো আমি আমার মত, আমার সাথে কোন কথা বলবানা। আমি তোমার চেহ্রায়াও দেখতে চাইনা।  কথায় কথায় বলে আমার রুম থেকে বের হও। আপনি/ আপু কোনটা করেই কথা বলেনা,তুমি আর নাম ধরে কথা বলে। আমি অসম্মান সহ্য করতে পারিনা,আমার অন্তর ছিড়ে যায়। কি করব আমি.! ইসলামে কি বোনের সম্মানের ব্যাপারে কিছু নাই? বড়দের সাথে বেয়াদবির ব্যাপারে কিছু নাই?

৫. কাউকে অমানুষ, বেয়াদব, অসভ্য, মুনাফিক,ফাসিক বললে কি গালি হবে?
বস্তুত সে সব সময় বড়দের সাথে বে আদবি করে, অসভ্যদের মত আচরণ করে, ফাসিকের মত গালাগালি করে, মুনাফিকের মত মিথ্যা বলে।

৬. এটা কি সহিহ?

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গীবতের কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো।

(আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর লিল বায়হাক্বী ৪৭৮,মেশকাত ৪৮৭৭)

৭.বার বার কথায় কথায় সম্পর্ক চ্ছিন্ন করে এবং অসম্মান করে নিচু দেখায় এমন আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারব?


(এক মুসলিমাহ হতে)

1 Answer

0 votes
by (709,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)কাউকে মনে মনে গালি দেয়াও জায়েয হবে না।
(২)জ্বী, হাদীসের রেফারেন্স বিশুদ্ধ। 
(ক)
ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি তোমাকে তোমার সে বিষয় নিয়ে গালি দেয় যা সে জানে, তখন তুমি সেই ব্যক্তিকে সেই বিষয় ধরে গালি দিয়ো না যা ওর মধ্যে আছে আর তুমি তা জানো। এতে তোমার পুণ্য লাভ হবে এবং ওর ওপর হবে পাপের বোঝা। (সহিহুল জামে, হাদিস : ৫৯৪)

পরষ্পর গাল-মন্দকারী উভয়ে দুইটি শয়তান। তারা পরষ্পরের নিন্দা করে এবং মিথ্যা কথা বলে। (মুসনাদু আহমদ, হাদিস : ১৬৮৩৬)

(৩)যে ব্যক্তি গালি দেয়, সে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে  এমনটা বলা যাবে।

(৪)ছোটদের স্নেহ করা এবং বড়দের সম্মান করা ইসলামের শিক্ষা।

(৫)কাউকে অযথা অমানুষ, বেয়াদব, অসভ্য, মুনাফিক,ফাসিক বলে গালি দেওয়া জায়েয হবে না।
বস্তুত সে সব সময় বড়দের সাথে বে আদবি করে, অসভ্যদের মত আচরণ করে, ফাসিকের মত গালাগালি করে, মুনাফিকের মত মিথ্যা বলে।

(৬)
হাদীসটি রেফারেন্স বিশুদ্ধ।হ্যা, সনদ দুর্বল।
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهُ تَقُولُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهُ «. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي» الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ وَقَالَ: فِي هَذَا الْإِسْنَاد ضعف
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গীবতের কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো।
(আদ্ দাওয়াতুল কাবীর লিল বায়হাক্বী ৪৭৮,মেশকাত ৪৮৭৭)

(৭)
বার বার কথায় কথায় সম্পর্ক চ্ছিন্ন করে এবং অসম্মান করে নিচু দেখায় এমন আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে।তবে উত্তম হল তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (709,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 211 views
...