আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
240 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (32 points)
১। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টি  আবাসিক। সেখানে সকলকে চারটি ভবনে আলাদা করে রাখা হয় এবং সেখানে এই চার ভবনের ছাত্রদের নানা রকম চিহ্ন দ্বারা আলাদা করা হয়।এরপর এই চার ভবনের ছাত্রদের মাঝে নানান প্রতিযোগিতা হয়।কিছু প্রতিযোগীতা রয়েছে যেটা তে ট্রফি হিসেবে যেটা দেয়া হয়,সেই ট্রফিতে মানুষের ছবি দেয়া থাকে।হয়তো চোখ নাক স্পষ্ট থাকে থাকে না,কিন্তু নানা অঙ্গভঙ্গি থাকে।যেমন একজন সাতার কাটছে,বা ব্যাটিং করছে।আমাদের ভবনের ছাত্ররা ভালো করলে ট্রফিটি আমাদের ভবনের সিড়ি নিচে সো কেইসে রাখা থাকে।আমরা খারাপ করলে অন্য ভবনেও একই জায়গায়,মানে সিড়ির নিচে থাকে।অর্থাৎ এটি একটা না একটা ভবনে যাবেই।এই ক্ষেত্রে আমি যদি কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেই,সেটা কি হারাম হবে,কেননা কিছু কিছু ছবি খোদাই এর মতো ও মনে হয়।এখানে জুয়ার মতো কিছু নেই,অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় অংশের জন্য আলাদা টাকা নেয়া হয় না,কেবল মাসে মাসে আমাদের বেতন নেয়া হয়।আমার জন্য কি এসব প্রতিযোগিতায় যাওয়া জায়েজ হবে?

২।আমি যদি কোন হালাল জিনিসকে হারাম মনে করি ( না জেনে )। এবং আমি হারাম মনে করেও তা করি, ( যেহেতু আমি হারাম মনে করি, আমার তা না করার কথা )। তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? ( কারন আমার নিয়্যাত অনুযায়ি তো আমি হারাম কাজ করছি ), যদিও বা কাজটা প্রকৃত পক্ষে হালাল ছিল, যা আমি জানতাম না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমি একটা কাজকে হারাম জানা সত্যেও তা করার জন্য গুনাহ হবে কিনা ( আসলে সেটা হালাল ছিল )।

৩। আমি যদি আমার বন্ধুর বাসায় থাকতে যাই,আন্টি থেকে নজর হেফাজত করি।তারা পর্দা করাযে ফর‍য ত আ জানেই না ( বা জেনেও মানে না। কিন্তু আমার ধারনা জানেই না )। আমি যদি আন্টি বা বন্ধু কে পর্দা করার দাওয়াত না দেই,আমার কি সে বাসায় গেলে গুনাহ হবে? যেহেতু আমি নিজের নজর হেফাজত করছি, কিন্তু আমার সামনে যে তারা তাদের পর্দার বিধান অমান্য করছে, এনিয়ে তাদের সতর্ক করছি না।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি টাকা দিয়ে ফরম নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে হয় তাহলে তা সুদ ও জুয়ার অন্তর্ভূ্ক্ত হওয়ায়  এ ধরনের কুইজ প্রতিযোগিতার অংশ গ্রহণ করা জায়েয হবে না।

তবে যদি ফরম ক্রয় ব্যতীতই অংশ গ্রহণ করা যায় তাহলে সেখানে অংশ গ্রহণ করা বা তা থেকে প্রাপ্ত পুরস্কার গ্রহণ করা জায়েয আছে।
( আদ-দুররুল মুখতার: ৯/৫৭৭, কেফায়াতুল মুফতি: ৯/২২৫)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করা জায়েজ আছে। 
তবে উল্লেখিত পুরুস্কার যেগুলো মানুষের চেহারা সম্বলিত রয়েছে,সেই পুরুস্কার ঘরে রাখবেনা।
কারন এগুলো ছবি,মূর্তি।

বিস্তারিত জানুনঃ

(০২)
না জেনে এমনটি (হালালকে হারাম মনে) করে থাকলে তার গুনাহ হবে,তবে আল্লাহ তায়ালা সেটা মাফ করে দিবেন।
,
এখন অবশ্যই সেটাকে হালাল মনে করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
,
বিস্তারিত জানুনঃ

,
(০৩)
এক্ষেত্রে গুনাহ আপনার বন্ধুদেরই হবে,যারা নজরের হেফাজত করেনি।
এবং উক্ত মহিলার গুনাহ হবে,বেপর্দা হয়ে ননমাহরামদের দামনে আসার জন্য।
,
আপনার গুনাহ হবেনা।
তবে আপনি তাদেরকে নজর হেফাজতের কথা ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলবেন,এটা আপনার ঈমানী দায়িত্ব। 

আরো জানুনঃ

,


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...