আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (49 points)
reshown by
১.বিয়ের সময় মেয়ের পক্ষের সাক্ষী দুজনের মধ্যে একজনের ইনকাম সম্পূর্ণ হারাম আর অন্যজনের ইনকাম হালাল তবে তিনি অনেকের কাছে ঋণী, কিস্তিতে বিভিন্ন সামগ্রী কেনেন এবং কুরবানীও দেন; উভয়ই মেয়ের মাহরাম, এমতাবস্হায় কি সে মেয়ের বিয়ে সহীহ হবে?

পারিবারিকভাবে বিয়ের ক্ষেত্রে কারা সাক্ষী হওয়া উত্তম?

২.কোনো মহিলা যিনি চাকরি করেন তবে পর্দা করেন না; তার ইনকাম কি হালাল? তার টাকায় কেনা খাবার বা পোশাক কি হালাল?

৩.বাড়িতে আলোকসজ্জা করা আয়ত্ত্বের ভিতর, এটা কি অনুচিত কাজ?

৪. ইনকাম হালাল তবে তিনি অনেকের কাছে ঋণী, কিস্তিতে বিভিন্ন সামগ্রী কেনেন এবং কুরবানীও দেন; তার বাসায় খাবার খাওয়া কি জায়েজ হবে?

৫.এক মেয়ে অপর মেয়ের কতটুকু অংশ দেখতে পারে? থাই কি টিপে দিতে পারে?

৬.মেয়েদের রোজা রাখা ফরজ কত বছর থেকে? মাসিকের পর থেকেই কি ফরজ হয়?

৭.বাথরুম(টয়লেট এটাস্ড) এ বালতিভর্তি পানি খোলা অবস্থায় সারারাত থাকলে সে পানি কি নাপাক হবে? উযু-গোসল করা হলে সেগুলো কবুল হবে না?

যদি এই ভরা বালতির পানি কারো হাতের স্পর্শে(ফজরে ঘুম থেকে উঠলে) নাপাক হয়েছে কি না জানা না থাকে(হবার সম্ভাবনাও থাকে) তবে কি উযু-গোসল করা উচিত হবে?

৮.দুপুরে খাবার পরে ঘুমিয়ে উঠে বালতির পানির মধ্যে হাত দিলে পানি কি নাপাক হবে?

৯.অতিরিক্ত পরিমাণ ঘুমালে কি গুনাহ হবে?  ঘুমের কারণে নামাজ কাজা হয় না কিন্তু শরীর দূর্বল থাকায় ঘুম বেশি হয় এজন্য পিতামাতা উভয়ই নারাজ আমার উপর।

১০.পিরিয়ড চলাকালীন কি বিয়ে করা জায়েজ?

১১.কাউকে হোম ডেলিভারিতে গিফ্ট কিংবা প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠালে আমি জানি যে যিনি গ্রহণ করবেন তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাছ থেকে নেয়ার সময় পর্দায় থাকবেন না,সাধারণভাবে এসে নিয়ে নেবেন। এমতাবস্হায় আমার কি গুনাহ হবে যেহেতু আমি জানিই তিনি বেপর্দা হয়ে জিনিসটা গ্রহণ করবেন?

১২.সফররত অবস্থায় সাদাস্রাব হলে সেটা পরিষ্কারের সুযোগ না থাকলে সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে করণীয় কি?

১৩.অনলাইনে কোনোকিছু অর্ডার করলে সেটা হোম ডেলিভারিতে নিলে আমার হয়ে যদি অন্য কেউ নেয় পর্দা না করে ,তবে আমি কি গুনাহগার হব?

১৪.বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে গেলে তন্মধ্যে কেউ পর্দায় না থাকলে আমি কি গুনাহগার হব?(তারা যাবে সাথে আমাকেও নিবে;আমি ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করিনি)

1 Answer

0 votes
by (707,720 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)বিয়ের সময় মেয়ের পক্ষের সাক্ষী দুজনের মধ্যে একজনের ইনকাম সম্পূর্ণ হারাম আর অন্যজনের ইনকাম হালাল তবে তিনি অনেকের কাছে ঋণী, কিস্তিতে বিভিন্ন সামগ্রী কেনেন এবং কুরবানীও দেন; উভয়ই মেয়ের মাহরাম।
এজন্য মেয়ের বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না।

পারিবারিকভাবে বিয়ের ক্ষেত্রে নিজ মাহরামদের থেকে সাক্ষী হওয়াই উত্তম।

(২)কোনো মহিলা যিনি চাকরি করেন তবে পর্দা করেন না; তার ইনকাম হারাম হবে না।কেননা তিনি শ্রমের বিনিময়ে বেতন নিচ্ছেন।সুতরাং তার টাকায় কেনা খাবার বা পোশাক হারাম হবে না।

(৩)বাড়িতে প্রয়োজন অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা অবশ্যই অনুচিত কাজ। তবে স্বাভাবিক সুন্দর্য্যর জন্য অনুচিত হবে না।

(৪)ইনকাম হালাল তবে তিনি অনেকের কাছে ঋণী, কিস্তিতে বিভিন্ন সামগ্রী কেনেন এবং কুরবানীও দেন; তার বাসায় খাবার খাওয়া জায়েজ হবে।

(৫)
এক মহিলার সামনে আরেক মহিলার সতর কতটুকু এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
(وَأَمَّا بَيَانُ الْقِسْمِ الثَّانِي) فَنَقُولُ: نَظَرُ الْمَرْأَةِ إلَى الْمَرْأَةِ كَنَظَرِ الرَّجُلِ إلَى الرَّجُلِ، كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ. وَهُوَ الْأَصَحُّ
এক মহিলার সামনে অন্য মহিলার সতরঃ
এক মহিলা অন্য মহিলার ঐ সমস্ত অঙ্গের দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারবে,যা এক পুরুষ অন্য পুরুষের দিকে পারে।যখিরা নামক কিতাবে বর্ণিত আছে।এবং এটাই বিশুদ্ধ মত।
এক পুরুষ অন্য পুরুষের কোন কোন অঙ্গের দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারবে,
এসম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
وَيَجُوزُ أَنْ يَنْظُرَ الرَّجُلُ إلَى الرَّجُلِ إلَّا إلَى عَوْرَتِهِ كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَعَلَيْهِ الْإِجْمَاعُ، كَذَا فِي الِاخْتِيَارِ شَرْحِ الْمُخْتَارِ. وَعَوْرَتُهُ مَا بَيْنَ سُرَّتِهِ حَتَّى تُجَاوِزَ رُكْبَتَهُ، كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ
একজন পুরুষ অন্য পুরুষের দিকে সতর ব্যতীত অন্যান্যস্থানের দিকে  দৃষ্টিপাত করতে পারবে,এর উপর ইজমা বা উলামায়ে কেরামদের ঐক্যমত রয়েছে।মুহিত ইত্যাদি গ্রন্থাবলীতে এভাবেই বর্ণিত আছে।
পুরুষ-পুরুষের সামনে সতর হচ্ছে,নাভীর নিচ থেকে হাটু পর্যন্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩২৭)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/572

(৬)মেয়েরা যখন সাবালক হবে তখন থেকেই রোযা ফরয।সাবালক কখন হবে? এ সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য কথা হল, ৯ বৎসর বয়স থেকেই মেয়েরা সাবালক হবে। 

(৭)বাথরুম (টয়লেট এটাসড) এ বালতিভর্তি পানি খোলা অবস্থায় সারারাত থাকলে সে পানি নাপাক হবে না। উযু-গোসল করা হলে সেগুলো কবুল হবে।

যদি এই ভরা বালতির পানি কারো হাতের স্পর্শে(ফজরে ঘুম থেকে উঠলে) নাপাক হয়েছে কি না জানা না থাকে(হবার সম্ভাবনাও থাকে) তবে উযু-গোসল করা যাবে।

(৮)দুপুরে খাবার পর ঘুমিয়ে উঠে বালতির পানির মধ্যে হাত দিলে,সেই পানি নাপাক হবে না। কেননা ঘুম থেকে উঠে বালতিতে হাত দেওয়া মুস্তাহাব।

মুল্লা আলী কারী রাহ লিখেন,
وفي شرح السنة علق النبي صلى الله تعالى عليه وسلم غسل اليدين بالأمر الموهوم وما علق بالموهوم لا يكون واجبا، ف
(মিরকাত-৩৯১ নং হাদীসের ব্যখ্যা দ্রষ্টব্য)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (707,720 points)
 জবাব দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,273 views
...