আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
91 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (17 points)
edited by
সন্ধ্যা থেকে এর আগেও আমি ২ টি প্রশ্ন করে ফেলেছি। সেই আইডি দিয়ে আর প্রশ্ন করা যাচ্ছে না।

আমার আগের প্রশ্নঃ https://ifatwa.info/62526/

https://ifatwa.info/62499/

আমি তালাকের ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। আজকে সন্ধ্যা থেকে নানা কাজের উপর শর্তযুক্ত তালাক এর শর্ত মাথায় আসতাছে। যেমনঃ উমুক কাজ না করলে শর্তযুক্ত তালাক ইত্যাদি। আমি ভয়ে বেশ কয়েকবার সেই শর্ত অনুযায়ী কাজ করেছি।
১. এখন এটা বেড়েই চলেছে। আমি কয়েকটি বাদ দিয়েছি। কিন্তু ভয় আমার মনে হচ্ছে আমি তালাক উচ্চারণ করে ফেলেছি। কি করবো হুজুর? শর্ত অনুযায়ী কাজ করলে ওয়াসওয়াসা প্রচুর বেড়ে যায় আবার বাদ দিলে ভয় লাগে যদি সত্যি সত্যি উচ্চারণ করে থাকি?
ওয়াসওয়াসা অনুযায়ী কাজ করলে ওয়াসওয়াসা বাড়ে আবার বাদ দিতেও ভয় হচ্ছে কারণ বাদ দিলে যদি উচ্চারণ করে থাকি? এখন আমার কি করা উচিত হুজুর?

২. আমি যদি সত্যিই উচ্চারণ করে এবংং ওয়াসওয়াসা ভেবে বাদ দেই তাহলে কি ক্ষমা পাবো?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
আপনার জন্য করনীয় হলো এগুলোকে পাত্তা না দেয়া।
বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া।
এসব চিন্তা মাথায় আসলেই 
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم 
لا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم 
তিনবার করে পড়ে বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলবেন।

আরো করনীয় জানুনঃ- 

(০২)
হ্যাঁ, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করবেন।
কেননা আপনি ওয়াসওয়াসার রুগী। 

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...