আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম শায়েখ
১.হুজুর লিংকের প্রশ্ন  অনুযায়ী ,
যেনা করা ও অন্যান্য কাজের জন্য কি আমার পূর্বের সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে গিয়েছে??? হুজুর খুব ভয় হচ্ছে সমস্টো আমল কি নষ্ট হয়ে গিয়েছে?????????????

২.নাকি সমস্ত আমল বজায় থাকবে?  ..........।,...........................................................................?...??????

।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।.......

।।।।।।।।.......................................

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/57407/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا زَنَى الْعَبْدُ خَرَجَ مِنْهُ الْإِيمَانُ فَكَانَ فَوْقَ رَأْسِهِ كَالظُّلَّةِ فَإِذا خرج من ذَلِك الْعَمَل عَاد إِلَيْهِ الايمان» .

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন বান্দা ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তখন তার থেকে (অন্তর থেকে) ঈমান বেরিয়ে যায় এবং তা তার মাথার উপর ছায়ার ন্যায় অবস্থিত থাকে। অতঃপর যখন সে এ অসৎকাজ থেকে বিরত হয় তখন ঈমান তার নিকট প্রত্যাবর্তন করে।
(সহীহ : আবূ দাঊদ ৪৬৯০, তিরমিযী ২৬২৫, সহীহুত্ তারগীব ২৩৯৪.মিশকাত ৬০।)

এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ-

এ ধরনের লোক ঈমান বিরোধী কাজ সত্ত্বেও সে ঈমানের ছায়াতেই থাকে। তার থেকে ঈমানের হুকুম দূর হয় না এবং ঈমান বিষয়টি তার থেকে উঠে যায় না। কারণ যখন সে ঐ কাজ থেকে বেরিয়ে আসে, তখন অনুতপ্ত হয় এবং এর ফলে ঈমানের নূর ও পূর্ণ ঈমান আবার ফিরে আসে।

وَفِي رِوَايَة ابْن عَبَّاس: «وَلَا يَقْتُلُ حِينَ يَقْتُلُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ» . قَالَ عِكْرِمَةُ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: كَيْفَ يُنْزَعُ الْإِيمَانُ مِنْهُ؟ قَالَ: هَكَذَا وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ ثُمَّ أَخْرَجَهَا فَإِنْ تَابَ عَادَ إِلَيْهِ هَكَذَا وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: لَا يَكُونُ هَذَا مُؤْمِنًا تَامًّا وَلَا يَكُونُ لَهُ نُورُ الْإِيمَان. هَذَا لفظ البُخَارِيّ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় এটাও আছে, হত্যাকারী যখন অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করে, সে সময়ও তার ঈমান থাকে না। ‘ইকরিমাহ্ (রহঃ) বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কিরূপে ঈমান তার থেকে বের করে নেয়া হবে? তিনি বললেন, এভাবে (এ কথা বলে) তিনি তার হাতের অঙ্গুলিসমূহ পরস্পরের ফাঁকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে, পরে তা পৃথক করে নিলেন। অতঃপর সে যদি তওবা্ করে, তাহলে পুনরায় ঈমান তার মধ্যে এভাবে ফিরে আসবে- এ কথা বলে পুনরায় তিনি দুই হাতের আঙ্গুলসমূহ পরস্পরের ফাঁকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন। আর আবূ ‘আবদুল্লাহ ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন, সে মু’মিন থাকে না। অর্থাৎ- সে প্রকৃত বা পূর্ণ মু’মিন থাকে না কিংবা তার ঈমানের নূর থাকে না। এটা বুখারীর বর্ণনার হুবহু শব্দাবলী।
(সহীহ : বুখারী ৬৮০৯.মিশকাত ৫৪।)

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের সারসংক্ষেপ এই যে, অন্তরে বিশ্বাস করা মৌখিক স্বীকৃতি প্রদান এবং বিশ্বাস ও স্বীকৃতি অনুপাতে কাজ করার নাম ঈমান। আর এ নূর অর্থ ঈমানের পূর্ণতা আর তা হলো সৎকাজ সম্পাদন করা এবং নিষিদ্ধ কাজ হতে বিরত থাকা। অতএব কোন ব্যক্তি যদি আদিষ্ট কাজে ত্রুটি করে অথবা ব্যভিচার, মদপান ও চুরির মতো গুনাহের কাজে জড়িয়ে পরে তখন তার নূর চলে যায় তার ঈমানের পূর্ণতা দূর হয়ে যায়। ফলে এমন ব্যক্তি পাপ-পঙ্কিলতার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যায়।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
লিংকের প্রশ্ন অনুযায়ী, যেনা করা ও অন্যান্য কাজের জন্য আপনার পূর্বের কোনো আমলই নষ্ট হয়ে যায়নি।

(০২)
সমস্ত আমল বজায় থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...