আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

কেহ যদি জেনেশুনে ইচ্ছাকৃতভাবে স্পষ্ট কোনো হালাল বস্তুকে হারাম বলেসেক্ষেত্রে সে কাফের হয়ে যাবে।”এইটা পড়ার পর থেকে বিষয়টা নিয়ে আমি মাত্রাঅতিরিক্ত ওয়াসওয়াসায় ভুগি।  

মাঝে মাঝে কোনো কাজ করার সময় কাজটি করব কি করব না দোটানায় ভুগতে থাকলে তখন শয়তান আমার ভিতর ওয়াসওয়াসা তৈরি করে। যদি সিদ্ধান্ত নিই যে কাজটি করব না, তখন শয়তান এই চিন্তা করায় যে ”কাজটি করা থেকে বিরত থাকছি বোধহয় এই চিন্তা করে যে--- কাজটি করলে সামনে আমার সব কাজ হারাম হয়ে যাবে ।” তখন আমি চিন্তায় পড়ে যাই যে আমি কি আসলেই এমন চিন্তা করে কাজটি করা থেকে বিরত থাকছি নাকি কাজটি করা আমার আপাতত প্রয়োজন নেই বলে কাজটি করা থেকে বিরত থাকছি।

(১) এই কাজটা না করলে আমার পরবর্তী সব কাজ হারাম হয়ে যাবে---- এমন চিন্তা করে যদি আমি কাজটি করি,,,,,,, তাহলে কি আমার পরবর্তী সব কাজ হারাম হয়ে যাবে? (যেহেতু আমি এখানে জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ মনে করেছি)

(২) ওয়াসওয়াসকে প্রাধান্য দিয়ে এমন চিন্তা করে কাজটি করার কারণে কি আমি কাফের হয়ে যাব? এটা কি হালালকে হারাম মনে করার মতো গুনাহ?

(৩) অতীতে এমন চিন্তা করে কোনো কাজ করলে আমাকে কি পুনরায় নতুনভাবে সঠিক চিন্তা করে সেই কাজটি এবং পরবর্তী যত কাজ করেছি সব আবার করতে হবে?

(৪) উদাহরণস্বরূপ কারোর হক নষ্ট করলে হয়তো আমার পরবর্তী সব কাজ হারাম হয়ে যাবে---- এমন চিন্তা করে যদি আমি হক নষ্ট করা থেকে বিরত থাকি,,,,, তাহলে কি এই চিন্তার দরুণ আমার পরবর্তী সব কাজ হারাম হয়ে যাবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি সঠিক চিন্তা করে পুনরায় সেই কাজগুলি করছি?

(৫) অতীতে অসংখ্যবার জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ মনে করে অনেক কাজ করেছি যেগুলোর সব এখন মনে নেই। এখন কি সবগুলোর জন্য একসাথে মাফ চাইলে হবে? জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ মনে করে যে কাজগুলো করেছি সেগুলো কি আবার পুনরায় করতে হবে?

(৬) এই ধরনের চিন্তার সাথে কি কাজ হালাল বা হারাম হওয়ার সম্পর্ক আছে? নাকি এটা শুধু চিন্তার সাথেই সম্পর্কিত?

(৭) এই ধরণের চিন্তা থেকে আমি কিভাবে বের হতে পারি? ওয়াসওয়াসায় পড়ে জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ মনে করে যতই কাজই করে ফেলিনা কেন সেই কাজগুলো পুনরায় না করে সব একসাথে তওবা করাই যথেষ্ট হবে কি? 

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হালাল কে হারাম সাব্যস্ত করা এবং হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তা'আলার।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কেউ হারাম কে হালাল এবং হালালকে হারাম সাব্যস্ত করতে পারবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَلاَ تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَـذَا حَلاَلٌ وَهَـذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُواْ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ لاَ يُفْلِحُونَ

তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না।(সূরা নাহল-১১৬)

قُلْ أَرَأَيْتُم مَّا أَنزَلَ اللّهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُم مِّنْهُ حَرَامًا وَحَلاَلاً قُلْ آللّهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللّهِ تَفْتَرُونَ

বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ, যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ?(সূরা ইউনুস-৫৯)

قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ قَتَلُواْ أَوْلاَدَهُمْ سَفَهًا بِغَيْرِ عِلْمٍ وَحَرَّمُواْ مَا رَزَقَهُمُ اللّهُ افْتِرَاء عَلَى اللّهِ قَدْ ضَلُّواْ وَمَا كَانُواْ مُهْتَدِينَ

নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা নিজ সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতাবশতঃ কোন প্রমাণ ছাড়াই হত্যা করেছে এবং আল্লাহ তাদেরকে যেসব দিয়েছিলেন, সেগুলোকে আল্লাহর প্রতি ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে হারাম করে নিয়েছে। নিশ্চিতই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং সুপথগামী হয়নি।(সূরা আন'আম-১৪০)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এমন চিন্তা করে যদি আপনি সে কাজটি করেন,তাহলে পরবর্তী কোনো কাজ হারাম হবেনা।

(০২)
না,এটি হালালকে হারাম মনে করার মতো বিষয় নয়।

(০৩)
না,সব আবার করতে হবেনা।

(০৪)
এই চিন্তার দরুন আপনার পরবর্তী কোনো কাজ হারাম হয়ে যাবেনা।

(০৫)
*এক সাথে মাফ চাইলে হবে।

*সে কাজ গুলি আবার পুনরায় করতে হবেনা।

(০৬)
এ ধরনের চিন্তার সাথে কাজ হালাল বা হারাম হওয়ার সম্পর্ক নেই।
এটি নিছক আপনার মনের ধারনা মাত্র।

এগুলো পরিহার করতে হবে। 

(০৭)
তওবা করাই যথেষ্ট হবে।

ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির আমল করতে পারেন,


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...