বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 7):
"الحاصل: أنه إن علم الاحتياط منه في مذهبنا فلا كراهة في الاقتداء به، وإن علم عدمه فلا صحة، وإن لم يعلم شيئاً كره".
যদি ভিন্ন মাযহাবের ইমাম সম্পর্কে জানা যায় যে, তিনি অন্যান্য মাযহাবের রে'আয়ত করে সকল মাযহাবকে নিয়ে নামায পড়াতে ইচ্ছুক, তাহলে ঐ ইমাম সাহেবের পিছনে নামায পড়া বিশুদ্ধ। তবে যদি জানা যায় যে, তিনি অন্যান্য মাযহাবের কোনো তোয়াক্কাই করেন না, তাহলে এমন ইমাম সাহহেবের পিছনে নামায পড়া বৈধ হবে না। যদি ঐ ইমাম সাহেব সম্পর্কে কোনো কিছুই জানা যায় না, তাহলে এমন ইমাম সাহেবের পিছনে নামায পড়া মাকরুহ বলে বিবেচিত হবে। (রদ্দুল মুহতার-২/৭)
বিন্নুরী মাদরাসার দারুল ইফতা থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,(ফাতাওয়া নং 144202200991)
اگر غیر مقلد امام کے بارے میں یہ یقین ہو کہ نماز کے ارکان وشرائط میں مقتدیوں کے مذہب کی رعایت کرتا ہے تو اس کی اقتدا میں نماز پڑھنا بلاکراہت جائز ہے، اور اگر رعایت نہ رکھنے کا یقین ہو تو اس کی اقتدا میں نماز پڑھنا صحیح نہیں ہوگا، اور جس امام کا حال معلوم نہ ہو اس کی اقتدا میں نماز پڑھنا مکروہ ہے۔
یہ تفصیل اس وقت ہے جب امام کا عقیدہ صحیح ہو، اگر اس کا عقیدہ فاسد ہے اور وہ مقلدین کو مشرک سمجھتا ہو اور ائمہ کرام کو گالیاں دیتا ہو ان کو برا بھلا کہتا ہو تو اس کی اقتدا میں نماز پڑھنا مکروہِ تحریمی ہوگی۔
لہذا کوشش کرکے کسی صحیح العقیدہ شخص کی اقتدا میں نماز ادا کرنی چاہیے، اگر قریب میں کوئی ایسی مسجد نہ ہو جس میں صحیح عقیدہ والا امام موجود ہو تو جماعت کی فضیلت حاصل کرنے کے ان کی اقتدا میں نماز ادا کرلی جائے۔
আরো দেখা যেতে পারে দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়া,
فتوی: 787-798/N=10/1433 (۱) جو غیرمقلد تقلید
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আহলে হাদীস ঐ ইমাম সাহেব যদি মাযহাবের অনুসরণকারী আলেম উলামাদেরকে গালিগালাজ না করেন, বিশেষকরে ইমাম আবু হানিফা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য না করেন,এবং তিনি যদি নামাযে এমন কোনো কাজ না করেন, যা দ্বারা ইমাম আবু হানিফার মাযহাবমতে নামায ফাসিদ হয়ে যায়, তাহলে এমন ইমামের পিছনে হানাফি মাযহাবের অনুসারীর জন্য একবার বা একাধিকবার নামায পড়া বৈধ হবে। নতুবা নামায পড়া যাবে না। পড়লেও নামাযকে দোহড়াতে হবে। কেননা তখন নামায পড়াটা মাকরুহে তাহরীমি হিসেবে বিবেচিত হবে।
(২) বিনা কারনে উপরের ব্যখ্যায় অনুমোদিত আহলে হাদিসের জামায়াতে নামাজ পড়া গেলেও না পড়াই উত্তম।
(৩) বিনা কারনে অন্য মাযহাবের ইমামের পিছনে নামাজ পড়া যাবে, যদি ইমাম সাহেব এমন কোনো কাজ না করেন,যা দ্বারা হানাফি ব্যখ্যামতে নামায ফাসিদ হয়ে যায়। এবং ইমাম সাহেব মাযহাবকে শিরক কুফরি মনে করে গালিগালাজ না করেন।