আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
হুজুর ছাত্র ছাত্রী দের মাঝে আলোচনা হয়, কেউ কেউ বলে টাইম মেশিন হয়ত একদিন আবিষ্কার হবে। আবার কেউ কেউ বলে আবিষ্কার হবে না। কারণ  ভবিষ্যত দেখা সম্ভব না।
১. হুজুর না জেনে না বুঝে , বা কারোর কথা শুনে বলেছি টাইম মেশিন আবিষ্কার হবে। তখন বুঝতাম না । না জেনে না বুঝে ভুল হয়েছে । এমন ভাবার জন্য কি ঈমান  চলে যাবে?
২. একদিন এক বন্ধু বললো, অন্য গ্রহ তে কি কোনো এলিয়েন আছে? তখন  বুঝতাম না আছে কি নাই। সবাই হয়ত বলতো আছে , নাসার বিজ্ঞানী রা খোজ পেয়েছেন। এমন বলতো । হুজুর তখন না জেনে না বুঝে এমন ভাবনার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৩. এক বন্ধু বললো , আল্লাহ বলেছেন আল্লাহ, মানুষ ও জিন জাতি কে সৃষ্টি করেছেন । এই কথা ভেবে কেউ যদি বলে অন্য গ্রহ তে আর কোনো মানুষ বা এলিয়েন নেই। দিয়ে এই কথার ওপর যদি বিশ্বাস করেছিলাম । তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?  আমর শিরক হবে বলে খুব ভয় লাগে , তাই আমি এই কথার ওপর বিশ্বাস করেছি। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
** আমাকে plz বলুন আমি কোন কথার ওপর বিশ্বাস করব?
৪. আর একদিন টাইম মেশিন নিয়ে কথা , হচ্ছিলো দিয়ে আমি বলেছি, ভবিষ্যত দেখার মেশিন কেউ আবিষ্কার করতে পারবে না। কারণ ভবিষ্যত  দেখার মেশিন আবিষ্কার হলে,  মানুষ তো আগে থেকে ভবিষ্যত্ দেখে ফেলবে, দিয়ে ,ধর্মের ওপর বিশ্বাস করবে না, বা আল্লাহ কে বিশ্বাস করবে না। এই রকম কিছু বলেছিলাম। হুজুর আমি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল সাঃ এর       ওপর বিশ্বাস করি। ও আল্লাহর সমস্ত কিছু ওপর আমি বিশ্বাস করি। হুজুর এই সব বিষয় এ অত জ্ঞান ছিল না । না জেনে না বুঝে, যা শুনেছি হয়ত তাই বলেছি। হয়ত না বুঝে ভুল বলেছি,  হুজুর এমন বলার জন্য কি ঈমান চলে যাবে? ভবিষ্যত দেখার মেশিন আবিষ্কার করতে পারবে?
৫। আর একদিন একটা ভিডিও দেখেছিলাম , দিয়ে বলছিলো অতীত দেখার মেশিন একজন আবিষ্কার করেছিলো, কিছুটা এমন শুনছিলাম । দিয়ে বলছিলাম হয়ত মানুষ অতীত দেখার মেশিন আবিষ্কার করতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যত্ দেখার মেশিন আবিষ্কার করতে পারবে না। হুজুর এমন বলার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৬। হুজুর আমার ঈমান ঠিক আছে তো? ঈমান ছাড়া শেষ হয়ে যাব।
*** হুজুর এই সব বিষয় এ কোন কথার ওপর বিশ্বাস রাখবো । Plz জানাবেন।

৭. হুজুর যখন ছোট ছিলাম, তখন কে একজন বলেছিল যে, টিকটিকি কে মারতে হয়না। আল্লাহর ঘর না কি একটা কে বাঁচিয়ে ছিল না আগুন নিভিয়ে ছিল টিকটিকির প্রস্রাবে, এমন কি একটা কথা, দিয়ে এমনি মনে হতো টিকটিকি মারতে হয় না । এমনি মারতাম ও না। হুজুর ছোটো বেলায় কে কি বলেছিল, দিয়ে এমনি ভাবতাম টিকটিকি মারতে হয়না। হুজুর এখন বড়ো হয়েছি, সবকিছু বুঝতে শিখেছি।

 হুজুর না জেনে না বুঝে  ভুল বশত এমন ভাবনার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
বা আগে ছোটো বেলায় না জেনে না বুঝে ভুল হয়েছে এর জন্য কি ঈমান চলে গিয়েছিলো হুজুর জানতাম না ছোটো ছিলাম কে কি বলেছে , তাই শুনেছিলাম , আমি তো কিছু বলিনি না জেনে বুঝে ভুল হয়েছে, এর জন্য কি ঈমান চলে গিয়েছিল? আর হুজুর আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো? খুব চিন্তা হচ্ছে হুজুর

৮. হুজুর একটা ভিডিও দেখেছিলাম অনেক ছেলে মজা করছিল , ছেলে গুলো হিন্দু। দিয়ে হটাৎ মনে মনে এমন মনে হচ্ছিল হিন্দু হলে ভালো হতো এমন মনে হলো আস্তাগিরুল্লাহ, সঙ্গে সঙ্গে আস্তাগিরুল্লাহ পড়েছি। হুজুর শয়তানের ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন হয়েছে। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/29553/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
গায়েবের খবর একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালাই জানেন,অন্য কেউ তাহা জানেননা।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ

অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আসমান-যমীনে অন্য কেউ অদৃশ্যের জ্ঞান রাখেনা। এবং তারা জানে না কখন তারা উত্থিত হবে। (সূরা নামল, আয়াত-৬৫)

قُلْ لَا أَقُولُ لَكُمْ عِنْدِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ

অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহর ধন-ভান্ডার রয়েছে। এবং আমি গায়েব জানি না, এবং আমি তোমাদের এটাও বলিনা যে, আমি একজন ফেরেশতা। আমার নিকট যা প্রত্যাদেশ হয় আমি কেবল তারই অনুসরন করি। (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৫০)

إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ

অর্থ: কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই রয়েছে। তিনি বারি বর্ষণ করেন, এবং তিনি জানেন জরায়ুতে কী রয়েছে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে। এবং কেউ জানে না কোন স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবগত । (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৩৪)

এমনকি রাসুলুল্লাহ সাঃ ও তাহা জানেননা।  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عن عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ الغَيْبَ، فَقَدْ كَذَبَ، وَهُوَ يَقُولُ: لاَ يَعْلَمُ الغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ»

অর্থ: হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে নবীজি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গায়েব জানেন, সে মিথ্যাবাদী। কারণ নবীজি (স.) নিজেই বলতেন, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কেউ গায়েব জানে না। (সহীহ বুখারী-৭৩৮০)

এক হাদিসে এসেছে, 'যে ব্যক্তি কোনো গণক বা জ্যোতিষীর কাছে গেল এবং সে যা বলল, তাই বিশ্বাস করল, তাহলে সে মুহাম্মদের ওপর নাজিলকৃত শরিয়তের সঙ্গে কুফরি করল'- (আবু দাউদ : ৩৯০৪, ইবনে মাজাহ : ১৩৫)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এমন ভাবার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(০২)
এমন ভাবনার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৪)
এমন বলার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।
ভবিষ্যত দেখার মেশিন আবিষ্কার করতে পারবেনা।
করলে সেটির সাহায্য নেয়া ও গণকের কাছে যাওয়া বিধান একই হবে।

(০৫)
এমন বলার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(০৬)
আপনার ঈমান ঠিক আছে। 

(০৭)
এর জন্য আপনার ঈমান চলে যায়নি। আর  আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।

(০৭)
শুধু এতটুকুর জন্য ঈমান চলে যাবেনা। 

তবে এহেন চিন্তা যেনো আর না আসে,সেদিকে খেয়াল রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...