আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আমি যদি কোনো পার্লারে মেহেদি লাগানর কাজ করি, তাহলে কি সেই ইনকাম হালাল হবে? কারন দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষ তার মেহেদি লাগানো হাতের পর্দার ব্যাপারে সচেতন না এবং অনেকে মেহেদি হাতের ছবি বা ভিডিও আপ্লোড করে। এক্ষেত্রে তাদের গুনাহের কারনে কি যে মেহেদি লাগিয়া দিল সুন্দর করে, তার আয় হারাম বা মাকরু হয়ে যাবে?

জাঝাকুমুল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


স্বামীর সামনে সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য প্রদর্শন শুধু বৈধই নয় বরং করণীয়। 

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ-رضي الله عنه- عَنِ النَّبِيِّ –ﷺ-، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: مَا اسْتَفَادَ الْمُؤْمِنُ بَعْدَ تَقْوَى اللَّهِ خَيْرًا لَهُ مِنْ زَوْجَةٍ صَالِحَةٍ، إِنْ أَمَرَهَا أَطَاعَتْهُ، وَإِنْ نَظَرَ إِلَيْهَا سَرَّتْهُ، وَإِنْ أَقْسَمَ عَلَيْهَا أَبَرَّتْهُ، وَإِنْ غَابَ عَنْهَا نَصَحَتْهُ فِي نَفْسِهَا وَمَالِهِ

আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন,  কোনো মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ্ভীতির পর উত্তম যা লাভ করে তা হলো পুণ্যময়ী স্ত্রী। স্বামী তাকে কোন নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে; সে তার দিকে তাকালে (তার বাহ্যিক সাজসজ্জা ও চরিত্রের মাধুর্যতা) তাকে আনন্দিত করে এবং সে তাকে শপথ করে কিছু বললে সে তা পূর্ণ করে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাযত করে। (সুনান ইবন মাজাহ ১৮৫৭)

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত ,তিনি বলেনঃ-

ﻭﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﻮَﺍﺷِﻤَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟْﻤُﻮﺗَﺸِﻤَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﻨَﻤِّﺼَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﻔَﻠِّﺠَﺎﺕِ ﻟِﻠْﺤُﺴْﻦِ ، ﺍﻟْﻤُﻐَﻴِّﺮَﺍﺕِ ﺧَﻠْﻖَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺒَﻠَﻎَ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻣِﻦْ ﺑَﻨِﻲ ﺃَﺳَﺪٍ ﻳُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻬَﺎ ﺃُﻡُّ ﻳَﻌْﻘُﻮﺏَ ، ﻓَﺠَﺎﺀَﺕْ ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ : ﺇِﻧَّﻪُ ﺑَﻠَﻐَﻨِﻲ ﻋَﻨْﻚَ ﺃَﻧَّﻚَ ﻟَﻌَﻨْﺖَ ﻛَﻴْﺖَ ﻭَﻛَﻴْﺖَ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻭَﻣَﺎ ﻟِﻲ ﺃَﻟْﻌَﻦُ ﻣَﻦْ ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ

ভাবার্থঃ- “আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর, যারা অন্যর দেহাঙ্গে উল্কি (ট্যাটু) অংকন করে,এবং নিজ দেহাঙ্গে অন্যর মাধ্যমে উল্কি (ট্যাটু) করে,এবং ভ্রু-কে চেঁছে সরু (প্লাক) করে,ও সৌন্দর্য প্রদর্শনের মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে,অর্থাৎ এসমস্তের মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।(তারা অভিশপ্ত)বনি আসাদ গোত্রীয় উম্মে ইয়াক্বুব নামী জনৈক মহিলা এ ব্যাপারে তার (ইবনে মাসউদের বর্ণনার) প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন,‘আমি কি তাকে অভিসম্পাত করব না, যাকে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) অভিসম্পাত করেছেন।এবং অন্য বর্ণনায় এসেছে........(এবং তা আল্লাহর কিতাবে আছে? আল্লাহ বলেছেন, "রাসুল যে বিধান তোমাদেরকে দিয়েছেন তা গ্রহন কর, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকো।(-সূরা হাশরঃ৭)[সহীহ বুখারী ৪৮৮৬নং এবং৪৬০৪নং হাদীস]
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
নারীদের সাজসজ্জার ক্ষেত্রে ইসলামের কিছু মূলনীতি রয়েছে।
তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ       
★সাজসজ্জা করতে গিয়ে নারী পুরুষের বেশ ধারণ করতে পারবে না। 
★সাজসজ্জার ক্ষেত্রে অমুসলিম কিংবা প্রকাশ্য পাপাচারে লিপ্ত নারীদের অনুকরণ করা যাবে না।
★সাজসজ্জার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর বস্তু বা প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। 
,
বিউটি পার্লারে সাজসজ্জার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলোঃ  
যদি শরীয়ত সম্মত বিউটি পার্লার হয় তাহলে শুধুমাত্র স্বামীকে খুশী করার জন্য বিউটি পার্লার থেকে বৈধ অস্থায়ী সাজগোছ যেমন ক্রিম ইত্যাদি দিয়ে সাজা বৈধ আছে। এক্ষেত্রে ৩টি জিনিষ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

বিউটি পার্লার শরীয়ত সম্মত হতে হবে। 
 বৈধ সাজগোছ করতে হবে। 
শুধুমাত্র স্বামীকে সন্তুষ্টি করার জন্য হতে হবে। ক্রিম,লোশন ইত্যাদি হালাল কসমেটিক সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি জানা যায় যে, মেয়েটি সম্পূর্ণ পর্দা করে এবং এই সাজে শুধুমাত্র মাহরামদের সামনেই যাবে, শুধু।
মাহরামদের সামনেই হাত প্রদর্শন করবে,গায়রে মাহরামদের সামনে প্রদর্শন করবেনা, মেহেদি রাঙ্গানো হাতের ছবি বা ভিডিও আপলোড দিবেনা।
দিলেও সেখানে গায়রে মাহরাম কেউ নেই।
তাহলে সেক্ষেত্রে বিউটি পার্লারে হোক বা ঘরেই হোক,
তাকে মেহেদি লাগিয়ে দেয়া যাবে।

এক্ষেত্রে আপনার ইনকাম হালাল হবে। 
,
আর যদি আপনি জানেন যে উক্ত মহিলা বেপর্দা হয়ে গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে যাবে,তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে মেহেদি লাগিয়ে দেওয়া জায়েজ নেই।
এক্ষেত্রে তাকে মেহেদি লাগিয়ে দিলে গুনাহের সহযোগিতার গুনাহ হবে।
সম্পূর্ণ ইনকাম হালাল হবেনা।
,
যদি কোনোটাই জানা না যায়,তাহলে জিজ্ঞাসা করে নিবেন,যদি জিজ্ঞাসা না করেন,তাহলে সতর্কতামূলক তাকে মেহেদি লাগিয়ে দিবেননা।   

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
https://ifatwa.info/62595/ এই প্রশ্নের উত্তর টা খুব দরকার ছিল। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...